ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাউফলে ৫ কোটি টাকার জমি দখল

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ১৮ অক্টোবর ২০১৫

বাউফলে ৫ কোটি টাকার জমি দখল

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ১৭ অক্টোবর ॥ পেরিফেরি ম্যাপ অনুমোদন না হওয়ায় বাউফলের কনকদিয়া বাজারে প্রায় ৫ কোটি টাকা মূল্যের ২শ’ শতাংশ খাসজমি বেদখল হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে নির্দেশ দেয়া সত্ত্বেও রহস্যজনক কারণে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। বাউফল উপজেলা সহকারী কমিশনারের কার্যালয় (ভূমি) সূত্রে জানা গেছে, বাউফলের কনকদিয়া মৌজায় কনকদিয়া বাজারে ২শ’ শতাংশ (২ একর) খাসজমি রয়েছে। বিভিন্ন সময় ওই জমি একসোনা (এক বছরের জন্য) বন্দোবস্ত দেয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় প্রভাবশালীরা নামে-বেনামে এ জমি বন্দোবস্ত নিয়ে পাকা ও বহুতল ভবন নির্মাণ করেছে। এর ফলে ওই বাজারের প্রকৃত ব্যবসায়ীরা বন্দোবস্ত থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে প্রায় ৬ বছর আগে চীফ হুইপ আসম ফিরোজ এমপি তৎকালীন উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) নির্দেশ দিলে তিনি ওই বাজারের একটি পেরিফেরি ম্যাপ তৈরি করে অনুমোদনের জন্য পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠালেও রহস্যজনক কারণে তা আজ পর্যন্ত অনুমোদন হয়নি। ফলে ওই বাজারের খাসজমি বেদখল হয়ে যাচ্ছে। কয়েক দিন আগে হাবিবুর রহমান নামের এক বিএনপি নেতা ওই বাজারের পূর্ব-দক্ষিণ পাশে খালপারে ৫ শতাংশ জায়গা দখল করে চার রুম বিশিষ্ট একটি মার্কেট নির্মাণ করেছেন। ওই বিএনপি নেতার ভাগ্নে জহির উদ্দিন বাবর বাজারের অগ্রণী ব্যাংক গলির উত্তর পাশে ৫-৬ শতাংশ খাস ও সিট স্টোরের জমি দখল করে সামনে পাকা মার্কেট ও পেছনে থাকার জন্য একটি আধাপাকা ঘর নির্মাণ করেছেন। এ ছাড়াও ওই বাজারের টল স্টোলের পাশে খাসজমি দখল করে স্থানীয় মনির, ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর , মক্কা ফিরোজ, সবুহ ও ডালিম হাওলাদার নামের কয়েক ব্যক্তি বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেছেন। এ ব্যাপারে বাউফলের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ওই বাজারের অবৈধ দখলদারদের তালিকা তৈরি করে তাদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ মামলা করার জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দৌলতপুরে আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষে আহত ২০ নিজস্ব সংবাদদাতা, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া, ১৭ অক্টোবর ॥ দৌলতপুরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আল মামুন ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইদ আনছারী বিপ্লব সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ১৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের ঘুগা গ্রামে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আল মামুন ও আড়িয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাইদ আনছারী বিপ্লব পক্ষের সমর্থক ও লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসিছিল। নেত্রকোনায় আহত ১৫ নিজস্ব সংবাদদাতা নেত্রকোনা থেকে জানান, কলমাকান্দা উপজেলার চিনাহালা গ্রামে শনিবার সকালে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ১০ জনকে কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গেছে, সরকারী হালট দখলকে কেন্দ্র করে মঞ্জিল মেম্বার ও বাচ্চু মিয়ার নেতৃত্বাধীন দুই গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে।
×