ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

হাসপাতাল ছেড়ে বাড়িতে মাশরাফি

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ১৭ অক্টোবর ২০১৫

হাসপাতাল ছেড়ে বাড়িতে মাশরাফি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এক সপ্তাহ হাসপাতালে কাটাতে হয়েছে। অবশেষে ঘরে ফিরতে পেরেছেন। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার কারণে গত বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার এ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল মাশরাফি বিন মর্তুজাকে। চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়েই নিজ বাসায় ফিরেছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে ও টি২০ অধিনায়ক। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী জানিয়েছেন বর্তমানে অনেক খানিই সুস্থ হয়ে ওঠার কারণেই মাশরাফি হাসপাতাল ছেড়েছেন। ফলে শনিবার থেকে শুরু হওয়া জাতীয় ক্রিকেট লীগের (এনসিএল) চতুর্থ রাউন্ডেও ফেরা হবে না ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ এ পেসারের। কারণ খেলার জন্য যথেষ্ট অনুশীলন ও ফিটনেস ফিরে পাওয়ার জন্য বিশ্রাম প্রয়োজন তার। শেষ পর্যন্ত এবার এনসিএলে ফেরার মধ্য দিয়ে ভাল করার মাধ্যমে জাতীয় দলের জার্সিতে টেস্ট ক্রিকেটেও প্রত্যাবর্তনের যে চিন্তা করেছিলেন সেটাও করতে পারছেন না। সদ্য সমাপ্ত এনসিএলের তৃতীয় রাউন্ডে নিজ দল খুলনা বিভাগের হয়ে খেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তৃতীয় রাউন্ড শুরুর ঠিক দু’দিন আগে হুট করে তীব্র জ্বরে আক্রান্ত হন তিনি। এরপর তাকে গভীর রাতে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। পরদিন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নিশ্চিত হয় মাশরাফি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। ওই বিষয়ে বিসিবি চিকিৎসক দেবাশিষ বলেছিলেন, ‘মাশরাফি এখন হাসপাতালেই আছেন। তার রক্তে প্লেটলেট (অনুচক্রিকা) কমে গেছে। এটি কমে গেলে দুই ঘণ্টা পরপর পর্যবেক্ষণ করতে হয়। যতদিন পর্যন্ত অনুচক্রিকার পরিমাণ সঠিক জায়গায় না আসবে ততদিন হাসপাতালেই থাকতে হবে। তবে সাধারণত এটি ৫ থেকে ৭ দিনেই ঠিক হয়ে যায়। যদি এরচেয়ে বেশি লাগে সেক্ষেত্রে আরও বেশিদিন থাকতে হবে হাসপাতালে।’ অবশেষে সাত দিনই লাগলো তার বাড়ি ফিরতে। শুক্রবার দুপুরে নিজের বাড়িতে ফেরেন মাশরাফি। হাসপাতালের চিকিৎসকরা ছাড়াও মাশরাফিকে পর্যবক্ষেণ করেছেন দেবাশিষ। এখন তিনি অনেকটাই সুস্থ। যদিও আর কিছুদিন হাসপাতালে থাকলে কিছুটা ভাল হতো বলেই জানিয়েছেন দেবাশিষ। তিনি বলেন, ‘মাশরাফিকে বলা হয়েছে চাইলে তিনি হাসপাতালে থাকতে পারেন। সেক্ষেত্রে আরও কিছুটা পর্যবেক্ষণ করা যাবে। আবার বাড়িতেও যেতে পারেন এবং ডাক্তারের নির্দেশনা মেনে চললেই যথেষ্ট। মাশরাফি দুপুরেই বাড়ি ফিরে যান।’ মাশরাফি এবার এনসিএলে খেলতে চেয়েছিলেন। তার লক্ষ্য ছিল অন্তত দুই রাউন্ড খেলে আবারও টেস্ট দলে ফেরার সামর্থ্য প্রমাণ করা। কিন্তু সেটা হলো না এবার ডেঙ্গু জ্বরের সংক্রমণে। ২০০৯ সালের জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে কিংসটাউনে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন মাশরাফি। আর দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেট খেলেছিলেন গত বছর এনসিএলে প্রায় সাড়ে ৫ বছর পর। জানুয়ারিতে আরেক প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট আসর বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগেও (বিসিএল) সর্বশেষ খেলেছেন।
×