ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মুহম্মদ শফিকুর রহমান

বিএনপি-জামায়াত কেন আইএস টানছে

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ১৭ অক্টোবর ২০১৫

বিএনপি-জামায়াত কেন আইএস টানছে

বিএনপি জামায়াত শিবির এতদিন আন্দোলনের নামে নিজেদের যত অপকর্ম সবকিছুর দায় আওয়ামী লীগ তথা মহাজোটের ওপর চাপিয়ে আসছিল। যখন দেখল কাজ হচ্ছে না, বরং বুমেরাং হচ্ছে, তখন দায়টা আন্তর্জাতিক জঙ্গী আইএসের কাঁধে চাপিয়ে পার পেতে চাইছে। এতদিন বলেছে, পেট্রোলবোমা মেরে মানুষ হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ, বাস-ট্রেনে পেট্রোলবোমা মেরে নারী ও শিশুসহ অসংখ্য যাত্রীকে পুড়িয়েছে আওয়ামী লীগ, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাও চালিয়েছে আওয়ামী লীগ, পার্লামেন্টে বলেছে, শেখ হাসিনা ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে বঙ্গবন্ধু এভিনিউর সমাবেশে গিয়েছিলেন এবং সেই গ্রেনেডই বিস্ফোরিত হয়- একথা যখন বিএনপি-জামায়াত এমপিরা পার্লামেন্টে বলছিলেন তখন খালেদা জিয়া টেবিল চাপড়ে উপভোগ করছিলেন-প্রিয় পাঠক আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে বিএনপি-জামায়াত ও জঙ্গী শিবিরের পেট্রোলবোমায় পুড়ে কালো কাঠ হয়ে যাওয়া বগুড়ার মনিরের কথা! ড্রাইভার বাবার পাশে বসে কাভার্ড ভ্যানে করে ঢাকা আসছিল রাজধানী শহর দেখতে। অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। তার শহর দেখা হলো না, জীবন প্রদীপ নিভে গেল পথেই। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ দেশের সব সরকারী-বেসরকারী হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের তথ্য সংগ্রহ করা গেলে সংখ্যা শ’ থেকে হাজারে দাঁড়াবে। এমনকি গরুবাহী ট্রাকে পেট্রোলবোমা মেরে নিরীহ প্রাণী হত্যার ঘটনা ভুলব কেমন করে? এত কিছু করেও যখন দেখল কাদের মোল্লা- কামারুজ্জামানের ফাঁসির দ- ঠেকানো গেল না, সাকা-সাঈদী-মুজাহিদের দ-ও যথারীতি ঘোষিত হয়ে গেল তখন কিছুদিন দম নিয়ে আবার মাঠে নামার পাঁয়তারা করছে, তবে এবার কৌশল পাল্টেছে। বেছে বেছে মানুষ হত্যা করে চলেছে। দুই বিদেশী ইতালিয়ান নাগরিক সিজার তাভেলা ও জাপানী নাগরিক হোশি কুনিও হত্যাকা-ের দায় এবার আন্তর্জাতিক ইসলামিক স্টেট জঙ্গীদের কাঁধে চাপিয়ে রাজপথে নামবার চেষ্টা করছে। এতে কিছুটা সফল হয়েছে, রাজপথে নামতে না পারলেও দেশী-বিদেশী মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। দ্বিতীয়ত অস্ট্রেলীয় ও দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট টিম বাংলাদেশে আসছে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। তবে এটাও ঠিক আমেরিকার মতো বিশ্বমোড়লদের কাছে টানতে সক্ষম হয়নি। কারণ তারা জানে বাংলাদেশে গডমাদার খালেদার নেতৃত্বে ও পৃষ্ঠপোষকতায় জামায়াত-শিবির ওই সব অপকর্ম করছে। বিশ্বনেতারা দেখছে যারা আন্দোলনের ডাক দিলে রাজপথে মানুষ নামে না তাই পেট্রোলবোমা মেরে মানুষ পুড়িয়ে মারে, তারা সন্ত্রাসী জঙ্গী সংগঠন হতে পারে কিন্তু এর পেছনে রাজনীতি কাজ করছে না। ষড়যন্ত্র কাজ করে। আর তাইতো মানুষ মেরে আন্দোলনের গতি সঞ্চালনের পথে এগুতে ব্যর্থ চেষ্টা করেছে। কে না জানে বাংলাদেশে জঙ্গীবাদ ও জঙ্গী উত্থান ঘটে জামায়াতের হাতে, জিয়া-খালেদার পৃষ্ঠপোষকতায়। মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত এই যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠী একাত্তরের স্বাধীনতার পর আত্মগোপনে থেকেছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনককে হত্যার পর জিয়ার হাত ধরে অন্ধকার বিবর থেকে বেরিয়ে আসে এবং জিয়া, সাত্তার এরশাদের হাত হয়ে খালেদা জিয়ার সরকারের আমলে রীতিমতো ক্ষমতার ভাগসহ সরকারের অংশীদার এবং দুই জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মুজাহিদ মন্ত্রী হন। তাদের গাড়িতে শহীদের রক্তরঞ্জিত জাতীয় পতাকা উড়তে দেয়া হয়। ভালই কাটছিল তাদের ব্যক্তিগত, দলীয় এবং রাষ্ট্রীয় জীবন। উল্লেখিত সরকারগুলোর মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে তারা নিজেদের আর্থিক ভিত মজবুত করার লক্ষ্যে ব্যাংক-বীমা, হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, কোচিং সেন্টার, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ সেন্টারসহ হাজারো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। মিলাদ পড়ে, জানাজায় ইমামতি করে হাদিয়া খাওয়া মোল্লা রাতারাতি বাড়ি, গাড়ির (পাজেরো ল্যান্ড ক্রুজার) মালিক বনে যান। সঙ্গে সঙ্গে ক্যাডার সাপ্লাই দিয়ে গড়ে তোলে জঙ্গী বাহিনী হিযবুল মুজাহিদীন, হিযবুত তাহ্্রীর, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, হামযা ব্রিগেড, আল্লাহর দল প্রভৃতি জঙ্গী সংগঠন। এরাই বায়তুল মোকাররমের পাশে সমাবেশ করে সেøাগান তুলেছিল “আমরা হব তালেবান-বাংলা হবে আফগান”। এরাই উত্তরবঙ্গে (রাজশাহী) প্রকাশ্যে হত্যাযজ্ঞ চালায়, অস্ত্রের মহড়া দেয়। এদের মূল শক্তি হলো হেজাবি (হেফাজত-জামায়াত-বিএনপি) এবং খেলাফত নামধারী সংগঠন। বাংলাদেশে এ যাবত যত হত্যাকা-, যত সন্ত্রাস, বিশেষ করে ২০১৪-এর ৫ জানুয়ারির নির্বাচন-পূর্ব বছরব্যাপী (২০১৩) এবং ২০১৫-এর প্রথম ৯২ দিনের সন্ত্রাস, জ্বালাও-পোড়াও পেট্রোলবোমা বিস্ফোরণ, রাস্তা কেটে ও পথিপার্শ্বের গাছ কেটে অরাজকতা সৃষ্টিও এরাই করেছিল। কারণ এতদিন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হয়ে গেছে এবং কাদের মোল্লা, কামারুজ্জামানের ফাঁসি হয়ে গেলে তারা পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে দেড় শতাধিক মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করল, বাসে আগুন দিয়ে ঘুমন্ত বাসচালক হত্যা করল, শত শত মানুষকে আগুনে ঝলসে দিল, যাত্রীবাহী ট্রেন, বাস, ট্রাক, রিক্সা, অটোরিক্সায়, পেট্রোলবোমা মেরে পুড়িয়ে মানুষ মারল, সম্পদ ধ্বংস করল। শাপলা চত্বরে সমাবেশ করে এবং মতিঝিল, গুলিস্তান, বায়তুল মোকাররম, বিজয়নগর, বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউ পুরো এলাকায় অগ্নিসংযোগ করল পবিত্র কোরান ও হাদিস পুড়িয়ে ছাই করল, তবু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকানো গেল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী সিদ্ধান্ত এবং প্রশাসনের পদক্ষেপে, বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ত্বরিত হস্তক্ষেপে হেজাবিকুল ব্যর্থ হলো। ১৯ বার শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালানো হলো কিন্তু তিনি দৃঢ় প্রত্যয়ের সঙ্গে সন্ত্রাস দমন করে চললেন। হেজাবি নেত্রী খালেদা জিয়া বাড়ি ছেড়ে গুলশান কার্যালয়ে গিয়ে স্বেচ্ছা অবরোধ রচনা করে পণ করলেন সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরবেন না। কিন্তু ফিরতে হলো ব্যর্থ হয়েই। এতকিছুর পরও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকানো গেল না। হেজাবি নেত্রী এবার লন্ডন গেলেন দুর্নীতির দায়ে ফেরারি আসামি পলাতক পুত্র তারেক রহমানের কাছে। এরই মধ্যে যুদ্ধাপরাধী সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদের ফাঁসির চূড়ান্ত রায় হয়ে গেল। আর এদিকে কর্মসূচী দেয়া হলো গুপ্ত হত্যার। এরই ধারাবাহিকতায় দুই বিদেশী নাগরিককে হত্যা করে বিদেশের কাছে ম্যাসেজ দেবার চেষ্টা করা হলো এই বলে যে, “বাংলাদেশ নিরাপদ জায়গা নয়।” এবার দায়টা নিজের কাঁধ থেকে আন্তর্জাতিক ইসলামিস্ট জঙ্গী সংগঠন আইএসের কাঁধে চাপানোর চেষ্টা করা হলো। এ মুহূর্তে এই সংগঠন সবচে শক্তিশালী আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠন। কে বা কারা এই ইসলামিক স্টেট বা আইএস অর্থাৎ ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক এ্যান্ড সিরিয়া গঠন করে? এর বর্তমান প্রধানের নাম ইব্রাহিম আওয়াদ ইব্রাহিম আলী আল বদরি আল সামারাই। উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী তার জন্ম ১৯৭১ সালে ইরাকের সামারাতে। যে কারণে তার নামের শেষে সামারাই যোগ হয়েছে। তিনি বাগদাদের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামিক স্টাডিজে ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন। তার টার্গেট হলো ইরাকের পশ্চিমাঞ্চল ও সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে একটি ইসলামিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, যার নীতি হবে ইসলামী শরিয়া। এই রাষ্ট্রের প্রধান বা খলিফা হলেন এই ইব্রাহিম আইয়াদ ইব্রাহিম আল বদরি আল সামারাই। মূলত তিনি একজন কথিত জিহাদী নেতা এবং ২০১১ সালে আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্ট তাকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হিসেবে ঘোষণা করে। তাকে অনেক নামে ডাকা হয়। যেমন (১) ইব্রাহিম আওয়াদ ইব্রাহিম আলী আল বদরি আল সামারাই (২) আবু বকর আল বাগদাদী (৩) ইব্রাহিম ও আবু দুইয়া (৪) খলিফা ইব্রাহিম প্রমুখ। তবে আবু বকর আল বাগদাদী নামে বেশি পরিচিত। ২০১৪ সালে ২৯ জুন আল বাগদাদীর পরিকল্পিত ইসলামিক স্টেটের ঘোষণা দেয়া হয় এবং তিনি ওই স্টেটের প্রধান বা খলিফা হন। একটা সময় ছিল যখন আল কায়েদার নামে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্ব কাঁপত। কিন্তু সুন্নি আরব জঙ্গীদের সংগঠন আইএসের উত্থানের পর থেকে আল কায়েদা ঢাকা পড়ে যায়। বিবিসির মতে অল্পদিনেই আইএসের বিস্ময়কর উত্থান ঘটে এবং বর্তমানে তাদের ৮০ হাজার ট্রেইন্ড (প্রশিক্ষিত) যোদ্ধা রয়েছে, যাদের মধ্যে সিরিয়ায় যুদ্ধ করছে ৫০ হাজার এবং ইরাকে ৩০ হাজার। ইরাক ও সিরিয়ায় ৪০ হাজার বর্গকিলোমিটার আইএসের দখলে আছে বলে দাবি করা হয়। বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, ইসলামী স্টেটের (আইএস) খালিফা আবুবকর আল বাগদাদী বা খলিফা ইব্রাহিম ওসামা বিন লাদেনের চেয়ে জঙ্গী তৎপরতায় বেশি সফল এবং নেতৃত্বও। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আইএস জঙ্গীরা আটক নারী ও শিশুদের যৌন দাসী হিসেবে ব্যবহার করে। আইএসের কবল থেকে পালিয়ে আসা ৪০ জনেরও বেশি ইয়াজিদি নারীর সঙ্গে কথা বলে সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্থা এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আরেকটি দুর্নাম কামায় ইরাক ও সিরিয়ায় গণহত্যা চালিয়ে। ওই সব চিত্র ইন্টারনেটে প্রকাশ হবার পর বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে। এত কিছুর পরও কেন আইএসের প্রতি ঝুঁকছে মানুষ, বিশেষ করে তরুণ সমাজ। আমার ধারণা ধর্মপ্রাণ মানুষের কাছে ইসলামী শরিয়াভিত্তিক রাষ্ট্র ভাবনা এবং অর্থ সম্পদ। কারণ মানুষ তাদের কালো চেহারাটা দেখে না। অর্থাৎ মুসলিম জন গোষ্ঠীকে শরিয়াভিত্তিক রাষ্ট্র ভাবনা খুব সহজেই প্রভাবিত করছে। অর্থ সম্পদের পাহাড়ও কিছু মানুষকে টানছে। এ সব অর্থ তারা সংগ্রহ করছে আরব গালফ রাষ্ট্রের নাগরিকদের কাছ থেকে। ইরাক ও সিরিয়ায় তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় তেল ও গ্যাস থেকে এবং চোরাচালান, চাঁদাবাজি, অপহরণ ও দখলকৃত এলাকার ব্যাংক থেকে। এসব খুব কম মানুষই জানে। বাংলাদেশের জামায়াতও এখন তাদের পথ ধরে এগোতে চাচ্ছে। খুব বেশি দিন নয়, জামায়াতের ছাত্র সংগঠন, ছাত্র শিবির যার নাম রগকাটা, গলাকাটা শিবির, এর এক নেতা শাপলা চত্বরে ঘোষণা দিয়েছিল, যুদ্ধাপরাধী বিচার ট্রাইব্যুনাল বন্ধ না করলে দেশে ‘গৃহযুদ্ধ’ হবে। এক সময় বেগম খালেদা জিয়াও বলেছিলেন, বাংলাদেশে কোন যুদ্ধাপরাধী নেই, ক্ষমতায় গেলে ট্রাইব্যুনাল ভেঙ্গে দেবেন। তারপর থেকেই লক্ষ্য করা গেল জামায়াত-শিবির দ্রুত জঙ্গী হয়ে উঠেছে। হিযবুল মুজাহিদীন, হিযবুত তাহ্্রীর আনসারউল্লাহ বাংলা, টিম হামযা ব্রিগেড প্রভৃতি জঙ্গী সংগঠন গড়ে তুলে ২০১৩ পুরো বছর এবং ২০১৫’র প্রথম ৯২ দিন সন্ত্রাসী, হত্যা, আগুনে পোড়ানোর মতো জঙ্গী কর্মকা- পরিচালনা করে। কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার তা দৃঢ়তার সঙ্গে মোকাবিলা করেন। তাদের টার্গেট ব্যর্থ হয়। এরপর গত ৬ মাসে কোন কার্যক্রম ছিল না। বিশ্লেষকরা মনে করছেন ওই সময়টা ছিল পুনরায় সংগঠিত হবার এবং শক্তি সঞ্চয় করার সময়। এখন কৌশল পাল্টে গুপ্তহত্যার আশ্রয় নিয়েছে। সে ক্ষেত্রেও বিদেশী নাগরিক হত্যার উদ্দেশ্য বহির্বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ। বিশেষ করে আইএসের। জামায়াত-শিবির এতদিন জিয়া-খালেদাকে ব্যবহার করেছে। এবার আইএসের নাম ভাঙ্গিয়ে অপকর্ম করতে চাচ্ছে। ঢাকা- ১৬ অক্টোবর ২০১৫ লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক ও সভাপতি, জাতীয় প্রেসক্লাব
×