ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালে ঘুষের জন্য দারোগার নির্যাতন ॥ সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

প্রকাশিত: ১৯:০৩, ১৮ অক্টোবর ২০১৫

বরিশালে ঘুষের জন্য দারোগার  নির্যাতন ॥ সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ দাবিকৃত ঘুষের টাকা না পেয়ে জেলার বাকেরগঞ্জ পৌর সদরের বাসিন্দা যুবলীগ নেতা ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী টিটু সাহাকে থানার এস.আই মুজাহিদ কর্তৃক অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত টিটুকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার সকালে স্থানীয় প্রেসক্লাবে আহত যুবলীগ নেতা টিটু সাহার স্ত্রী নুপুর রানী সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ২০দিন পূর্বে থানার এস.আই মুজাহিদ সাহেবগঞ্জ বাজারের মর্ডান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে বসে কোনো কারণ ছাড়াই তাহার স্বামীর দেহ তল্লাশী করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। ঘটনাটি তার স্বামী টিটু যুবলীগ নেতা হেমায়েত হোসেনকে জানালে তিনি (হেমায়েত) বিষয়টি থানার ওসি আনোয়ার হোসেনকে অবহিত করেন। ওসি এ ঘটনার জন্য এস.আই মুজাহিদকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করে দেন। এতে দারোগা মুজাহিদ ক্ষিপ্ত হয়ে টিটুকে বিভিন্ন মামলায় জড়ানোর হুমকি দিয়ে ২০হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। লিখিত বক্তব্যে নুপুর রানী আরও উল্লেখ করেন, গত ১৫ অক্টোবর রাতে তার স্বামী টিটু ব্যবসায়ীক প্রয়োজনে পাদ্রীশিবপুর থেকে নিজ বাসায় ফেরার পথিমধ্যে দারোগা মুজাহিদ দাবিকৃত ঘুষের টাকার জন্য তার স্বামীকে চাঁপ প্রয়োগ করে। এসময় টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় টিটুকে হ্যান্ডকাপ দিয়ে পিটমোড়া করে বেঁধে নির্মমভাবে পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। একপর্যায়ে গভীর রাতে থানায় নিয়ে আটক করে রাখা হয়। পরেরদিন সকালে তিনি (নুপুর) খবর পেয়ে পৌরসভার দু’কাউন্সিলরকে সাথে নিয়ে থানায় গিয়ে আটকের বিষয়টি জানতে চান। সন্দেহভাজন গতিবিধির জন্য টিটুকে আটক করা হয়েছে বলে এস.আই মুজাহিদ তাদের জানায়। পরবর্তীতে স্থানীয়দের তোপের মুখে পুলিশ আহত টিটুকে ছেড়ে দেয়। সংবাদ সম্মেলনে দাবিকৃত ঘুষের টাকা না পেয়ে টিটুকে আটক করে অমানুষিক নির্যাতনের ঘটনার অভিযুক্ত দারোগা মুজাহিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নুপুর রানী সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত এস.আই মুজাহিদ বলেন, মধ্যরাতে সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাফেরা করায় টিটু সাহাকে আটক করে পরবর্তীতে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ঘুষ দাবির অভিযোগ সঠিক নয়।
×