ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ছাত্রদের হোস্টেল ত্যাগের নির্দেশ

কুমিল্লায় কলেজ ছাত্রদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ ॥ আহত ৩৫

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ১৯ অক্টোবর ২০১৫

কুমিল্লায় কলেজ ছাত্রদের  সঙ্গে স্থানীয়দের  সংঘর্ষ ॥ আহত ৩৫

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা, ১৮ অক্টোবর ॥ ভিক্টোরিয়া সরকারী কলেজের কবি নজরুল হলের আবাসিক ছাত্রদের সঙ্গে এলাকাবাসীর ব্যাপক সংঘর্ষ, গুলি বিনিময় ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩৫ জন আহত হয়েছে। শনিবার রাতে নগরীর ধর্মপুরের ভিক্টোরিয়া কলেজের ডিগ্রী শাখায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে এ ঘটনার পর কলেজ কর্তৃপক্ষ রবিবার দুপুরে জরুরী বৈঠক শেষে বিকেল ৫টার মধ্যে কবি নজরুল হলের ছাত্রদের হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ, হোস্টেল ছাত্র ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলার বরুড়া উপজেলার মনিরুজ্জামান মনির (৫২) নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তা নগরীর ধর্মপুর এলাকায় বাসা ভাড়া থাকেন। শনিবার রাত ৯টার দিকে তিনি ওই বাসার সামনের একটি চা-স্টলে বসে চা খাচ্ছিলেন। এ সময় পূর্ব বিরোধের জের ধরে কলেজের ছাত্র ইমাম তার সঙ্গীদের নিয়ে মনিরুজ্জামানকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা মনিরুজ্জামানকে উদ্ধার করে প্রথমে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় প্রেরণ করেন। এদিকে ওই ঘটনার পর রাত সাড়ে ৯টার দিকে কলেজের কবি নজরুল হলের ছাত্র আজিজ ও শরীফ ধর্মপুর দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাদের আটক করে মারধর করে। খবর পেয়ে হোস্টেলে অবস্থানরত ছাত্ররা এলাকাবাসীর ওপর হামলা চালায়। এ সময় উভয়পক্ষে ব্যাপক ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে ধর্মপুর এলাকার ১৫Ñ১৬টি দোকান ভাংচুর হয়। কবি নজরুল হলের ছাত্ররা জানান, এ হলের দুই ছাত্রকে এলাকার লোকজন আটক করে মারধর করেছে এমন সংবাদ শুনে আমরা তাদের উদ্ধার করতে যাই। এ সময় এলাকাবাসী আমাদের ওপর হামলা চালালে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে এলাকার লোকজন তালা ভেঙ্গে আমাদের হলে ঢুকে ছাত্রদের ৫০-৬০টি সাইকেল নিয়ে যায়। স্থানীয়রা জানান, হলের কয়েকজন ছাত্রের একটি সিন্ডিকেট ধর্মপুর এলাকার প্রায় দোকানে চা খেয়ে বিল দিতে চায় না। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আব্দুর রশীদ জানান, এ বিষয়ে দুপুরে আমরা বৈঠক করেছি। এ হলের সকল ছাত্রকে বিকেল ৫টার মধ্যে হল ত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছি এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য এ হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মোঃ আব্দুল খালেককে প্রধান করে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিনদিনের মধ্যে তারা প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
×