ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের শুনানি ১ মাস পেছাল

প্রকাশিত: ০০:০৫, ১৫ অক্টোবর ২০১৫

প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের শুনানি ১ মাস পেছাল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজ লিমিটেডের শেয়ার কেলেঙ্কারি মামলার শুনানি ১ মাস পিছিয়েছে। পরবর্তী শুনানি আগামী ১৫ নবেম্বর রবিবার অনুষ্ঠিত হবে। আদালত সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। বৃহস্পতিার মামলার বাদী বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক নির্বাহী পরিচালক এম এ রশিদ খানকে জেরা করার কথা ছিল। কিন্তু তিনি আদালতে উপস্থিত না থাকায় বিচারক পরবর্তী দিন ধার্য করেন। এই বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মো. মোস্তাফিজুর রহমান দুলাল বলেন, বিএসইসির পক্ষের সাক্ষী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। আদালতে সাক্ষী উপস্থিত না হওয়ায় তার সাক্ষ্যের ওপরে জেরা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। প্রসঙ্গত, এর আগে সব বিচারিক কার্যক্রম শেষে বিচারক গত ১৩ সেপ্টেম্বর রায়ের দিন ধার্য করেন। তবে তখন পর্যন্ত এ মামলার কোনো আসামি আদালতে উপস্থিত হননি। পরে গত ৮ সেপ্টেম্বর আসামিরা আদালতে এসে জামিনের আবেদন করেন। আদালত ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর ১৩ সেপ্টেম্বর তারা স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন। একই সঙ্গে নতুন করে মামলাটির শুনানির আবেদন জানান। আদালত উভয় আবেদন মঞ্জুর করেন। আলোচিত মামলার আসামিরা হচ্ছেন কোম্পানির চেয়ারম্যান ও র‌্যাঙ্কস গ্রুপের কর্ণধার এম এ রউফ চৌধুরী, প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান, পরিচালক ও এইচআরসি গ্রুপের কর্ণধার সায়ীদ হোসেন চৌধুরী ও অনু জায়গীদার। মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামিরা প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের নামে ১৯৯৬ সালের জুলাই মাস থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার লেনদেন করেছেন। আলোচ্য সময়ে তারা মিতা টেক্সটাইল, প্রাইম টেক্সটাইল, বাটা সুজ ও বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ার লেনদেন করেছেন। যার মধ্যে ছিল বেক্সিমকো ফার্মার ১৩ লাখ ২৪ হাজার ৯৭৫টি শেয়ার। তবে ডেলিভারি ভার্সেস পেমেন্ট দিয়েছে ৯ লাখ ৯৮ হাজার ৭০০টি শেয়ারের। এছাড়া মিতা টেক্সটাইল লিমিটেডের ছিল ১ লাখ ১১ হাজার ৫৬০টি শেয়ারের বিপরীতে ১ লাখ শেয়ার, প্রাইম টেক্সটাইল লিমিটেডের ২ লাখ ৭৪ হাজার ৫০টি শেয়ারের বিপরীতে ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬৫০টি শেয়ার, বাটা সু লিমিটেডের ৫ লাখ ৫৩ হাজার ১০০টি শেয়ারের বিপরীতে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৫০টি শেয়ার বিদেশি ডেলিভারি ভার্সেস পেমেন্ট (ডিভিপি) দিয়েছে। আসামিরা ওই সব কোম্পানির শেয়ার অপারেট করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি, অপকার ও অনিষ্ঠ সাধন করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ ১৯৬৯-এর ২১ ধারা বলে গঠিত তদন্ত কমিটি ১৯৯৭ সালের ২৭ মার্চ একটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে আসামিরা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ ১৯৬৯-এর ১৭ ধারার ই(২) বিধান লংঘন ও সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ এর ২৪ ধারার অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়। এই মামলার সাক্ষীরা হলেন - বাদী বিএসইসির সাবেক নির্বাহী পরিচালক এমএ রশিদ খান, সাবেক চেয়ারম্যান মনির উদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর জহুরুল হক, প্রফেসর আমিরুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. রুহুল খালেক ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ দেলোয়ার হোসেন।
×