ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ সাহিত্য পুরস্কার পেলেন মনজু ইসলাম

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ১৯ অক্টোবর ২০১৫

সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ সাহিত্য পুরস্কার পেলেন মনজু ইসলাম

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলা একাডেমি প্রবর্তিত ২০১৫ সালের সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ সাহিত্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। এ বছর পুরস্কার পেয়েছেন প্রবাসী বাঙালী কথাশিল্পী মন্জু ইসলাম এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ফরাসী গবেষক ফ্রাঁস ভট্টাচার্য। বাংলা একাডেমির তথ্যবিবরণী থেকে জানা যায়, শনিবার যুক্তরাজ্যের লন্ডনস্থ আমানাহ সেন্টারে বাংলা একাডেমি আয়োজিত বইমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইতিপূর্বে এই পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখকবৃন্দ এবং এ বছর পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক মন্জু ইসলাম। সমাপনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম মোস্তফা। পুরস্কার ঘোষণা করে শামসুজ্জামান খান বলেন, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ আমাদের দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক লেখক। কারণ তিনি বিদেশে অবস্থান করে বাংলা ও ইংরেজী দুই ভাষাতেই সাহিত্যচর্চা এবং বই প্রকাশ করেছেন। এই বিষয়টির প্রতি লক্ষ্য রেখে বাংলা একাডেমি সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রবাসে অবস্থানরত বাংলাদেশী লেখকদের মধ্যে যাঁরা বাংলা, ইংরেজী ও অন্যান্য ভাষায় সাহিত্যচর্চা করেন এবং বিদেশী নাগরিকদের মধ্যে যারা বাংলা ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে কাজ করেন তাঁদের সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ স্মরণে প্রবর্তিত এ পুরস্কার প্রদান করা হবে। তিনি আরও বলেন, এ বছর যাঁদের পুরস্কার প্রদান করা হলো তাঁরা উভয়েই আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছেন। ফ্রাঁস ভট্টাচার্য ফরাসী নাগরিক হলেও বাংলা ভাষা-গবেষণায় তিনি যে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন তা সত্যি অভিনন্দনীয়। ঢাকা থেকে ইতোমধ্যে তাঁর ফরাসি বাংলা অভিধান প্রকাশিত হয়েছে। এখনও তিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের নানামাত্রিক গবেষণায় নিরত। আর মন্জু ইসলাম লন্ডনের অভিবাসী জীবন, বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ডের সংমিশ্রিত জীবনবাস্তবতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রচনা করেছেন গল্পগ্রন্থ ‘দ্য ম্যাপমেকারস অব স্পিটাফিল্ডস’ ও ‘বারো’ এবং ‘সং অব আওয়ার সোয়াম্পল্যান্ড’ শিরোনামের উপন্যাস। বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বাংলার লোক-ঐতিহ্য ও লোকসমাজের চিত্রায়ন তাঁর কথাসাহিত্যের ভুবনকে দিয়েছে নতুনতর তাৎপর্য। শামসুজ্জামান খান জানান, ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য আগামী অমর একুশে গ্রন্থমেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে ফ্রাঁস ভট্টাচার্য ও মন্জু ইসলামকে এই পুরস্কার প্রদান করা হবে। এ্যাথেনায় তিন প্রজন্মের শিল্পীর প্রদর্শনী ॥ পারিবারিক পরম্পরায় তাঁরা তিনজনই শিল্পী। শিল্পের আলিঙ্গনে যূথবদ্ধ হয়েছেন তিন প্রজন্মের এই তিন নারী। শিল্পীত্রয়ী হলেন মা সরতমালা চাকমা, মেয়ে কনক চাঁপা চাকমা ও নাতনি শিরোপা পূর্ণা। প্রগতি সরণির এ্যাথেনা গ্যালারিতে চলছে তাঁদের যৌথ শিল্প-প্রদর্শনী। শিরোনাম থ্রি জেনারেশন। তিন প্রজন্ম নিজেদের ভাবনায় উপলব্ধি করেছেন তাদের সময় ও সমাজকে। সেই ভাবনা ফুটে উঠেছে তাঁদের সৃজিত শিল্পে। যেখানে প্রত্যেকেই নারীর স্বতন্ত্র ও বৈশিষ্ট্যে উদ্ভাসিত। প্রদর্শনীতে সরতমালা চাকমার ৭০টিরও বেশি কোমর তাতের বয়ন শিল্প স্থান পেয়েছে। কনক চাঁপা চাকমার ৫টি শিল্পকর্ম ও শিরোপা পূর্ণার ১০টি জলছবির সঙ্গে আলোকচিত্র ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ঠাঁই পেয়েছে প্রদর্শনীতে। প্রদর্শনালয়টিকে তিন ভাগে ভাগ করে উপস্থাপিত হয়েছে তিন শিল্পীর শিল্পসম্ভার। প্রথম ভাগে দেখা মেলে সরতমালা চাকমার বুননের কাজ। তুলা থেকে সুতা তৈরি করে কাপড়ে তিনি নানা রকম মোটিফ ফুটিয়ে তুলেছেন। মনজুরে মুকশেদের চিত্রকর্ম প্রদর্শনী ॥ ধানম-ির দৃক গ্যালারিতে বেগ আর্ট ইনস্টিটিউটের আয়োজনে শুরু হলো শিল্পী মনজুরে মুকশেদের প্রথম একক চিত্রকর্ম প্রদর্শনী। রবিবার প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বরেণ্য শিক্ষাবিদ এমিরেটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন টিএসএনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আজীজ খান, প্রদর্শনীর কিউরেটর ইমতিয়াজ আলম বেগ, শিল্প-সমালোচক মুস্তাফা জামান প্রমুখ। আলোকচিত্রের ওপর ভিত্তি করে মিশ্র মাধ্যমে সৃজিত ৪০টি চিত্রকর্ম স্থান পেয়েছে প্রদর্শনীতে। শিল্পীর তোলা বেশিরভাগ ছবিগুলোর ওপর ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন। তিনদিনব্যাপী এই প্রদর্শনী শেষ হবে ২০ অক্টোবর। শেখ রাসেলের ৫১তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন ॥ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলের ৫১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি আয়োজিত দুইদিনব্যাপী কর্মসূচীর সমাপনী দিন ছিল রবিবার। এদিন সকাল ৭টায় বনানী কবরস্থানে পরিচালক মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে একাডেমির কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ একাডেমির শিক্ষার্থী শিশুরা পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে। এরপর বিকেলে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে শিশু একাডেমি পর্যন্ত আনন্দ শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। শোভাযাত্রায় অংশ নেয় প্রায় ৩০০ শিশুসহ একাডেমির কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা। শোভাযাত্রার পর একাডেমির শেখ রাসেল মুক্তমঞ্চে পুরস্কার বিতরণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা হয়। এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
×