ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

তবু খুশি মিয়াঁদাদ

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ১৫ অক্টোবর ২০১৫

তবু খুশি মিয়াঁদাদ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দু’জনই যেন বিনয়ের অবতার। সাধারণত পাকিস্তানী চরিত্রের সঙ্গে যায় না! আবুধাবি টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যক্তিগত ৩৮ রানের পথে গ্রেট জাভেদ মিয়াঁদাদকে টপকে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ রানের নতুন রেকর্ড গড়েন ইউনুস খান। তখনই তিনি বলেছিলেন, ‘টপকে যাওয়া মানে গ্রেটনেস অতিক্রম নয়। আমি কখনই মিয়াঁদাদের সমকক্ষ নই।’ একদিন পর বিনয়ের উদাহরণ গড়ে সেটিই ফিরিয়ে দিলেন মিয়াঁদাদ। এবার বড়ে মিয়াঁ জানালেন, ইউনুসের কাছে রেকর্ড খুইয়ে খুশি তিনি! পাকিস্তান ক্রিকেটের পাহাড়চূড়ায় দাঁড়ানো নতুন নায়ককে অভিবাদন জানিয়েছেন আরেক সাবেক তারকা ইনজামাম উল হকও। ‘আমি খুবই খুশি যে এমন একজনের হাতে আমার রেকর্ড ভেঙ্গেছে, যে কিনা সবসময় দেশ এবং দলের জন্য খেলে থাকে। ইউনুস অত্যন্ত পরিশ্রমী ক্রিকেটার। প্রতিভা ও পরিশ্রম দিয়ে নিজেকে সৎ ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এটা মনগড়া বক্তব্য নয়, কাছে থেকে দেখেছি। ও আমার কোচিংয়ে খেলেছে, সব সময় তাকে একজন ভাল ছাত্র হিসেবেই জেনেছি। পাকিস্তান ক্রিকেটে ইউনুসের অবদান অনস্বীকার্য। ওর সৌভাগ্য কামনা করছি। এখনও ব্যাট হাতে ক্ষিধেটা প্রচ- রকমের। আশা করছি রেকর্ড গড়ার পারও সে থেমে থাকবে না। গত ১৫ বছর যেভাবে খেলে এসেছে নিজেকে সেভাবেই চালিয়ে নেবে’Ñ বলেন মিয়াঁদাদ। ১০২তম টেস্টে ইউনুসের মোট রান এখন ৮,৮৫২। ৮,৮৩২ রান নিয়ে দুইয়ে নেমে গেছেন মিয়াঁদাদ। আবুধাবিতে টস জিতে ব্যাটিং নেন অধিনায়ক মিসবাহ-উল হক। দুই ওপেনার শান মাসুদ ও মোহাম্মদ হাফিজ আউট হওয়ার পর ক্রিজে আসেন ইউনুস। ১০১ টেস্টে যখন তার নামের পাশে ৮,৮১৪ রান। ব্যক্তিগত ১৬ রান করে প্রথমে ইনজামাম-উল হক (৮,৮২৯) ও পরে ১৯ রান করে মিয়াঁদাদকে পেছনে ফেলেন খান সাহেব। রেকর্ড সামনে রেখে মঙ্গলবার ব্যাটিংয়ে নামার আগেই তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, মিয়াঁদাদকে ছাড়িয়ে যাওয়ার অনুভূতি কেমন হবে? ইউনুস বলছিলেন, ‘আমি কিছুতেই মিয়াঁদাদ-ইনজামামদের সমকক্ষ নই। তারা পাকিস্তান ক্রিকেটের স্বপ্নপুরুষ, আমারও আইডল। তাদের সঙ্গে নিজের তুলনা করাটা ধৃষ্টতার সামিল। পাকিস্তানের জয়ে অবদান রাখতে পারলেই আমি গর্ববোধ করি।’ রেকর্ড গড়ার পর অভিজ্ঞ ইউনুসের চোখে এখন প্রথম পাকিস্তানী হিসেবে টেস্টে ১০ হজার রানের অনন্য নজির গড়ার স্বপ্ন। ২০০৩-২০০৭ পর্যন্ত অধিনায়ক হিসেবে ইউনুসকে কাছ থেকে দেখেছেন ইনজামাম। উত্তরসূরি সম্পর্কে সাবেক অধিনায়কের মূল্যায়ন, ‘যখন ও দলে এলো আমি ওর মধ্যে কেবল প্রতিভাই দেখিনি বরং একজন কঠোর পরিশ্রমী ব্যাটসম্যানকেও দেখেছি। ইউনুসের বড় গুণ দলের প্রয়োজনে ঠিকই বড় ইনিংস খেলে দেয়।’ বর্তমান অধিনায়ক মিসবাহ-উল হক বলেন, ‘ড্রেসিং রুমে ওর মতো একজন গ্রেট ব্যাটসম্যানকে পেয়ে আমরা সত্যি গর্বিত। ১৯৭৬-১৯৯৩ পর্যন্ত ১২৪ টেস্টে ৮৮৩২ রান করে এতদিন পাকিস্তানের সর্বোচ্চ রানের মালিক ছিলেন মিয়াঁদাদ। এ দিন ব্যক্তিগত ১৫ রানের মাথায় ইংলিশ স্পিনার মঈন আলিকে বিশাল এক ছক্কা হাঁকিয়ে নিজের রান ২১Ñএ উন্নীত করার সঙ্গে সঙ্গেই রচিত হয় নতুন ইতিহাস। দীর্ঘ ২২ বছরের পুরনো রেকর্ড ভেঙ্গে নিজেকে শিখড়ে তুলে নেন ক্ল্যাসিক্যাল ব্যাটিংয়ের পুরোধা ইউনুস খান। আন্তঃজেলা মহিলা দাবা স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ধানম-ির সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ মহিলা ক্রীড়া সংস্থার ব্যবস্থাপনায় দুই দিনব্যাপী আন্তঃজেলা মহিলা দাবা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যক্তিগতভাবে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সাতক্ষীরার জান্নাতুল ফেরদৌস। রানারআপ হয়েছে নারায়ণগঞ্জের খুশি আক্তার। সেরা উদীয়মান দাবাড়ু হয়েছে সানজিদা সাকিব। জাতীয় দূরপাল্লা সাঁতার প্রতিযোগিতা স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ‘অনন্ত গ্রুপ জাতীয় দূরপাল্লা সাঁতার প্রতিযোগিতা’ আজ টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের বংশাই নদীতে অনুষ্ঠিত হবে। পুরুষ বিভাগে ১২ এবং মহিলা বিভাগে ৮ কিলোমিটার সাঁতার অনুষ্ঠিত হবে। পুরুষ বিভাগের ঘাটাইলের ৭৮নং রামপুর হাজীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু হয়ে ধলাপাড়া চৌধুরীবাড়ি ব্রিজের কাছে এসে শেষ হবে এবং মহিলা বিভাগে পেছার আটার বাজার ঘাট থেকে শুরু হয়ে ধলাপাড়া চৌধুরীবাড়ি ব্রিজের কাছে এসে সাঁতার শেষ হবে। এ প্রতিযোগিতা উপলক্ষে উন্মুক্ত বাছাইয়ের মাধ্যমে দশ সাঁতারুকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে। এরা হলেনÑ পুরুষ বিভাগে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর পলাশ চৌধুরী, আশিকুর রহমান, সেনাবাহিনীর ফয়সাল আহমেদ এবং বিকেএসপির জাহিদুল ইসলাম ও টিটু মিয়া; মহিলা বিভাগেÑ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সবুরা খাতুন, রুমানা আক্তার, নৌবাহিনীর নাজমা খাতুন এবং বিকেএসপির ড থৈ প্রু মারমা ও সোনিয়া খাতুন। এছাড়াও স্বাগতিক হিসেবে টঙ্গাইল জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে এক পুরুষ ও এক মহিলা সাঁতারু অংশ নেবেন। আজ সকাল সাড়ে ৯টায় প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করবেন টাঙ্গাইল জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মাহাবুব হোসেন।
×