ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আগস্টে সঞ্চয়পত্রে বিক্রি আড়াই হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত: ০১:২৩, ১৭ অক্টোবর ২০১৫

আগস্টে সঞ্চয়পত্রে বিক্রি আড়াই হাজার কোটি টাকা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ লাগাম টানতে সুদের হার কমানো হলেও গেল অর্থবছর জুড়ে রেকর্ড পরিমাণে বিক্রি হয়েছে সঞ্চয়পত্র। বিক্রির এই ধারাবাহিকতা চলতি অর্থবছরেও দেখা গেছে। অর্থবছরের দ্বিতীয় আগস্ট মাসে সঞ্চয়পত্রে নিট বিনিয়োগ আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি এসেছে । যা গত অর্থবছরের জুলাই মাসের তুলনায় ১৮০ কোটি টাকা বেশি। জাতীয় সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তরের সর্বশেষ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫-১৬ অর্থবছরের আগস্ট মাসে এ খাতে নীট বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৬৫১ কোটি ২৮ লাখ টাকা, যা গত অর্থবছরের তুলনায় ১৮০ কোটি টাকা বেশি। গত অর্থবছরের জুলাই মাসে সঞ্চয়পত্রে নিট বিক্রি আসে ২ হাজার ৪৭১ কোটি টাকা। তার আগের দুই মাস জুন ও মে মাসে বিক্রির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ২ হাজার ১৭০ কোটি এবং ২ হাজার ৪৩৪ কোটি টাকা। গত বছরের অগাস্টে ২ হাজার ৪৭১ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছিল। চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-অগাস্ট) ৪ হাজার ৬২৭ কোটি ১৯ লাখ টাকার নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। গত বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৩২৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। জানা যায়, সঞ্চয়পত্র বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় ঋণের ভার কমাতে গত ২৩ মে সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের সুদের হার প্রায় ২ শতাংশ করে কমায় সরকার। তবে ওই সময়ের আগে যারা সঞ্চয়পত্র কিনেছিলেন, তারা আগের সুদেই মুনাফা পাবেন বলে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর জানায়। ২৩ মের আগ পর্যন্ত পাঁচ বছর মেয়াদি পরিবার ও পেনশনার সঞ্চয়পত্র কিনলে ১৩ দশমিক ৪৫ ও ১৩ দশমিক ২৬ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যেত। সুদের হার কমানোর পর এখন কেউ পাঁচ বছর মেয়াদি পারিবারিক সঞ্চয়পত্র কিনলে ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ হারে সুদ পাবেন। আর পাঁচ বছর মেয়াদি পেনশনার সঞ্চয়পত্রে সুদের হার ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ হয়েছে। ৩ বছর মেয়াদি ৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে ১২ দশমিক ৫৯ শতাংশ থেকে কমিয়ে সুদ হার ঠিক করা হয়েছে ১১ দশমিক ৪ শতাংশ। অন্যদিকে তিন বছর মেয়াদি ডাকঘর সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে সুদ হার ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে ১৩ দশমিক ১৯ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ করা হয়েছে।
×