ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দলবদলের দাবিতে অনড় খেলোয়াড়রা যোগ দেননি ক্যাম্পে

এসএ গেমসে হকির অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ১৬ অক্টোবর ২০১৫

এসএ গেমসে হকির অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সঙ্কটের সুরাহা তো দূরের কথা, সেটা ঘনীভূত হলো আরও। আসন্ন এশিয়া কাপ ও এসএ গেমস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার থেকে দ্বিতীয় দফায় শুরু হওয়ার কথা ছিল হকির ক্যাম্প। কিন্তু নির্ধারিত দিনে সার্ভিসেস ও বিকেএসপির খেলোয়াড়রা রিপোর্ট করলেও ক্যাম্পে যোগ দেননি জিমি-পিন্টু-মিমোর মতো কুশলী হকি খেলোয়াড়রা। পেশাদার এই খেলোয়াড়দের ‘আগে দলবদল, পরে জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দেয়া’র পূর্বের দাবিতেই অনড় আছেন এখনও। দেশের সেরা হকি খেলোয়াড়দের না পেয়ে হতাশ বাংলাদেশ অলিম্পিক এ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা। তাদের না পেলে এসএ গেমসে দল না পাঠানোর চিন্তা-ভাবনা করছেন তিনি! আগামী নবেম্বরে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে অনুর্ধ-২১ এশিয়া কাপ। আর ফেব্রুয়ারিতে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে এসএ গেমসের দ্বাদশ আসর। এই দুই গেমসকে সামনে রেখে ৪০ খেলোয়াড়কে ক্যাম্পে ডেকেছিল ফেডারেশন। রিপোর্টিংয়ের শেষ সময় ছিল বৃহস্পতিবার বেলা তিনটা। রিপোর্টিং করেছেন মাত্র ১২ জন! এদের সবাই সার্ভিসেস দল ও বিকেএসপির। এ প্রসঙ্গে জাতীয় দলের কোচ মাহবুব হারুন বলেন, ‘বিমানবাহিনী ও বিকেএসপির ১২ খেলোয়াড় উপস্থিত হয়ে ক্যাম্পে রিপোর্ট করেছে। নৌবাহিনী ও সেনাবাহিনীর সাতজন করে খেলোয়াড় খুব শীঘ্রই রিপোর্ট করবে। ইতোমধ্যে তারা ফোন করে তা জানিয়েছে। নিজ নিজ বাহিনীর আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেই তারা ক্যাম্পে আসবে।’ বিওএ মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা বলেন, ‘পেশাদার খেলোয়াড়রা ক্যাম্পে না এলে ভারসাম্যপূর্ণ দল হবে না। তাই এসএ গেমসে বাংলাদেশের এমন হকি দলকে পাঠানোর কোন মানে হয় না।’ জাতীয় দলের তারকা খেলোয়াড় রাসেল মাহমুদ জিমি অবশ্য জানান, তিনি ক্যাম্পে যোগ দিচ্ছেন না পারিবারিক সমস্যার কারণে- ‘আমি ফেডারেশনে চিঠি জমা দিয়ে এসেছি। পারিবারিক সমস্যার কারণে ক্যাম্পে যোগ দিতে পারছি না।’ দলবদল প্রসঙ্গে জিমির ভাষ্য- ‘সব পেশাদার খেলোয়াড়ই চান দলবদল হোক। এটাই আমাদের রুটি-রুজির একমাত্র পথ। আমিও চাই দলবদল হোক। আবারও লিগ টার্ফে গড়াক। দেশে হকি সমস্যার সমাধান হোক সব খেলোয়াড়ই তা চায়।’ যদি মূলধারার খেলোয়াড়রা ক্যাম্পে যোগ না দেন, তাহলে এসএ গেমসে দল না পাঠানোর পক্ষে বিওএ। যদি এমনটা হয় তাহলে দেশের বাইরে নষ্ট হবে বাংলাদেশের হকির সুনাম। বিষয়টা কি ঠিক হবে? জিমির উত্তর, ‘ইতোমধ্যেই খারাপ প্রভাব পড়েছে। দেশের বাইরে অনেকেই জানেন কি হচ্ছে আমাদের হকিতে। এক কথায় দেশের হকিটা ধ্বংসের পথে যাচ্ছে। বিওএর সিদ্ধান্তও সঠিক। বাজে একটা টিম পাঠিয়ে দেশের সুনাম নষ্ট করারও কোন মানে হয় না। এর সমাধানও আছে। সবাই বসে দলবদলের ব্যবস্থা করলেই তো সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।’ বাইরে থাকা খেলোয়াড়রা ক্যাম্পে রিপোর্ট না করায় হতাশ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক খাজা রহমতউল্লাহও। যে কোন মূল্যে এ সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত বলে মনে করছেন তিনি। আর সমস্যার সমাধান করতে আগামী সপ্তাহে সভায়ও বসবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
×