ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মাদ্রাসা ছাত্রকে হত্যার দায়ে শিক্ষকসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: ০১:৪৯, ১৯ অক্টোবর ২০১৫

মাদ্রাসা ছাত্রকে হত্যার দায়ে শিক্ষকসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন

স্টাফরির্পোটার,নীলফামারী॥ মাদ্রাসা ছাত্র ওয়াছকুরুনীকে (১৪) হত্যার দায়ে তিনজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডের রায় দেয়া হয়েছে। সেই সাথে প্রত্যেককে নগদ ১০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ছয় মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। সোমবার বিকালে নীলফামারীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মাহবুবুল আলম এই রায় প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন নীলফামারীর ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ি নয়াবাড়ি গ্রামের মৃত. আবদুল্লা মিয়ার ছেলে জলঢাকার কৈমারী বসুনিয়াপাড়া এজাহারিয়া জামিয়া দারুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসার সুপার শওকত আলী (৫৮), ওই মাদ্রাসার সহকারী ক্বারী শিক্ষক কিশোরীগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে মফিজুল ইসলাম (৩৩) ও ওই মাদ্রাসার ছাত্র জলঢাকা উপজেলা ডাউয়াবাড়ি নেকবক্ত গ্রামের জহুরুল হকের ছেলে মনিরুজ্জামান (১৭)। মামলা সংক্ষিপ্ত বিবরনীতে জানা যায় রংপুর জেলার গঙ্গচড়া ইউনিয়নের পূর্ব কচুয়া গ্রামের আজিম উদ্দিনের ছেলে ওয়াছকুরুনী ওই মাদ্রাসায় লিখাপড়া করতো। মাদ্রাসার সুপার সেখাপন অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছিল যা ওয়াছকুরুনী দেখে ফেলেছিল। এ নিয়ে সুপার সহ উক্ত তিনজন ঘটনা ফাস না করার জন্য হুমকী প্রদানের পর ক্ষিপ্ত হয়ে ২০০৭ সালের ১ জুলাই রাতে ওয়াচকুরুনীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এরপর লাশ মাদ্রাসার পেছনের ডোবায় ফেলে দেয়। পরের দিন দুপুরে এলাকাবাসী ডোবায় লাশ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে মাদ্রাসা ছাত্র ওয়াচকুরুনীর লাশ উদ্ধার করেছিল। সেদিনই নিহত মাদ্রাসা ছাত্রের বাবা আজিম উদ্দিন বাদী হয়ে উক্ত তিনজনের নামে জলঢাকা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।মামলার দীর্ঘ শুনানী শেষে আদালত উক্ত রায় প্রদান করেন।
×