ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আলোচনা সভা

কন্যা শিশুরা ভবিষ্যতে বিশ্বব্যাপী নেতৃত্ব দেবে

প্রকাশিত: ০৭:৪১, ১৩ অক্টোবর ২০১৫

কন্যা শিশুরা ভবিষ্যতে বিশ্বব্যাপী নেতৃত্ব দেবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আজকের কন্যাশিশুরা ভবিষ্যতে শুধু এই দেশেই নয়, আন্তর্জান্তিক পরিম-লেও নেতৃত্ব দেবে। আমাদের দেশে নেতৃত্ব পর্যায়ে নারীর অবদান অত্যন্ত ইতিবাচক। তাদের অবহেলা ও বঞ্চনা না করে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ দিতে হবে। একসময় কন্যাশিশুরা শুধু পুরুষের সম্পত্তি ছিল এখন তারা সারাদেশের সম্পত্তি। কন্যা শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনায় বক্তারা একথা বলেন। সোমবার জাতীয় কন্যাশিশু দিবস-২০১৫ উপলক্ষে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি ও জাতীয় কন্যাশিশু এ্যাডভোকেসি ফোরামের যৌথ উদ্যোগে দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষে সকাল ৮:৩০টায় শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি পর্যন্ত র‌্যালি ও পরে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালি উদ্বোধন এবং আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেহের আফরোজ চুমকি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিধ্বনি করে বলেন, কোন শিশু রাস্তায় ঘুরে বেড়াবে না এবং না খেয়ে মরবে না- এটি আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। জাতীয় কন্যাশিশু এ্যাডভোকেসি ফোরামের সভাপতি ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, কন্যাশিশুরা সমাজের অর্ধেক অংশ। সমাজের অর্ধেক অংশই যদি বঞ্চিত হয়, সে জাতি কখনও উন্নতি করতে পারে না। আমরা কন্যাশিশুর অধিকারকে মানবাধিকারে পরিণত করতে পেরেছি। পরবর্তীতে জাতিসংঘ ২০১২ সালের ১১ অক্টোবরকে কন্যাশিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এ জন্য আমরা গর্বিত। বাংলাদেশী প্রথম এভারেস্ট জয়ী এম.এ. মুহিত বলেন, সবাই নিজ নিজ প্রতিভা নিয়ে জন্মায়, যার যার স্বপ্ন তার তার এভারেস্ট। তিনি কন্যাশিশুদের নিজ নিজ স্বপ্ন পূরণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে বলেন। জাতীয় কন্যাশিশু এ্যাডভোকেসি ফোরামের সহসভাপতি শাহিনা আক্তার ডলি বলেন, আজ এ অনুষ্ঠানে ৫৪টি সংগঠনের কন্যাশিশুরা অংশগ্রহণ করেছে যা অত্যন্ত ইতবাচক। সভায় মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে ফোরামের সম্পাদক নাছিমা আক্তার জলি কন্যাশিশু দিবস উদযাপনের তাৎপর্য তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানের বিশেষ পর্বে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত কন্যাশিশু-১১ জার্নাল এবং পোস্টারের মোড়ক উন্মোচনও করা হয়। দ্বিতীয় পর্বে শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট লালন সঙ্গীতশিল্পী ফরিদা পারভীন উপস্থিত ছিলেন।
×