ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

রোগ সারাতে মলের ক্যাপসুল!

প্রকাশিত: ০৫:১৬, ১৪ অক্টোবর ২০১৫

রোগ সারাতে মলের ক্যাপসুল!

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ অঙ্গ প্রতিস্থাপনের কথা শোনা যায় সচরাচর। কিন্তু শরীরে নিজের মল প্রতিস্থাপন? শুনলেই গা গুলিয়ে ওঠে তাই না? কিন্তু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এ্যান্টিবায়োটিকের বদলে চিকিৎসকেরা এবার শরীরে নিজের মল প্রতিস্থাপনের কথা বলছেন। খবর আনন্দবাজার অনলাইনের। শুধু তাই নয়, মোটা থেকে সিøম হওয়ার জন্যও কাজে আসতে পারে আপনার মল। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের এই নতুন আবিষ্কারকে বলা হচ্ছে অটোলোগাস ফেসাল ট্রান্সপ্লান্ট। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, শৈশবে, মূলত জন্ম থেকে ১০ বছর বয়স পর্যন্ত যদি কোনও রোগের কারণে শরীরে বেশি এ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা হয় তবে বড় হয়ে হাঁপানি, ইনফ্লামেটরি বাওয়েল ডিসিজ, মোটা হয়ে যাওয়া বা বাতের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। চিকিৎসকরা বলছেন, এই সব উপসর্গ রুখতে পারে আপনার নিজেরই মল। এ ক্ষেত্রে আপনার ত্যাগ করা মল প্রথমে চিকিৎসকরা ফ্রিজে জমিয়ে রাখবেন, এর পর নির্দিষ্ট সময় পর মলের ক্ষতিকারক জীবাণু বা মাইক্রোব মরে গেলে অথবা এ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল তৈরি হয়ে গেলে সেই মলই আবার ঢুকিয়ে দেয়া হবে আপনার শরীরে। যাকে বলা যেতে পারে মাইক্রোবিয়াল রেস্টোরেশন। আর এতেই নাকি আপনার হাঁপানি, পেটের সমস্যা, ওজন বেড়ে যাওয়া এবং বাতের সমস্যাও কমে যাবে। ব্যাপারটা অনেকটা আমাদের কম্পিউটার ‘রিবুট’ করার মতোই। তবে শরীরে মল প্রতিস্থাপনের ধারণা কিন্তু নতুন নয়। পঞ্চাশের দশকের শেষের দিকে স্ট্যানলি ফকো নামের এক মেডিক্যাল প্রযুক্তিবিদ এই পদ্ধতি ব্যবহার করেছিলেন। ফেসাল রিকন্সটিটিউশন নামের চিকিৎসা পদ্ধতিতে তিনি এ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগের আগে রোগীদের মল ফ্রিজে জমিয়ে রাখতেন। সেই মল দিয়ে তৈরি করতেন ক্যাপসুল। আর রোগীরা না জেনেই গিলে ফেলতেন এসব ক্যাপসুল। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর চাকরি যায় ফকোর। এই ঘটনার ছয় দশক পর এখন মল প্রতিস্থাপনেই নতুন দিশা দেখছেন চিকিৎসকরা।
×