ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নতুন সফটওয়্যার উদ্বোধন

স্বয়ংক্রিয়ভাবে গ্রাহকের হিসাবে যাবে সঞ্চয়পত্রের টাকা

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ১৯ অক্টোবর ২০১৫

স্বয়ংক্রিয়ভাবে গ্রাহকের হিসাবে যাবে সঞ্চয়পত্রের টাকা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ স্বয়ংক্রিয়ভাবে গ্রাহকের হিসাবে সঞ্চয়পত্রের অর্থ জমার ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতি ‘অটোমেটেড সঞ্চয়পত্র পেআউট সিস্টেম’ চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন গবর্নর ড. আতিউর রহমান। এর ফলে এখন থেকে মেয়াদপূর্তির টাকা ও মাসিক মুনাফা সংগ্রহে সঞ্চয়পত্রের গ্রাহককে আর ব্যাংকের কাউন্টারে সশরীরে দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হবে না। স্বয়ংক্রিয়ভাবে গ্রাহকের হিসাবে জমা হবে সঞ্চয়পত্রের মুনাফা ও আসল টাকা। তবে প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের যে কোন শাখা থেকে কেনা সঞ্চয়পত্রের গ্রাহকরা এ সুবিধা পাবেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আহসান উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- ডেপুটি গবর্নর মোঃ আবুল কাসেম, আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান, নাজনীন সুলতানা, জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের মহাপরিচালক মাহমুদা আক্তার মীনা প্রমুখ। ড. আতিউর রহমান বলেন, নতুন এ সফটওয়্যারটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অটোমেশনকে আরও একধাপ এগিয়ে দিল। সঞ্চয়পত্রসেবার আধুনিকায়ন ও স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা চালুর মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথে আমরা আরও একটি মাইলফলক স্পর্শ করলাম। তিনি বলেন, নতুন পদ্ধতিতে সঞ্চয়পত্রের মুনাফা ও মেয়াদান্তে আসল টাকা সরাসরি গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবে জমা হবে। ফলে সঞ্চয়পত্রের গ্রাহককে টাকার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না। এতে গ্রাহকের সময় ও অর্থের সাশ্রয় হবে। এছাড়া সময়মতো গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবে টাকা জমার ফলে সুবিধামতো সময়ে গ্রাহক তার টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। তিনি আরও বলেন, আর্থিক অন্তর্ভুক্তিমূলক কার্যক্রমে আমরা অনেক এগিয়ে গেছি। এখন ডিজিটাল ফাইন্যান্সিংয়ে জোর দেয়া হচ্ছে। এজন্য একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। শীঘ্রই বাংলাদেশ ব্যাংক রিয়াল টাইমস সেটেলমেন্টে (আরটিজিএস) যাচ্ছে বলেও জানান গবর্নর। অনুষ্ঠানে নাজনীন সুলতানা বলেন, গ্রাহকরা সঞ্চয়পত্রের টাকা ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে অতি সহজেই পাবেন। তিনি সকলকে ইএফটি ব্যবহারের আহ্বান জানান। মাহমুদা আক্তার মীনা বলেন, ইএফটির মাধ্যমে সঞ্চয়পত্রের টাকা গ্রাহকের হিসাবে চলে যাবে। এতে করে সময়, অর্থ ও শ্রম সবই বাঁচবে।
×