ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কালকিনিতে দুই শিক্ষকের বেত্রাঘাতে শিক্ষার্থী হাসপাতালে

প্রকাশিত: ১৮:০৮, ১২ অক্টোবর ২০১৫

কালকিনিতে দুই শিক্ষকের বেত্রাঘাতে শিক্ষার্থী হাসপাতালে

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালকিনি (মাদারীপুর) ॥ উপস্থিত হাজিরা খাতায় নাম ডাকার সময় ইয়েস স্যার বলতে দেরী হওয়ায় মাদারীপুরের কালকিনি পৌর এলাকা ভূরঘাটার পার্শবর্তী এলাকার বাকাই নিরাঞ্জন মাধ্যমিক কিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর আশিকুল ইসলাম রনি-(১৪) নামের এক ছাত্রকে দুই শিক্ষক পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ছাত্রটি এখন ব্যাথার যন্ত্রনায় হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে । ঘটনাটি ঘটেছে রোববার সকালে। শির্ক্ষীর পরিবার ও হাসপাতাল সুত্রে যানা গেছে, খাঞ্জাপুর এলাকার ইচাগুরী গ্রামের স্কুল পড়–য়া ছেলে আশিকুল ইসলাম রনি স্কুলে গিয়ে শ্রেনী কক্ষে প্রবেশ করে। তার পর ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক বিদ্যুৎ বৈরাগী প্রথম ক্লাশ শুরু হওয়ার আগে হাজিরা খাতায় উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রীদের নাম ডাকেন। এসময় আশিকুল ইসলাম রনি ইয়েস স্যার বলতে দেরী হওয়ায় এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই শিক্ষক বেত্রাঘাত করেন। তার পর অন্য সহকারী শিক্ষক পার্থ হালদার এসে পুনরায় এই শিক্ষার্থীকে বেদম মাড়পিট করেন। এতে করে আশিকুল ইসলাম রনি অসুস্থ হয়ে পড়লে খবর পেয়ে তার পরিবারের লোকজন এসে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের ভর্তি করে। এ ব্যাপারে আহত শির্ক্ষীর মা হেনা বেগম কান্না জরিত কন্ঠে বলেন, আমার ছেলেকে যে ঘটনা ধরে মারধোর করা হয়েছে এটাতো উছিলা মাত্র। মুলত আমার ছেলে ওই শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট না পড়ার কারণে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আমার ছেলে এমনিতেই অপারেশনের রোগী। এটা জেনে ও শিক্ষরা মাড়ধোর করেছে। আমি এসব শিক্ষকদের বিচারের দাবি জানাই। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক বিদ্যুৎ বৈরাগী ও পার্থ হালদারের সাথে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করে ও তাদেরকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে বাকাই নিরাঞ্জন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অখিল চন্দ্র দাশের সাথে বারবার মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করলে ও তাকে পাওয়া যায়নি।
×