ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্ব অর্থনীতির ॥ টুকরো কবর

প্রকাশিত: ০৬:০১, ১৮ অক্টোবর ২০১৫

বিশ্ব অর্থনীতির ॥ টুকরো কবর

বেকারত্ব কমছে যুক্তরাজ্যের জন্য সব সুখবর হচ্ছে দেশটির বেকারত্বের হার সাত বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে এসে পৌঁছেছে। বর্তমানে দেশটির বেকারত্বের হার ৫ দশমিক ৪ শতাংশ যা ২০০৮ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকের পর সর্বনিম্ন। দেশটিতে এখনও ১৭ লাখ ৭০ হাজার লোক বেকার আছে। বিগত তিন মাসে চাকরি পেয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার লোক। এতে দেশটির কর্মসংস্থানের হার দাঁড়িয়েছে ৭৩ দশমিক ৬ শতাংশ। এই কর্মসংস্থানের হার ১৯৭১ সালের পর সর্বোচ্চ। এ বিষয়ে ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী জজ অসবর্ণ বলেন, ‘এটি খুব ভালো সংবাদ, ব্রিটেনের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও মজুরি বৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছে। আমরা আমাদের ইতিহাসের মধ্যে এবারই প্রথমবারের মতো সর্বোচ্চ কর্মসংস্থান হার পেলাম। এছাড়া মজুরির শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।’ নতুন পরিকল্পনা চীনের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে আগামী পাঁচ বছরের জন্য নতুন অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণ করার উদ্যোগ নিয়েছে চীন। ইতোমধ্যে সুদের হার ও ইউয়ানের মান কমানো, শেয়ারবাজারে হস্তক্ষেপসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হলেও কোনভাবেই চীনের অর্থনীতি চাঙ্গা তো হচ্ছেই না, উল্টো ক্রমশ অর্থনীতির শ্লথগতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। সঙ্কট কাটাতে অনেক পদক্ষেপ নেয়া হলেও প্রত্যাশিত ফল আসেনি। এজন্য নতুন করে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে এ মাসের শেষের দিকে বৈঠকে বসবে দেশটির কমিউনিস্ট পার্টি। এই বৈঠকে কাঠামোগত সংস্কার ও রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ শিথিলের ওপর জোর দেয়া হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকরা আশা করছেন চীনা ক্ষমতাসীন দল আরও উদারীকরণ নীতি গ্রহণ করবে। কমতে পারে ইস্পাতের বৈশ্বিক চাহিদা বৈশ্বিক ইস্পাতের চাহিদা এ বছর এক দশমিক সাত শতাংশ কমতে পারে, এমন আশঙ্কা করছেন ওয়ার্ল্ড স্টিল এ্যাসোসিয়েশন। ইস্পাত পণ্যটির সবচেয়ে বড় ভোক্তা দেশ চীন। চাহিদা কমার পেছনে মূলত চীনের শিল্পখাতের নিম্ন প্রবৃদ্ধি দায়ী। তবে আগামী বছর ইস্পাতের চাহিদা পুনরুদ্ধার হতে পারে বলে প্রত্যাশা করছে ওয়ার্ল্ড স্টিল এ্যাসোসিয়েশন। আগামী বছর উন্নত এবং উদীয়মান বাজারগুলোর অর্থনীতি কিছুটা প্রসারিত হতে পারে, যা ইস্পাতের ব্যবহার বাড়াতে ভূমিকা রাখবে। এ বছর হ্রাস পেয়ে ইস্পাতের বৈশ্বিক চাহিদার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে ১৫১ কোটি টন। আর আগামী বছর তা ১৫২ কোটি টনে পৌঁছার আশা করা হচ্ছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ইউনিট দ্রব্যমূল্যর উর্ধগতিতে নাকাল ভারতবাসী। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় জীবনমানের অবনতি ঘটছে দেশটিতে। এতে জনমনে সৃষ্টি হচ্ছে অসন্তোষ। এমন পরিস্থিতিতে ভারত সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশেষ ইউনিট গঠন করার পদক্ষেপ নিয়েছে। এই ইউনিট নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যর চাহিদা ও সরবরাহের ব্যাপারে যথাযথ পূর্বাভাস দিয়ে সরকারকে সহায়তা করবে। ইউনিটটি ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে। এবং সঙ্কট মোকাবেলার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশনা দেবে। সম্প্রতি দেশটির ভোক্তা স্বার্থ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব সি বিশ্বনাথের সভাপতিত্বে অপরিহার্য খাদ্যপণ্যের দাম ও প্রাপ্যতা বিষয়ক এক বৈঠকে এমন বিশেষ ইউনিট গঠনের পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। এ ইউনিট দেশটির পণ্যমূল্য নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে। অর্থনীতি ডেস্ক
×