ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল বহাল রাখার দাবি

প্রকাশিত: ০৮:২৮, ১৪ অক্টোবর ২০১৫

সিলেকশন গ্রেড ও  টাইমস্কেল  বহাল রাখার  দাবি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ জাতীয় বেতন স্কেলে সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল সুবিধা বহাল রাখার দাবি জানিয়েছে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। প্রজ্ঞাপন জারির আগেই এ সুবিধা বহাল চান তাঁরা। তাঁদের মতে, বার্ষিক ইনক্রিমেন্টের সঙ্গে সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেলের কোন সম্পর্ক নেই। চাকরিতে পদোন্নতি একটি একটি সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু অনেক সময় চাকরির ধরন ও প্রতিষ্ঠানের কাঠামো অনুযায়ী পদোন্নতি প্রদান করা সম্ভব হয় না। আর এ কারণেই মূলত সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল সুবিধা প্রবর্তন করা হয়। ইতোপূর্বে সকল পে-স্কেলে এ সুবিধা বহাল রাখা হলেও ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্টের অজুহাতে নতুন পে-স্কেলে তা বাদ দেয়া হয়েছে। এতে বেতন বৈষম্য ও আইনগত জটিলতা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা করছেন সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সংগঠনটির মহাসচিব রুহল আমিন স্বাক্ষরিত আবেদনে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত বেতন স্কেলে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি হলেও শুধু সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল বাদ দেয়াতে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ ও হতাশা বিরাজ করছে। গ্রেডভিত্তিক বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ॥ প্রস্তাবিত বেতন কাঠামোতে ২০তম থেকে ৬ষ্ঠ গ্রেড পর্যন্ত ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট প্রস্তার করা হয়েছে। কিন্তু বেতন স্কেল ২০০৯ এ ১৭তম থেকে ১০ গ্রেড পর্যন্ত জনবলের বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট হার অধিকাংশ ক্ষেত্রে ৬ শতাংশের উপরে। তবে প্রস্তাবিত নতুন বেতন কাঠামোতে এ হার কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি বিজ্ঞানী সংঘ ॥ বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি বিজ্ঞানী সংঘ’র (বায়েসা) সভাপতি ড. মোঃ মজিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ড. এএসএম সাইফুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘোষিত পে-স্কেলে প্রচলিত সিলেকশন গ্রেড টাইমস্কেলের সুবিধা না থাকার ফলে তারা চরম উদ্বিগ্ন। বিসিএস সমন্বয় কমিটি ॥ প্রজ্ঞাপন জারির আগেই সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল বহাল করার দাবি জানিয়েছে বিসিএস সমন্বয় কমিটি। এক প্রেস বিজ্ঞপিতে সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল বাদ দেয়ায় বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা কর্মচারীর মর্যাদা ক্ষুণœ এবং তাদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করা হয়েছে।
×