ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পাবনায় জেএমবি সদস্যরাই যাজক হত্যার প্রচেষ্টা চালায়

প্রকাশিত: ২৩:১৯, ১২ অক্টোবর ২০১৫

পাবনায় জেএমবি সদস্যরাই যাজক হত্যার প্রচেষ্টা চালায়

নিজস্ব সংবাদদাতা,পাবনা ॥ জেএমবি’র ঘাতকরা ঈশ্বরদীতে খৃীষ্টান ধর্মীয় যাজক লুক সরকার (৫০) কে গলা কেটে হত্যা প্রচেষ্টা চালায়। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত জেএমবি’র ৫ সদস্যকে আটক করেছে। এদের মধ্যে রাকিবুল ইসলাম রাব্বি লুক সরকার হত্যা চেষ্টার সাথে সরাসরি জড়িত ছিল। আহত যাজক লুক সরকার রাকিবুল ইসলাম রাব্বিকে সনাক্ত করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। সোমবার পুলিশ সুপার চত্তরে জেলা পুলিশের প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য প্রকাশ জানানো হয়। পুলিশ সুপার পাবনা পুলিশ সুপার মো: আলমগীর কবীর জানান, জেএমবি সদস্যরা ধর্মীয় যাজক লুক সরকারকে হত্যার প্রচেষ্টার চালায়। এ ঘটনায় ৫ জেএমবি সদস্যদের আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলো, পাবনা সদর উপজেলার নূরপুর গাংকোলা এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে রাকিবুল ইসলাম রাব্বি (২২), উপজেলার সিংগা পালপাড়া এলাকার আব্দুর রহিম শেখের ছেলে জিয়াউর রহমান (৩৫), মজিদপুর মধ্যপাড়া গ্রামের মনসুর আলীর ছেলে শরীফুল ইসলাম ওরফে তুলবি (২২), নিয়ামতুল্লাপুর গ্রামের মৃত নওশের প্রামানিকের ছেলে আব্দুল আলিম (৩৬) এ¦বং সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার রাঘববাড়িয়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আমজাদ হোসেন (৩০)। তবে কখন কবে কোথা থেকে এদের গ্রেফতার করা হয়েছে তা গোপন রেখেছে পুলিশ। প্রেস ব্রিফিং জেলা পুলিশ সুপার আলমগীর কবীর বলেন, গ্রেফতারকৃত জেএমবির সদস্যরা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে দীর্ঘদিন যাবত দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য মিটিং করেছে। এরা দেশকে অস্থিতিশিল করার জন্য পরিকল্পিতভাবে খৃীষ্টান যাজককে হত্যার পথ বেছে নেয়। প্রেস ব্রিফিং এ ৫ জেমএবির সদস্যকে হেলমেট পরিহিত অবস্থায় হাজির করা হয়। পুলিশ সুপার জানান, এসব জেএমবিরা পূর্ব পরিকল্পনানুযায়ী তারা গত ৫ অক্টোবর সকালে খৃীষ্টান ধর্ম যাজক লুক সরকারের ঈশ্বরদীর ভাড়া বাসায় ঢুকে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলায় ধারালো ছুরি চালায়। এসময় লুক সরকারের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে তারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর দুর্বৃত্তদের সনাক্ত ও গ্রেফতার করতে পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সের এলআইসি শাখা ও পাবনা জেলা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে যৌথ অভিযান চালায়। নানাবিধ সম্ভাবনা পর্যালোচনা করে পুলিশ ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট অপরাধী রাকিবুল হাসান রাব্বি ও জিয়াউর রহমানকে গ্রেফতার করেন। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ঢাকা, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ এর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বাঁকি ৩ জনের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের কাছে তারা জানায়, দেশে জেএমবি সংগঠনের সক্রিয় রয়েছে। সংগঠনের কার্যক্রম চাঙ্গা করতে পাবনাতে তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ মাঠসহ শহরের বিভিন্ন জনাকীর্ণ এলাকায় তারা মাসে ৩টি মিটিং করতো। সংবাদ সম্মেলনে পাবনার পুলিশ সুপার অরো জানান, ঘটনার মূল হোতা জেএমবি পাবনার আঞ্চলিক কমান্ডার রাকিবুল ইসলাম রাকিব ওরফে তাওহিদ ওরফে রাজন ওরফে রফিককে গ্রেফতারের জন্য পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তাকে গ্রেফতার করতে পারলেই আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যাবে।
×