ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

গল টেস্টে ইনিংস ও ৬ রানে হার ক্যারিবীয়দের, ১০ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা স্পিনার রঙ্গনা হেরাথ

বড় জয়ে এগিয়ে গেল লঙ্কানরা

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ১৮ অক্টোবর ২০১৫

বড় জয়ে এগিয়ে গেল লঙ্কানরা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গল টেস্টের চতুর্থ দিনেই অতিথি ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ইনিংস ও ৬ রানের বড় জয় পেল লঙ্কানরা। এ জয়ে দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০-তে এগিয়ে গেল এ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের দল। একচেটিয়া দাপটের টেস্টে প্রথম ইনিংসে অলআউট হওয়ার আগে ৪৮৪ রানের পাহাড় গড়ে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৫১ রানে গুটিয়ে গিয়ে ফলোঅনে পড়ে দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নামে উইন্ডিজ। লজ্জাজনক হারের পথে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্রায়ান লারার উত্তরসূরিরা অলউআউট হয় ২২৭ রানে। (৬ + ৪) মোট ১০ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন লঙ্কান অভিজ্ঞ স্পিনার রঙ্গনা হেরাথ। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে সিরিজ নির্ধারণী দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট বৃহস্পতিবার থেকে। ফলোঅনে পড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ শনিবার ২ উইকেটে ৬৭ রান নিয়ে চতুর্থ দিন দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে। ইনিংস হার এড়াতে জেসন হোল্ডারদের প্রয়োজন ছিল আরও ১৬৬। দেখার ছিল সেটিই। হেরাথ-ঘূর্ণির মুখে লড়াই যা করার একা জার্মেন ব্ল্যাকউডই করলেন। বাকি ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় নিদেন ইনিংস হার এড়াতে ব্যর্থ অতিথিরা। চতুর্থ দিনে ম্যাচের আয়ু ৪১.৩ ওভার। বাকি ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান যোগ করতেই অলআউট ওয়েস্ট ইন্ডিজ। স্রোতের বিপরীতে ব্যাটিং করা ব্ল্যাকউড আউট হন ৯২ রান করে। ১৩৫ বলের ইনিংসটি ১০ চার ও ৩ ছক্কায় সাজানো। পেসার ধাম্মিকা প্রসাদের বলে কুশল সিলভার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৪ ওপেনার ক্রেইগ বেওথওয়েটের। ৩১ রান আসে ওয়ানডাউনে নামা ড্যারেন ব্রাভোর ব্যাট থেকে। প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ ৫০ রান করেছিলেন ব্রাভো ভাইদের ছোটজন। শেষদিকে অধিনায়ক জেসন হোল্ডার ১৮ আর উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান দীনেশ রামদিন ১১ রান করলেও ইনিংস হার এড়ানোর জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। প্রথম ইনিংসের সাফল্যে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরু থেকেই বোলিং করেন হেরাথ। দুই ইনিংসে তার বোলিং ফিগার যথাক্রমে ৩৩-৯-৬৮-৬ ও ২২-৫-৭৯-২। অবধারিত ম্যাচসেরাও তিনি। প্রথম ইনিংসে ক্যারিয়ারে ২৩তমবারের মতো পাঁচ বা ততোধিক উইকেট তুলে নেন ৩৮ বছর বয়সী হেরাথ। গলে অষ্টমবারের মতো- মুত্তিয়া মুরলিধরনের পর যা এক ভেন্যুতে দ্বিতীয় সর্বাধিক শিকারের রেকর্ড। এর আগে হেরাথের কাজটা সহজ করে দেন লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। ৪৮৪ রানের পথে সেঞ্চুরি তুলে নেন দুই প্রতিভাবান উইলোবজা দিমুথ করুণারতেœ (১৮৬) ও দীনেশ চান্দিমাল (১৫১), তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪৮ অধিনায়ক ম্যাথুসের। ২০১০ সালের পর এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো টেস্টে ফলোঅনে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এ সময়ে চারবার করে ফলোঅনে পড়ে লজ্জার নজিরে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। কেবল তাই নয়, ১৯৯৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার মাটিতে ১০টি টেস্ট খেলে জয়হীন ওয়েস্ট ইন্ডিজ! ৬টিতে হার, ড্র বাকি ৪ টেস্টে। অন্যদিকে ঘরের মাটিতে সম্প্রতি পাকিস্তান ও ভারতের কাছে টানা দুই সিরিজ হারের পর লঙ্কানদের সামনে ক্যারিবীয়দের হোয়াইওয়াশ করার হাতছানি। কলম্বোয় সিরিজ নির্ধারণী দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট বৃহস্পতিবার থেকে। সন্তুষ্ট লঙ্কান অধিনায়ক ম্যাথুস বলেন, ‘ম্যাচে একাধিক ক্রিকেটারের ব্যক্তিগত নৈপুণ্য প্রশংসনীয়। বিশেষ করে করুণারতেœ-চান্দিমালের ব্যাটিং এবং হেরাথের বোলিং।’ অন্যদিকে হতাশ অতিথি সেনাপতি হোল্ডার, ‘আমরা মোটেই ভাল ব্যাটিং করিনি। এই টেস্ট থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। আশা করছি শিক্ষাটা পরের ম্যাচে কাজে লাগবে।’ আর ম্যাচের নায়ক হেরাথ বলেন, ‘এখানেই ক্যারিয়ার শুরু করেছিলাম। গল আমার অত্যন্ত প্রিয় ভেন্যু। সিরিজে ৩০০ উইকেটের ল্যান্ডমার্কে পৌঁছাতে চাই।’ ৬৪ টেস্টে হেরাথের উইকেট ২৮৮।
×