অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পোশাক খাতের আন্তর্জাতিক ব্রান্ড এইচ এন্ড এম বাংলাদেশ সফর বাতিল করেনি। গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার এইচ এন্ড এম‘র গ্লোবাল চেইনের এমডি (ব্যবস্থাপনা পরিচালক) বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। এই সময় তিনি তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি সঙ্গে বৈঠক করেন বলে জানান বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। এছাড়া সম্প্রতি বাংলাদেশে দুই বিদেশী খুনের ঘটনায় দেশে-বিদেশে ‘ওভার রি-অ্যাকশন’ দেখানো হয়েছে বলে মনে করেন বিজিএমইএ সভাপতি। তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা যুক্তরাষ্ট্র-অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশেও ঘটে। এটা পোশাক খাতে প্রভাব ফেলার কোনো কারণ নেই। গত কয়েকদিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, নাইজেরিয়াসহ বিভিন্ন দেশে অনেক হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটে। সেই হিসেবে বাংলাদেশের ঘটনায় অনেক বেশি রি-অ্যাকশন দেখানো হয়েছে।
শনিবার দুপুরে বিজিএমইএ’র কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সম্প্রতি বাংলাদেশে দুই বিদেশী খুনের ঘটনা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে সিদ্দিকুর রহমান এই সব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আনোয়ারুল আলম চৌধুরী পারভেজ ও আবদুস সালাম মুর্শেদী, বর্তমান সহ-সভাপতি মইনুদ্দিন আহমেদ, ফারুক হাসান, এসএম মান্নান, মাহমুদ হাসান খান ও মোহাম্মদ নাসির প্রমুখ।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বাংলাদেশ সব মানুষের জন্য নিরাপদ। এখানে বিদেশীরা নির্বিঘেœ চলাফেরা করতে পারেন। বর্তমান সরকার অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে জঙ্গি নিয়ন্ত্রণ করেছেন। তাই এখানে সন্ত্রাসবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারেনি। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভালো আছে। সার্বিক নিরাপত্তায় সরকার বিশেষ নজর দিচ্ছে।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এধরণের ঘটনায় স্বার্থান্বেষী মহল জড়িত থাকতে পারে বলে তাঁরা আশংকা করেন। তবে, তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার আগে এই ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজি নন তিনি।
পোশাক ও শিল্পখাতে সার্বিক পরিস্থিতি ও করণীয় নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প চাপে রয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি ট্রান্স প্যাসিফিক পার্টনারশিপ (টিপিপি) চুক্তি সম্পাদিত হওয়ার পর এ চাপ আরও বাড়তে পারে বলে শঙ্কাও প্রকাশ করেছেন তিনি।
সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এই চুক্তির ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রফতানিতে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়বে বাংলাদেশ। কারণ চুক্তির আওতায় বাংলাদেশের প্রধান প্রতিদ্বদ্বী ভিয়েতনাম বিনাশুল্কে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানি করতে পারবে, জিএসপি স্থগিত থাকার কারণে বাংলাদেশ সে সুযোগ পাচ্ছে না।
আরেক প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, টিপিপিতে ১২টি দেশকে সুযোগ দেওয়াটা ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। আমরাও এই সুযোগ পেতে বাই-লেটারালি চেষ্টা করবো। এছাড়া রাশিয়ার বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশের সুবিধা পাওয়ার ব্যাপারে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: