ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আবুধাবি টেস্ট নাটকীয় ড্র

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ১৮ অক্টোবর ২০১৫

আবুধাবি টেস্ট নাটকীয় ড্র

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সেই ড্রই যদি হলো, তবে কেন এত নাটক? উত্তর পাকিস্তান বলে! দলটি কেন ক্রিকেটের চিরায়ত ‘আনপ্রেডিক্টেবল’, সেটি আরও একবার দেখল বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গন। পঞ্চম দিনেও কোন টেস্ট ম্যাচের একটি করে ইনিংস শেষ না হওয়ার পরিণতি যে নিশ্চিত ড্র, তা বুঝতে ক্রিকেটবোদ্ধা হওয়ার প্রয়োজন নেই। সকালে ইংল্যান্ড যখন প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে (৫৯৮/৯) তখন দিনের খেলা বাকি ৮০ ওভারেরও কম। নিশ্চিত ড্র ধরে নিয়ে আবুধাবির গ্যালারি ছেড়ে অনেক সমর্থক হয়ত বাড়ির পথে। নাটকীয়তার শুরু তখনই। ৭৫ রানে পিছিয়ে থাকা পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট ১৭৩-এ। জয়ের জন্য ২১.১ ওভারে ইংলিশদের চাই ৯৯! ৪ উইকেট হারিয়ে এ্যালিস্টার কুকের দল ১১ ওভারেই তুলে নেয় ৭৪ রান। ভাগ্যিস ওভার শেষ হওয়ার আগেই সময় শেষ হয়ে যায়। নইলে নিশ্চিত ড্র ম্যাচেই হারতে হতো মিসাবাহ-উল হকদের! এক টেস্টে কত নাটকীয়তাই না দেখল ক্রিকেট। দুই দলের দুই ব্যাটসম্যানের ডাবল সেঞ্চুরি, প্রথম ইনিংসে পাঁচ শ’র জবাবে পাঁচ শ’। এমন সেয়ানে-সেয়ানে লড়াই পাকিস্তান-ইংল্যান্ড তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট চার দিন পর্যন্ত ছিল নিষ্প্রাণ ড্রর পথে। প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেটে ৫২৩ রানে পাকিস্তানের ইনিংস ঘোষণার পথে সবটুকু আলো কেড়ে নেন শোয়েব মালিক। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর সাদা পোশাকে ফিরে হাকান ডাবল সেঞ্চুরি। খেলেন ২৪৫ রানের ইনিংস। সঙ্গে আসাদ শফিকের ১০৭ ও ইউনুস খানের ৩৭। জবাবটা সমানতালে দেয় ইংল্যান্ড। প্রতিপক্ষের বড় স্কোরের নিচে চাপা না পড়ে উল্টো কাউন্টার এ্যাটাক এ্যালিস্টার কুকদের। এবার সামনে স্বয়ং ইংলিশ অধিনায়ক। তুলে নেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরি (২৬৩)। সঙ্গে জো রুট (৮৫), ইয়ান বেল (৬৩), বেন স্টোকসের (৫৭) তিন হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে ৯ উইকেটে ৫৯৮ রান করে উল্টো লিড নিয়ে নেয় ইংল্যান্ড। এই অবস্থায় নিষ্প্রাণ ম্যাচে প্রাণ ফেরানোর অবদান পাকি ব্যাটসম্যানেদের ব্যর্থতা! দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭৩ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পথে মিসবাহ (৫১) ও ইউনুস ছাড়া আর কেউই দাঁড়াতে পারেননি। ৫ উইকেট নেন স্পিনার আদিল রশিদ। ৯৯ রানের লক্ষ্যটা তাড়া করার উদ্দেশ্যেই মাঠে নামে ইংল্যান্ড। কুক নয়, ওপেনিংয়ে মঈন আলির সঙ্গী হার্ডহিটার জোস বাটলার। ৪.৪ ওভারে ২৯ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় ইংলিশরা। ৩৫-এ তৃতীয়, ৬৬- এ চতুর্থ। ম্যাচ আক্ষরিকই ইংল্যান্ডের পক্ষে। তখনই সময় ও আলোর স্বল্পতায় খেলা বন্ধ হয়ে যায়। বড় বাঁচা বেঁেচ যায় পাকিস্তান।
×