ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

টাঙ্গাইলের আওয়ামী রাজনীতিতে নয়া মেরুকরণ শুরু

প্রকাশিত: ২২:২৩, ১৯ অক্টোবর ২০১৫

টাঙ্গাইলের আওয়ামী রাজনীতিতে নয়া মেরুকরণ শুরু

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল॥ পরিবারতন্ত্রের প্রভাবমুক্ত অবস্থায় টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল ও সম্মেলনের মধ্য দিয়ে সোমবার থেকে জেলার আওয়ামী রাজনীতিতে নয়া মেরুকরণ শুরু হয়েছে। গত কয়েক বছরে প্রভাবশালী খান ও সিদ্দিকী পরিবারের বিদায় ঘন্টার শেষ পেরেকটি মারা হয়েছে রোববারের জেলা সম্মেলনের মাধ্যমে। সরাসরি ভোট না হলেও ৪৩৯জন কাউন্সিলরের অধিকাংশই স্বতস্ফূর্তভাবে সমর্থন জানিয়েছেন নয়া সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহেরকে। এ সম্মেলন টাঙ্গাইল জেলার আওয়ামী রাজনীতির জন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে ভাবছেন কাউন্সিলর ও ডেলিগেটরা। দীর্ঘ প্রায় এক যুগ পর নয়া নেতা পেয়ে বেজায় খুশি আওয়ামী ঘরাণার নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। স্বাধীনতার পর এই প্রথম টাঙ্গাইলের আওয়ামী রাজনীতিতে খান ও সিদ্দিকী পরিবারের প্রত্যক্ষ প্রভাবমুক্ত পরিবেশে সফল, স্বার্থক, বর্ণাঢ্য ও ডিজিটাল সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক কাগমারি সম্মেলনের পর এই প্রথম জেলা পর্যায়ে এতো বড় আয়োজনের মধ্য দিয়ে সুষ্ঠ পরিবেশে সফল সম্মেলন করতে পেওে জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা এবং জেলার কর্মী-সমর্থকরা। জেলার এ দু’টি প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের প্রভাবমুক্ত হয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে সম্মেলন আয়োজন করায় জেলার সাধারণ নেতাকর্মীরা সকল ভয়ভীতির উর্দ্ধে থেকে উৎসব আমেজে জেলার সফল সম্মেলনে অংশ নেন। সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে দলীয় আতœঘাতি সিদ্বান্ত বন্ধ করতে হবে। আওয়ামী লীগে চক্রান্তকারীদেও কোন জায়গা নেই। দলে থেকে যে বা যারা দলের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত মানতে চিন্তা-ভাবনা করে, তারা দলের জন্য মঙ্গলজনক হতে পারে না। টাঙ্গাইলের প্রভাবশালী খান পরিবারকে ইঙ্গিত করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, এক সময় শোনা যেতো একটি পরিবার না থাকলে নাকি টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ অচল হয়ে পড়বে। আজ তারা নেই। কিন্তু আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী স্বতস্ফূর্তভাবে আজকের এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছে, সফল সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মন্ত্রী টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শহীদ ফারুক আহমদকে স্বরণ করে আরও বলেন, তাঁর মতো ত্যাগী নেতা দ্বিতীয়টি টাঙ্গাইলে জন্ম নেবে না। জেলা আওয়ামী লীগের সকল কাজে তিনি ছিলেন অগ্রগণ্য। রোববার অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের প্রথম পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি একথা বলেন। টাঙ্গাইল আউটার স্টেডিয়াম অনুষ্ঠিত দিনব্যাপি সম্মেলনে ও এর আশপাশে প্রায় ৫০ হাজার নেতা-কর্মী ও সমর্থকের সমাগম ঘটে।
×