ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

গণবিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রাণের ছোঁয়া

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ১৮ অক্টোবর ২০১৫

গণবিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রাণের ছোঁয়া

বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসের মূল প্রাণ শক্তি হলো শিক্ষার্থীরা। জনগণ ছাড়া যেমন একটি দেশ অচল ঠিক তেমনি শিক্ষার্থীদের সমাগম ছাড়া একটি ক্যাম্পাসও প্রাণহীন। ঈদের ছুটি শেষে প্রশাসনিক কার্যক্রম চললেও ছিল না তেমন একাডেমিক কোন কার্যক্রম। আর ক্লাস পরীক্ষা না থাকায় ঈদের দীর্ঘ ছুটি কাটিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। অবশেষে অবসান হলো দীর্ঘ ছুটির। একে একে খুলে গেছে সবগুলো ডিপার্টমেন্ট। আবার শুরু হয়েছে ক্লাস, পরীক্ষা আর এ্যাসাইনমেন্টের চাপ। শত চাপ এবং শত ব্যস্ততা সত্ত্বেও মিলছে স্বস্তির ছোঁয়া। ঈদের ছুটি শেষে এমনই চিত্র সাভারের গণ-বিশ্ববিদ্যালয়ে। বন্ধুত্ব থেকে আড্ডা। আর আড্ডা থেকে সৃষ্টি হয় রঙের খেলা। শুরু“হয় স্বপ্ন দেখা। জমে ওঠে ক্যাম্পাস। জমে ওঠে আড্ডা। তেমনি আড্ডায় আবারও মুখরিত সাভারের গণ-বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ ক্যাম্পাস। দেখা হয়ে গেল আবার প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে। নিয়মিত ক্লাস করা, অবসরে আড্ডা জমিয়ে ক্লাসের ক্লান্তি নিমিষেই ভুলে যাওয়া। একসঙ্গে ক্যান্টিনে দুপুরের খাবার সারা। বিকেলে দলবেঁধে ঘুরে-ফেরা। অগত্যা বসে যাওয়া বকুল তলা, ফুসকা চত্বর, ওয়াইফাই জোন, র‌্যাগতলায় বা কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে সবুজের ওপর। অঘোষিতভাবে জুড়ে দেয়া সুখ-দুঃখের বাহারি গল্প। এসব স্থান ছাড়াও ক্যাম্পাসের মাঠের বিভিন্ন গাছের ছায়ায় বসে চলছে মন মাতানো সব গল্প। তারপর সবকিছু সেই আগের মতোই। এভাবেই জমজমাট হয়ে গেল গণ-বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বত্র। এ যেন সবুজ ক্যাম্পাসের চিরচেনা প্রাণবন্ত দৃশ্য। এ রকম ঈদ পরবর্তী আড্ডা চলছে ব্যবসা প্রশাসন বিভাগের জারা, অমিত, নূসরাত, কনক, আইভান, সুমনার মধ্যে। জারা বলেন, ‘অনেকদিন পর আবার বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হলো। সবার সঙ্গে দেখা হয়ে মনটাই প্রশান্তিতে ভরে গেল।’ সেইসঙ্গে অমিত যোগ করলেন, ‘ভিশন মিস করেছি সবাইকে। সবার সঙ্গে আড্ডাবাজি আর দুষ্টামি।’ এবার নূসরাত বলেন, ‘খুব শীঘ্রই শুরু“হয়ে যাবে পরীক্ষা, সবাই ব্যস্ত হয়ে যাবে পরীক্ষার জন্য পড়াশোনা করতে তাই এই সময়টা শুধু মজা করার আর সেইসঙ্গে সবাই মিলে গ্রুপ স্ট্যাডি করে পড়াশোনাটাও কিছুটা এগিয়ে রাখা।’ আর আইভান বলেন, ‘এবার পরীক্ষার পরে এক সঙ্গে দূরে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি।’ ওর কথা শুনে সবাই লাফিয়ে উঠে। আর কপট রাগ দেখিয়ে সুমনা বলে উঠে, ‘গাছে কাঁঠাল, গোঁফে তেল। আগে পরীক্ষাটা ঠিকমতো শেষ করও।’ ওর এই কথা শুনে সবাই হো হো করে হেসে উঠে। ক্যাম্পাস এক উৎসবমুখর পরিবেশ ধারণ করছে। ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠেছে কর্ণ-কাঠির স্বর্গোদ্যান। অনেক দিন পর বন্ধুদের পেয়ে পুনরায় সবাই মেতে ওঠে ঈদের আনন্দে। অনেককেই দেখা গেছে ঈদ মোবারক বলে একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করছেন। কেউ কেউ শুধু ঈদ মোবারক বলেই ক্ষান্ত হননি, বড় ভাইদের কাছে ঈদের সেলামি নেয়ার বায়না করে বসেন। আনন্দের জোয়ার বইছে চারিদিকে। গণ-বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুবান্ধব, বড় ভাই আর ছোট ভাই সবাই যেন একই বাঁধনে বাঁধা একটি পরিবার। আর সবাইকে আবার একসঙ্গে ফিরে পেয়ে ক্যাম্পাস যেন তার প্রাণ ফিরে পেয়েছে। ¡ আসিফ আল আজাদ
×