ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

স্লোভেনিয়া সীমান্তে পুলিশের সহায়তায় সেনাবাহিনী

প্রকাশিত: ১৮:৫৪, ১৮ অক্টোবর ২০১৫

স্লোভেনিয়া সীমান্তে পুলিশের সহায়তায় সেনাবাহিনী

অনলানি ডেস্ক ॥ হাঙ্গেরি ক্রোয়েশিয়ার সাথে তার সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার পর কয়েকশ শরণার্থী ক্রোয়েশিয়া থেকে স্লোভেনিয়ায় প্রবেশ করেছে । ইউরোপমুখী এসব শরণার্থীর সংখ্যা আরো বাড়বে বলেই ধারণা করা হচ্ছে । অভিবাসী সংকট সামলাতে পুলিশকে দেশটির সেনাবাহিনী সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন স্লোভেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিরো সেরার। ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করে তার বাইরের সীমান্ত রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে ইতোমধ্যেই নিজেদের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে হাঙ্গেরি কর্তৃপক্ষ । এ অবস্থায় ক্রোয়েশিয়ায় আটকে পড়া শরণার্থীরা স্লোভেনিয়ায় প্রবেশ করতে শুরু করেছে । তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী মিরো সেরর বলেছেন তার দেশ ততক্ষণই শরণার্থীদের প্রবেশ করতে দেবে, যতদিন জার্মানি এবং অস্ট্রিয়া শরণার্থীদের গ্রহণ করবে । তিনি বলেন সামনের দিনগুলোতে হাজার হাজার শরণার্থীদের আগমন জনিত পরিস্থিতি সামলাতে ইতোমধ্যেই অতিরিক্ত পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে সীমান্তে এবং তাদের সহায়তা করবে দেশটির সেনাবাহিনী । ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের এক বৈঠকে অংশ নেয়ার পর মিস্টার সেরর সেনাবাহিনী মোতায়েনের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি বলেন, “স্লোভেনিয়ায় কোন জরুরী অবস্থা জারি করা হয়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্যে সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি আমরা। একি সাথে সীমান্তের কাজগুলো ঠিক মতো করার চেষ্টা হচ্ছে যাতে করে দেশের অন্য অংশের ওপর এর কোন প্রভাব না পড়ে”। প্রায় দু হাজার সাতশ অভিবাসী শনিবারই স্লোভেনিয়ায় প্রবেশ করেছে এবং এর মধ্যে অন্তত ছয়শ এর মধ্যেই অস্ট্রিয়ায় ঢুকে পড়তে সক্ষম হয়েছে । শনিবার রাতে হাঙ্গেরি তার সীমান্ত বন্ধ করে দিলে ক্রোয়েশিয়া অভিবাসীদের স্লোভেনিয়ার দিকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এর আগে হাঙ্গেরি সার্বিয়ার সাথেও তার সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছিলো। মূলত জার্মানি আর অস্ট্রিয়াকে লক্ষ্য করে সিরিয়া থেকে এসব শরণার্থীরা আসছে। এর আগেও অন্তত তিন হাজার অভিবাসী স্লোভেনিয়া হয়ে ইউরোপের অন্যদেশগুলোতে গেছে বলে জানা গেছে। এদিকে আরেক খবরে জানা গেছে চারটি শিশু সহ অন্তত ১২ জন অভিবাসী গ্রীসের লেসবস যাওয়ার সময় তুরস্ক উপকুলে ডুবে মারা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে তারা সিরিয়া বা আফগানিস্তান থেকে এসেছিলো। সূত্র : বিবিসি বাংলা
×