ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

জাফর ওয়াজেদ

অসুর বধের কালে অশুভ নাশ

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ১৯ অক্টোবর ২০১৫

অসুর বধের কালে অশুভ নাশ

বাংলাদেশের বাঙালী জাতি আমরা কোন বিশেষ যুগে কোন আর্থ-সামাজিক পদ্ধতির মধ্যে বসবাস করছি, তার কোন দৃষ্টান্ত খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না হয়তো। কারও মতে, বাংলাদেশে এখন ট্রানজিশান কাল অর্থাৎ এক অবস্থা হতে অন্য অবস্থায় উত্তরণের কাল চলছে। ক্রান্তিকালও বলেন অনেকে। ট্রানজিশন কালের সঙ্গে নাকি কোন স্থিতিশীল কালের সাদৃশ্য থাকে না। তবে কি ট্রানজিশন অরাজকতার কাল, বর্গীর হাঙ্গামার কাল? এই বর্গীরা আবার দেখা যায়, উত্তর-আধুনিক ধারার। দেশে সশস্ত্র পন্থা অবলম্বন করে রাজনৈতিক দলের (!) তত্ত্বাবধানে বোমা মেরে জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা, চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে মুক্তমনাদের খুন করা থেকে নিরপরাধ বিদেশী হত্যাÑ সবই অরাজকতা, নাশকতার মধ্যে পড়ে। এরা ধর্মকে সামনে রেখে সব অর্ধমের কাজ করে যাচ্ছে, যার মাধ্যমে তারা ধর্মকে হেয় করছে। বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। গণতান্ত্রিক পন্থাকে সমূলে ধ্বংস শুধু নয়, তারা বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে চায়। ধর্মের জোব্বা পরে যারা জনগণকে হেদায়েত করেন, তারা এ বিষয়ে কোন কথাই বলেন না। বিশ্বজুড়ে জঙ্গীবাদের যে বিস্তার ঘটে চলেছে, গণহত্যা চলছেÑ এর বিরুদ্ধেও তারা কিছু বলেন না। বরং তাদের আচরণ ও বক্তব্য জঙ্গীপনা, সন্ত্রাস, নাশকতাকেই সমর্থন করে। অবশ্য ইসলামী জঙ্গীবাদ বাংলাদেশের একক কোন সমস্যা নয়, বিশ্বেরই। এদেশের মানুষ ১৯৭১ সালেই ধর্ম ব্যবসা, ধর্মের নামে মিথ্যাচার, ধর্মভিত্তিক ভাবম-লে লালিত ধর্মব্যবসায়ীদের ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে, এখনও করে। আর সে কারণে জঙ্গীরা জনগণের সমর্থন পায় না। সমর্থন পায় জঙ্গীবাদে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দল, ধর্মীয় অপশক্তি, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কাছ থেকে। তাই দেখা যায়, জামায়াতে ইসলামী মজলিশে শূরার সদস্য এবং ইসলামী জঙ্গী সংগঠনের মজলিশে শূরার সদস্য একই ব্যক্তি। আর সেই কারণেই বিএনপি-জামায়াত জোটের শাসনকালে বাংলাদেশকে তালেবান রাষ্ট্র বানানোর দাবি ও সেøাগান শোনা গিয়েছিল তালেবান সমর্থক দলের কাছে, যারা বিএনপির মিত্রশক্তি। তাদের সময়ে তালেবান নেতারা নিরাপদে এদেশে এসেছিল। তারা জঙ্গীনেত্রী ছাড়াও জঙ্গী সমর্থিত জোট নেতাদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছে। যার ফলাফল দেখা গেছে তাদের শাসনকালে। গ্রেনেড নিক্ষেপে ২১ আগস্ট ও ১৭ আগস্ট জোট সরকার এদের পৃষ্ঠপোষকতাসহ সার্বিক সহায়তা দিয়ে এসেছে। কেন তারা বাংলাদেশকে পাকিস্তানী ধারায় ফিরিয়ে নিতে চায়, সে প্রশ্নের উত্তর তো সহজ। একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে এবং পাকিস্তানের সঙ্গে কনফেডারেশন করার একাত্তরের গোপন প্রচেষ্টাকে বাস্তবায়ন। নরঘাতক গোলাম আযম সেই লক্ষ্যেই পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি করেছিল স্বাধীনতার পরপরই। সেই পথ থেকে তারা সরে আসেনি, বরং সহযোগী হিসেবে পেয়েছে মুক্তিযুদ্ধের এক সেক্টর কমান্ডার এবং পরবর্তীকালে তার স্ত্রীর নেতৃত্বের দলকে। আসলে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট থেকেই বাংলাদেশ এক ক্রান্তিকালের ভেতর দিয়ে পাড়ি দিচ্ছে। উত্থিত পরাজিত শক্তিকে পর্যুদস্ত করে স্বাধীন সত্তার বিকাশে বাংলাদেশকে লড়াই করতে হচ্ছে এখনও। মুক্তিযুদ্ধকালে যারা রাজাকার আলবদর রূপে অগণিত বাঙালী খুন করেছে, ক্ষমতার রাজনীতি সেসব দুর্বৃত্তদের ধার্মিকের লেবাসে অথবা রাজনৈতিক নেতার আদলে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। তাই দেখা গেছে, সে সময়ে ধর্ষণকারী, হত্যাকারী, লুটেরা, বেপরোয়া গুলি চালনাকারী প্রভৃতি শ্রেণী-সমাজের ওপরের স্তরে অনুসৃত একই নীতিই অনুসরণ করেছে। সর্বপ্রকার মানবিক নীতিবোধ বর্জন করে ধর্মান্ধতা, সাম্প্রদায়িকতা, দুর্নীতি ও রাজনীতিকে কলুষিত করে একাত্তরের পরাজিত শক্তির উত্থান ঘটানো হয়েছে। আর সমাজজুড়ে সন্ত্রাসবাদকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে পঁচাত্তরের পরবর্তী থেকেই। এই গোষ্ঠীগুলো রাষ্ট্রীয় সম্পদ যথেচ্ছাচারে লুট করেছে। ক্ষমতা দখল অথবা ভাগাভাগি নিয়ে বেআইনী মারামারি কাটাকাটি চালিয়েছে নির্বিচারে। যে কোন উপায়ে অর্থবিত্ত সংগ্রহের আইনকানুন বিরুদ্ধ নির্লজ্জ প্রতিযোগিতা অবাধে চালাতে দেয়া হয়েছে একটি বিশেষ শ্রেণীকে। আর সেই থেকে দুর্নীতির বিকাশ এবং ‘মানি ইজ নো প্রবলেম’ যুগের শুরু। আর তার রেশ ধরে দেশ দেখেছে দুর্নীতির মাতা-পুত্রকে। রাষ্ট্রক্ষমতায় বসে দেশের সম্পদ ‘হরিলুট’ করার মতো তারা লুটপাট করেছে। এতো অঢেল অর্থ সম্পদের মালিক হয়ে গেছে যে, গত ৮ বছর ধরে বিলেতে অভিজাত স্থানে বসবাস করতে পারছে। এটা সত্যি যে, জান্তা শাসক জিয়ার সেই অমোঘ বাণী তার স্ত্রী-পুত্রের জন্য আর্শীবাদ বয়ে এনেছে বলেই ক্ষমতাহারা হওয়ার পর আজও তাদের কাছে ‘মানি ইজ নো প্রবলেম’। পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই যে তাদের পৃষ্ঠপোষক, সেটা ২০০১ সালের নির্বাচনের সময় বিএনপিকে দেয়া অর্থের বহরই জানান দেয়। টানা তিন মাসের বেশি গুলশান কার্যালয়ে বসে দেশজুড়ে নাশকতার নির্দেশ দিয়ে বেগম জিয়া জঙ্গী ও সন্ত্রাসীদের নেত্রী হিসেবে নিজেকে অধিষ্ঠিত করার পর মধ্যবিরতি দিয়ে রণরঙ্গিনী মূর্তিতে যে আবার হাজির হতে চান, সেটা নানাভাবে বোঝাতে চাচ্ছেন। মাসাধিককাল ধরে লন্ডন সফরে থাকা বেগম জিয়া সেখানে সভা-সমাবেশও করছেন এবং সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার চালাচ্ছেন। তার সব বক্তব্যই জঙ্গী ও সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করে। চিকিৎসার নামে বিলেত গেলেও সেখানে দুর্নীতির দায়ে পলাতক পুত্রের সঙ্গে রাজনৈতিক ফন্দি-ফিকির যে আঁটছেন তা বোধগম্য না হওয়ার কারণ নেই। যে লন্ডনে বসে গোলাম আযম পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার প্রকল্প চালু করেছিল, সেই লন্ডনে সফরকালে বেগম জিয়া ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের এবং যুদ্ধাপরাধী রক্ষা প্রকল্প নিয়ে যে এগিয়ে যাচ্ছেন, তার ফলাফল মিলবে হয়তো সহসা। এমনিতেই বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করে তোলার লক্ষ্যে জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে তিনি যে পদক্ষেপ নিয়েছেন তা প্রকাশ হয়ে গেছে। দুই বিদেশীকে হত্যার সঙ্গে তাদের সম্পর্ক থাকার কথা সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে। বিএনপি-জামায়াত জোটের লক্ষ্যই হচ্ছে ক্ষমতাসীন সরকারকে ক্ষমতা ত্যাগে বাধ্য করে একটি অনির্বাচিত সরকার ব্যবস্থা চালু করা। ইয়াজুদ্দিন মার্কা এই সরকারকে দিয়ে তিনি সকল যুদ্ধাপরাধী মুক্ত করতে যেমন পারবেন, তেমনি নিজেরসহ জোটের সকল নেতাকর্মী এমনকি জঙ্গী ও সন্ত্রাসীদের মামলা প্রত্যাহার করিয়ে কারাগার থেকে খালাস করানোর পদক্ষেপ নিতে পারবেন। সেই সঙ্গে দীর্ঘ লালিত হিংসার বশবর্তী হয়ে আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির বিনাশ সাধন করা যাবে। দেশকে পাকিস্তানী ধারায় ফিরিয়ে নিয়ে সাম্প্রদায়িকতা, উগ্রবাদ, মৌলবাদ, ধর্মান্ধতা, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ ছড়িয়ে দিতে পারবেন। সেই সরকারের অধীনে লোক দেখানো নির্বাচন করে নিরঙ্কুশ আসন লাভ করার স্বপ্ন পূরণ করবেন। আর ক্ষমতায় বসে সংবিধানের সব খোল-নলচে পাল্টে ফেলে হয়তো পাকিস্তানের সঙ্গে কনফেডারেশন গঠনের পথে হাঁটতেও পারেন। অবশ্য তার এই স্বপ্নপূরণে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার সমর্থন তো থাকবেই। বেগম জিয়ার এই খায়েশ পূরণে মানুষের মৃত্যু, সম্পদহানি কোন বিষয়ই নয়। কারণ, দেশকে অস্থিতিশীল করে স্বপ্ন বাস্তবায়নে এই পন্থার বিকাশ ছাড়া এখন আর কিছু নেই জঙ্গীনেত্রীর তকমাপ্রাপ্ত বেগম জিয়ার ঝুলিতে। বিশ্বের আর কোথাও এমন দল পাওয়া যাবে না, যেখানে পুত্র-মাতা দল, আর সবাই তাদের বশংবদ। হয়তো সে কারণেই নেতা-কর্মীদের পুত্র-মাতার সন্ত্রাসবাদ, উগ্রপন্থা, জঙ্গীপনাকে সমর্থন শুধু নয়, তাতে অংশ নিতেও হচ্ছে। বিএনপির সিনিয়র নেতারাও তাদের নির্দেশে বাস পোড়ানো, মানুষ হত্যার মতো ঘৃণ্য কাজে লিপ্ত, মদদ দানÑ সবই করেছে। এদের অবস্থান দলে অনেকটা ফাই-ফরমায়েশ খাটার মতো। যে কারণে মেরুদ- সোজা করে দাঁড়িয়ে বলতে পারছে নাÑ ‘মানুষ হত্যা বন্ধ কর, জামায়াত জঙ্গীর সঙ্গ ছাড়।’ তারা নিজেরও ক্ষমতার মোহে পোক্তভাবে এসবে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গেছে। তারা গণতান্ত্রিক রাজনীতি তথা সংসদের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। নির্বাচনে জয়লাভ করা অনিশ্চিত বলেই হয়তো এই অবস্থা, আসলে তা নয়। জঙ্গী ও সন্ত্রাসবাদ এবং জামায়াতে একবার সম্পৃক্ত হলে তা থেকে বেরিয়ে আসা দুষ্কর। তাই খালেদার লন্ডন থেকে দেয়া নির্দেশ পালনে জামায়াত-শিবির মাঠে রয়েছে এবং তৎপরতা চালাচ্ছে। অতীতে যেমনটা দেখা গেছে, বেগম জিয়াকে যখনই কিছুদিনের জন্য বাংলাদেশের রাজনীতিতে খুঁজে পাওয়া যায়নি, তখনই দেশে কোন ঘটনা ঘটেছে। তিনি লন্ডনে থাকা অবস্থায় কীভাবে দেশে এমন একটি চক্রান্ত বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে, যেখানে বিদেশীদের হত্যা করা হচ্ছেÑ এ দুটোর কোন যোগসূত্র আছে কিনা তা ভেবে এবং খতিয়ে দেখার কথা সরকারী দলের পক্ষ থেকে বলা হলেও, তা যে করা হচ্ছে তার কোন উদাহরণ মেলে না। বিএনপি-জামায়াতের পৃষ্ঠপোষকতায় দেশে জঙ্গীবাদের উত্থান হয়েছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে জঙ্গীবাদের অবসান ঘটিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে। কিন্তু চোরাগোপ্তা হামলা মাঝে মধ্যে চালিয়ে, হত্যার ঘটনা ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক তৈরির কাজ চলছে। এই আতঙ্ক খালেদা-তারেক বিদেশ পর্যন্ত ছড়াতে পেরেছেন। গত ৮ বছরে তাদের দিক থেকে এটাই তাদের সাফল্য। বিদেশীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দেশে অনির্বাচিত সরকার ডেকে আনতে বদ্ধপরিকরÑ যা অতীতে চেয়েও ব্যর্থ হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ ও জামায়াতের প্রশ্নে দ্বৈতনীতির কারণে খালেদা-তারেক ও তার দল বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সে কারণেই গণতন্ত্রের পথ ছেড়ে চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র, নৈরাজ্য ও নাশকতার পথে নেমেছে। অসুরের মতো যারা ধ্বংসযজ্ঞে মেতে ওঠছে তাদের বিনাশ জরুরী। ১৬ কোটি মানুষের দেশে কতিপয় দেশবিরোধীর চক্রান্ত রুখতে জনগণই এগিয়ে আসবে, এটাই স্বাভাবিক। কারণ জনতা ভুক্তভোগী। সরকার নির্বিকার থাকুক আর নাই থাকুক, প্রতিরোধের উপায় জনগণের জানা। দেশে বিদেশী হত্যাকা- থেকে শুরু করে আইন-শৃঙ্খলার অবনতিসহ নানা রকম জঙ্গী তৎপরতা বেড়ে যাওয়ার পেছনে যে ‘লন্ডন-কানেকশন’ সক্রিয় তা এখন সবারই জানা হয়ে গেছে। জাপানী নাগরিক কুনিও হত্যাকা-ে গ্রেফতারকৃত স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ‘লন্ডন-কানেকশন’ পানির মতো পরিষ্কার হয়ে গেছে। জবানবন্দীতে ঘুরেফিরে তারেক রহমানের নাম উঠে এসেছে। তারেকের বাসভবনে অবস্থানরত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কি এসবের খোঁজ-খবর রাখেন? বিএনপি ঘনিষ্ঠ রাজনীতি বিশ্লেষকরা লন্ডনে চিকিৎসার অজুহাতে আপাতত থেকে যাওয়া খালেদা জিয়া যে তারেক রহমানের জিম্মায় কার্যত গৃহবন্দী সে ব্যাপারে শঙ্কা প্রকাশ করে তারা বলছেন, আপাতত কিছুদিন জননীকে লন্ডনে রেখে দিয়ে তারেক দেশে অগ্নিসন্ত্রাসের বিকল্প কোন পরিস্থিতি তৈরি করে তা থেকে ফায়দা উঠাতে চান। কিন্তু সেটা কি সম্ভব? এ নিয়েও বিএনপি এখন বহুধারায় বিভক্ত। শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হয়েছে। সার্বজনীন এই উৎসবের মধ্য দিয়ে অশুভের নাশ আর অসুরের ধ্বংস কামনা করা হবে। বাঙালী হিন্দু সম্প্রদায়ের দেবী দশভুজা দুর্গা অশুভ নাশে তার ভক্তের ডাকে সাড়া দিয়ে শুভকে সামনে যাতে নিয়ে আসেন পূজারীরা সেই প্রার্থনা করবেন। তাদের সেই মনস্কামনা পূর্ণ হোক। সেই সঙ্গে বাংলার মাটি, বাংলার বায়ু, বাংলার জল, বাংলার আকাশ, বাঙালীর ঘরবাড়ি সব কিছু হোক পুণ্যÑ ধরায় বর্ষিত হোক শান্তির বারি।
×