ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ছুরিকাঘাতে যুবক খুন

রাজধানীতে ছাদ থেকে পড়ে তিতাসের এক কর্মকর্তার মৃত্যু

প্রকাশিত: ০৫:২০, ১৪ অক্টোবর ২০১৫

রাজধানীতে ছাদ থেকে পড়ে তিতাসের এক কর্মকর্তার মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানী খিলগাঁও দক্ষিণ বনশ্রী এলাকার পাঁচ তলার ছাদ থেকে পড়ে তিতাসের এক কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদর দফতরের পুকুর থেকে এক স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার হয়েছে। এদিকে পুরান ঢাকার শ্যামপুর এলাকায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে এক যুবক খুন হয়েছে। অন্যদিকে, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ট্রাকের ধাক্কায় আসামিবাহী মাইক্রোবাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় তিন পুলিশ কর্মকর্তা ও দুই আসামির মৃত্যু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত তিন পুলিশ কর্মকর্তাসহ কয়েক জন ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রাজধানী খিলগাঁও দক্ষিণ বনশ্রী এলাকার পাঁচ তলার ছাদ থেকে পড়ে মনির হোসেন (৫৫) নামে এক তিতাস কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে দক্ষিণ বনশ্রীর ই-ব্লকের ১৯৬ নম্বর বাসায় পাঁচতলা ছাদে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের ভাতিজা আলমাস মনির হোসেন জানান, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বাবার নাম মৃত মোঃ আলী। তার বাড়ি কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার হায়দারাবাদ গ্রামে। নিহতের ভাতিজা মনির হোসেনের ধারণা, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তিনি জানান, চাচা মনির হোসেন মঙ্গলবার সকালে বনশ্রীর ওই বাড়ির দোতালা থেকে পাঁচ তলায় ভাতিজি শাহানা বেগমের বাসায় যান। সেখান থেকে ছাদে যান। পরে তিনি ছাদ থেকে নিচে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর দেড়টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি জানান, মনির হোসেন তার অফিসের এক সহকর্মীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা ঋণ নেন। সহকর্মী কিছুদিন ধরে তার কাছে পাওনা টাকা চাচ্ছিলেন। এ নিয়ে তিনি খুবই হতাশাগ্রস্ত ছিলেন। এ কারণে হয়তো আত্মহত্যা করতে পারেন। ঢামেক হাসপাতালের ক্যাম্প ইনচার্জ পরিদর্শক মোজাম্মেল হক জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিজিবির পুকুরে স্কুল ছাত্রের লাশ ॥ রাজধানীর পিলখানায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদর দফতরের পুকুর থেকে মাহিয়ান মাসরুর (১৩) নামে এক স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার হয়েছে। সোমবার গভীররাতে ওই পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠায়। নিহত মাহিয়ান বিজিবির হের্ডকোয়ার্টারের বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র ছিল। সে লালবাগের চায়না বিল্ডিং গলির ১১২/১ নম্বর বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে থাকত। তার বাবার নাম ডাঃ মাসরুর হোসেন। নিউমার্কেট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ মাহবুবুর রহমান জানান, স্কুল থেকে ফেরার পথে সে পুকুরে পড়ে গিয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। সাঁতার না জানায় পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি। তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার সকালে ঢামেক মর্গে তার লাশ ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে যুবক খুন ॥ রাজধানীর শ্যামপুর এলাকায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে মোঃ রাসেল (২৪) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের গ্রামের বাড়ি খুলনা সদর এলাকায়। মৃত রাসেলের ফুপা ফারুক হোসেন জানান, শনিবার রাসেল খুলনা থেকে তার পুরান ঢাকার পূর্ব জুরাইনের ১৪২ নম্বর বাসা বেড়াতে এসেছিলেন। ওদিন রাত ৮টার দিকে বরইতলা এলাকায় ২Ñ৩ জন ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন রাসেল। এ সময় ছিনতাইকারীরা তার তলপেটে ছুরিকাঘাত করে সঙ্গে থাকা টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। পরে রাসেলকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার মধ্যরাতে তার মৃত্যু হয়। ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোজাম্মেল হক জানান, মঙ্গলবার সকালে তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু ॥ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের ট্রাকের ধাক্কায় আসামিবাহী মাইক্রোবাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মালেকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার গভীররাতে ঢামেক বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার শরীরের ৩৮ শতাংশ দগ্ধ ছিল। উল্লেখ্য, গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে মাদক মামলার ৪ আসামি ধরে ঢাকা আনার পথে কমিল্লায় একটি ট্রাকের সঙ্গে পুলিশের মাইক্রোবাসের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মাইক্রোবাসটির গ্যাস সিলিন্ডার বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। ঘটনাস্থলে গোয়েন্দা পুলিশের কনস্টেবল আব্দুল আজিজ মারা যান। এ ঘটনায় ৫ পুলিশ ও ৪ আসামিসহ ৯ জন গুরুতর দগ্ধ হন। এক স্কুলছাত্রী রক্তাক্ত ॥ রাজধানীর কদমতলী থানার ধনিয়া এলাকা থেকে এক স্কুলছাত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধারের পর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেছে। তার মুখম-লে রক্তাক্ত জখম রয়েছে। জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে ধনিয়া বিদ্যাকোষ আইডিয়াল স্কুলের পেছনে অজ্ঞাত (১২) এক শিক্ষার্থী রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল। এ সময় স্থানীয় আলামিন ও আব্দুল আজিজ নামের দুই ব্যক্তি তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে সন্ধ্যার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
×