স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে সালমা আক্তার (৩৪) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে রহস্য দেখা দিয়েছে। সালমা উপজেলার রসুনিয়া ইউনিয়নের সন্তোষ পাড়া গ্রামের শাহিন হাওলাদারের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ৯টার দিকে সালমার লাশ উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় স্বজনরা। এ সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহমুদ হাসান তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন হাসপাতালে নিয়ে আসার পূর্বেই তার মৃত্যু হয়েছে। তবে কীভাবে মারা গেছে তা ময়না তদন্ত ছাড়া নিশ্চিত করা যাবে না বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।
সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার উরফাত বেগম জানিয়েছেন, সালমার লাশের গলায় ফাসির দাগ ছিল। কিন্তু আত্মহত্যা করে মারা গেলে যে রকম মানুষের চিহ্না বের হবে বা চোখ ফুলে যাবে। কিন্তু সালমার দেহে এ রকম কোন লক্ষন দেখা যায়নি। তাই ময়না তদন্ত ছাড়া বলা মুসকিল এটি হত্যা না আত্মহত্যা।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সালমার স্বামী একজন অটোবাইক চালক। সালমা সুদে টাকা নিয়ে স্বামীকে অটোবাইক কিনে দিয়েছে। কিন্তু সালমার স্বামী শাহিন হাওলাদার বাইক নিয়ে টিকমত কাজ না করে ঘুরে ফিরে বেড়ায়। এতে ঋনের টাকা পরিশোধে বিপাকে পড়ে সালমা। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শনিবার ঝগড়া হয়। পরে রাতে সালমার লাশ তার ঘরের আড়ার সাথে ফাঁসিতে লটকানো অবস্থায় পাওয়া যায়।
সিরাজদিখান থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান জানিয়েছেন, পুলিশ সিরাজদিখান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রাতেই ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরবর্তীতে তদন্ত করে জানা যায়, ওই গৃহবধু ঘরের আড়ার সাথে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ ব্যাপারে কারো কোন অভিযোগ না থাকায় ময়না তদন্ত ছাড়াই সামাজিকভাবে ওই গৃহবধুর লাশ পরিবারের কাছে হস্তানান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: