ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাজারে পর্যাপ্ত ইলিশ, কিনতে ভিড়

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ১৭ অক্টোবর ২০১৫

বাজারে পর্যাপ্ত ইলিশ, কিনতে  ভিড়

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ায় বাজারে আসতে শুরু করেছে মাছের রাজা ইলিশ। মিঠাপানির মাছের সরবরাহও বাড়তে শুরু করেছে। এতে কমে আসছে মাছের দাম। তবে চালের দাম ফের বেড়েছে। দাম কমেছে পেঁয়াজ, আলু, ব্রয়লার মুরগি ও পামওয়েলের। ডাল, চিনি, আটা ও ডিমের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। আর সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম কমেনি। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এদিকে, সাগর ও নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। সেই ইলিশ এখন রাজধানীর বাজারে। ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা শেষ হয়েছে গত সপ্তায়। আশা করা হয়েছিল, ১৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকলে মা ইলিশগুলো ডিম ছাড়ার সুযোগ পাবে। কিন্তু বাজারে যে মাছগুলো আসছে সেগুলো অধিকাংশই ডিমওয়ালা মা ইলিশ। তাই ইলিশের প্রজনন মৌসুমের সঠিক সময় নির্ধারণ করে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া উচিত বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। তবে ডিমওয়ালা ইলিশ পেয়ে খুশি ক্রেতারা। মাঝারি সাইজের প্রতিজোড়া ইলিশ বিক্রি হচ্ছে দেড় থেকে ২ হাজার টাকায়। এছাড়া ছোট সাইজের এক হালি ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে ২ হাজার টাকায়। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ইলিশের ডালির সামনে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেল। তারা কিনছেন পছন্দমতো ইলিশ। ফকিরাপুল বাজারে ইলিশ কিনতে এসেছেন গোড়ানের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম মিয়া। তিনি জানালেন, নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর তিনি আর ইলিশ মাছ খাননি। এখন সেই সময় শেষ হয়েছে তাই ইলিশ কেনা। এটি অত্যন্ত সুস্বাদু ও দেশের জাতীয় মাছ। এই মাছ রক্ষায় সরকারের পাশাপাশি মানুষেরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, শুধু ইলিশ নয়, মিঠাপানির অনেক মাছ এখন বিলুপ্তির পথে। এ জন্য আমরাই দায়ী। ভাতের সঙ্গে মাছ পেলে বাঙালীর আর কিছু প্রয়োজন হয় না। তাই ইলিশসহ সব ধরনের মাছ রক্ষায় আমাদের সতর্ক থাকা প্রয়োজন। এদিকে, চালের দাম ফের আরেকদফা বেড়েছে। ধানের মৌসুম শেষ পর্যায়ে তাই সপ্তাহের ব্যবধানে মানভেদে রাজধানীতে চালের দাম কেজিপ্রতি ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে মিনিকেট চাল প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৬ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ৪৪ টাকায় বিক্রি হয়েছে। নাজিরশাইল চাল ২ টাকা বেড়ে ৫৪ টাকা। লতা ৪০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ৩৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়া মোটা গুটি স্বর্ণা প্রতিকেজি ৩০ থেকে ৩২ টাকা, যা গত সপ্তাহে ২৮ থেকে ২৯ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বিআর আটাশ মানভেদে বেড়ে ৩৮ থেকে ৪০ টাকায়। বিআর ঊনত্রিশ মানভেদে বেড়ে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চালের দাম বাড়া প্রসঙ্গে ব্যবসায়ীরা জানান, চালের মৌসুম শেষ, তাই একটু দাম বেড়েছে। নতুন চাল বাজারে আসা শুরু করলেই দাম কমবে। তবে কবে থেকে নতুন চাল বাজারে আসবে ও দাম কমবে এ বিষয়ে জানেন না ব্যবসায়ীরা। এদিকে সরকারী সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ টিসিবি’র তথ্যমতে, চলতি সপ্তায় জাত ও মানভেদে সরু চাল ৪০-৫২, মাঝারি মানের ৪০-৪৪ এবং মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৩২-৩৪ টাকায়। এছাড়া পেঁয়াজের দাম কমে দেশীটি ৬০-৭০, আমদানি ৪৫-৬০, আলু ২৪-২৭, ব্রয়লার মুরগি ১১৫-১২৫ এবং পামওয়েল লুজ ৫৮-৬০, পামওয়েল সুপার ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ডিম ফার্ম ৩০-৩২, মসুর ডাল ৯৫-১৩৫, আটা ২৮-৩৬ টাকায় প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম কমছে না।
×