ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ডাচ প্রতিবেদন

রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিধ্বস্ত হয় মালয়েশীয় বিমানটি

প্রকাশিত: ০৫:১৫, ১৪ অক্টোবর ২০১৫

রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিধ্বস্ত হয় মালয়েশীয় বিমানটি

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ মালয়েশীয় এয়ারলাইন্সের এমএইচ১৭ বিমানটি গত বছর রুশ বাক ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতেই বিধ্বস্ত হয়েছিল। বিমানটির সামনের বাম পাশে আঘাত হানার ফলেই এর একটি অংশ ভেঙ্গে যায়। মঙ্গলবার নেদারল্যান্ডসের সেফটি বোর্ডের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের দোনেৎস্ক শহরে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার সময় এতে ২৯৮ জন আরোহী ছিল। খবর বিবিসি, এএফপি ও আলজাজিরা অনলাইনের। বোর্ডের প্রধান তিব্বে ইউস্ট্রা বলেন, এমএইচ১৭ বিমানটির ককপিটের বাম অংশে আঘাত হানার ফলেই এটি বিধ্বস্ত হয়। আর যে ধরনের গোলার আঘাতে এটি বিধ্বস্ত হয় তা বাক ক্ষেপণাস্ত্রে ব্যবহার করা হয়। নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম শহর থেকে কুয়ালালামপুর যাওয়ার পথে বিধ্বস্ত বোয়িং ৭৭৭ বিমানটির ২৯৮ জন আরোহীর অধিকাংশই ছিলেন ডাচ নাগরিক। পশ্চিমা দেশগুলো এবং ইউক্রেন ঘটনার পর অভিযোগ করেছিল যে রুশ সমর্থিত বিদ্রোহীরাই বিমানটিকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। কিন্তু মস্কো দাবি করে যে ইউক্রেন নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকেই মিসাইলটি ছোড়া হয়েছিল। নেদারল্যান্ডসের সরকারী এই তদন্ত রিপোর্টে অবশ্য কারা ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করেছিল তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট কাউকে দোষারোপ করা হয়নি। তবে বলা হয় যাত্রীবাহী বিমানের জন্য ওই সংঘাতপূর্ণ এলাকাটির আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়া উচিত ছিল- যা ইউক্রেন সরকার করেনি। ডাচ সেফটি বোর্ড তাদের এ প্রতিবেদন প্রথমেই প্রকাশ করেছে নিহত যাত্রীদের স্বজনদের কাছে। পরে নেদারল্যান্ডসের সামরিক ঘাঁটিতে সাংবাদিকদের কাছে প্রতিবেদনটি নিয়ে ব্রিফিং দেয়া হয়। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ক্ষেপণাস্ত্রটি আঘাত করার সঙ্গে সঙ্গেই সম্ভবত বিমানের আরোহীরা সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেছিলেন, তাই তারা হয়ত কোন যন্ত্রণা অনুভব করার আগেই মারা গেছেন। কয়েক মাস পরই ডাচ সেফটি বোর্ড আলাদাভাবে একটি অপরাধ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। ডাচ প্রতিবেদনটি প্রকাশের দিন মঙ্গলবার সকালেই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার অভিযোগ আবারও অস্বীকার করেছে বাক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির সরকারী কোম্পানি।
×