ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

গিলবি ক্লার্কের গানে মাতল দর্শক

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ১৮ অক্টোবর ২০১৫

গিলবি ক্লার্কের গানে মাতল দর্শক

গৌতম পাণ্ডে ॥ ঢাকার রক গানের শ্রোতাদের জন্য সন্ধ্যাটি ছিল মনোরম। আমেরিকার বিখ্যাত হার্ডরক ব্যান্ড গানস এ্যান্ড রোজেসের ভোকাল ও গিটারিস্ট গিলবি ক্লার্ক শুধু গানেই শ্রোতাদের মুগ্ধ করেননি, পুরোদমে নাচিয়ে ছেড়েছেন। তাঁর সঙ্গে বেজ গিটারে ছিলেন ই জি কার্স আর ড্রামে ছিলেন ট্রয় প্যাট্রিক ফ্যারেল। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেমজুড়ে বিখ্যাত এ তিন রকস্টার সুর আর বাদনের ঝড় তুলে ছিলেন শুক্রবার সন্ধ্যায়। শ্রোতারা শিল্পীদের কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে গান গাওয়ার পাশাপাশি শরীর দোলাতে থাকেন বিচিত্র ভঙ্গিমায়। পাশাপাশি রঙিন আলোর ঝলকানিতে মিলনায়তনজুড়ে এক ভিন্ন আবহ বিরাজ করছিল। ‘সাউন্ডস অব গানস এ্যান্ড রোজেস উইথ গিলবি ক্লার্ক’ শীর্ষক এই আয়োজন করে ক্রেইনস লিমিটেড। শ্রোতার উপস্থিতি কাঙ্খিত না হলেও নিতান্ত কম ছিল না। এদিন সন্ধ্যার আগেই যার যার আসনটা পাকাপোক্ত করে নিয়েছিলেন। নির্দিষ্ট সময় অনুষ্ঠান শুরু না করায় শ্রোতারা কিছুটা বিব্রতবোধ করলেও শিল্পীরা তাদের নৈপুণ্য দেখিয়ে তা পুষিয়ে দেন। বিশ্বের অসম্ভব জনপ্রিয় হার্ডরক ব্যান্ডগুলোর মধ্যে আমেরিকার বিখ্যাত গানস এ্যান্ড রোজেস ব্যান্ড অন্যতম। রোলিং স্টোন, লেড জেপলিন, এ্যারোস্মিথের মতো ব্যান্ডদের পরবর্তী প্রজšে§র ব্যান্ড গানস এ্যান্ড রোজেসের প্রসঙ্গ টানলে সবার সামনে ভাসে গায়ক এক্সল রোজ, গিটারিস্ট স্যাশ বা ইজি স্টার্ডলিনের কথা। পাশাপাশি গানস এ্যান্ড রোজেসের গিটারিস্ট ও ভোকাল গিলবি ক্লার্কের নামও এখন বিশ্বজুড়ে। ১৯৯১ সালে ব্যান্ডের ইউজ ইউর ইলিউশন ট্যুরের সময় স্টার্ডলিনের পরিবর্তে ব্যান্ডে গিটারিস্ট হয়ে আসেন গিলবি। আর সেই গিলবি ক্লার্কই মাতিয়ে গেলেন ঢাকার দর্শক-শ্রোতাদের। প্রথমবারের মতো তিনি ঢাকা আসলেন আর মুগ্ধ করলেন শ্রোতাদের। ‘সাউন্ডস অব গানস এ্যান্ড রোজেস উইথ গিলবি ক্লার্ক’ শীর্ষক এই আয়োজনে গিলবি ক্লার্ক তার স্বভাবসুলভ গিটার বাদন আর ব্যান্ডের সদস্যদের নিয়ে হার্ডরক মিউজিকে অন্যরকম এক সঙ্গীত সন্ধ্যা উপহার দিয়েছেন ঢাকার দর্শকদের। কনসার্টের শুরুতেই গিলবি ক্লার্ক পরিবেশেন করেন ‘মটরসাইকেল কাউবয়’ গানটি। রক এ্যান্ড রোল গানের সুরের দোলায় তখনই দুলতে শুরু করে মিলনায়তনের সব দর্শক শ্রোতা। গিলবি ক্লার্ক এরপর পরিবেশন করেন রেলিং স্টোনের ‘আই সেইড আই লাইক ইট’ গানটি। গান শেষ করেই গিলবি ক্লার্ক বাংলাদেশের শ্রোতাদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, প্রথমবারের মতো ঢাকায় এলাম। রক এ্যান্ড রোলের সুরের দোলায় আজ মাতাবো আপনাদের। সত্যি গিলবি তাই করলেন। তার গান দিয়ে মাত করলেন রক গানের ভক্ত শ্রোতাদের। হাজারো তরুণ-তরুণী গানে গানে ঠোঁট মেলালেন আর নাচলেন। গিলবিও পরিবেশন করতে ভুলেননি গানস এ্যান্ড রোজেস এন বিখ্যাত সব গান ‘পেইশন’, ‘ইটস সো ইজি’, ‘সুইট চাইল্ড ওমাইন’ প্রভৃতি। ড্রামিস্ট ট্রয় প্যাট্রিক ফ্যারেল বাদনের তালে তালে তাঁর সোনালী চুলের যে মাতন তুলে ছিলেন সত্যিই দর্শনীয়। গান এ্যান্ড রোজেস তাদের একটি এ্যালবামে বব ডিলানের গাওয়া বিখ্যাত গান ‘নকিং অন হ্যাভেনস ডোর’ গানটি তাদের মতো করে কাভার করেছিল। গিলবি ক্লার্ক যখন গানটি গাইতে শুরু করলেন তখন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের ভেতরে যেন অন্যরকম এক উš§াদনা ছড়িয়ে পড়ল। সবাই একসঙ্গে গাইতে শুরু করলেন ‘নকিং অন হ্যাভেনস ডোর’। আর ‘সুইট চাইল্ড ওমাইন’ গানটির সময় দেখা গেল সবাই গিলবি ক্লার্কের গিটারের সুরে দুলছেন। তবে অনেক দর্শকই ভেবেছিলেন গিলবি গানস এ্যান্ড রোজেসের বিখ্যাত ‘নবেম্বর রেইন’ গানটি পরিবেশন করবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গানটি তিনি পরিবেশন করেন নি।
×