ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাউফলে গাছের সঙ্গে বেঁধে যুবককে নির্যাতন

প্রকাশিত: ০৬:১৫, ২০ অক্টোবর ২০১৫

বাউফলে গাছের সঙ্গে বেঁধে যুবককে নির্যাতন

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ১৯ অক্টোবর ॥ বাউফলের ধানদী গ্রামে সোমবার দুপুরে চুরির অভিযোগে রুবেল প্যাদা (২২) নামে এক যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে। রুবেল দাশপাড়া গ্রামের চুন্নু প্যাদার ছেলে। জানা গেছে, সোমবার দুপুরের দিকে রুবেল ও তার দুই সহযোগী ধানদী গ্রামের লক্ষ্মণ শীলের বাড়িতে মধু বিক্রি করতে আসে। এ সময় কৌশলে রুবেল ওই দুই সহযোগীসহ লক্ষ্মণ শীলের ঘরের জানালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। মালামাল নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় গৃহকর্তী পুতুল রানী হাতেনাতে রুবেলকে ধরে ফেললেও অপর দুইজন পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় কয়েকজন লোক রুবেলকে একটি গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে হাত-পা বেঁধে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটায়। এভাবে ১৫-২০ মিনিট ধরে তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়। পরে খবর পেয়ে বাউফল থানার দারোগা ঈমাম হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। চট্টগ্রামে ধর্ষণ মামলা তদন্তে গিয়ে তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রামে ধর্ষণ মামলার তদন্ত করতে গিয়ে ধর্ষিতাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে এক পুলিশ সদস্য। অভিযুক্ত ওমর ফারুক বোয়ালখালী থানায় পরিদর্শক (তদন্ত) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। সোমবার চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালতে এই অভিযোগে মামলা দায়ের করেন এক তরুণী। জানা যায়, বোয়ালখালীর এই তরুণী এর আগে এক যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব বর্তায় পরিদর্শক ওমর ফারুকের ওপর। তিনি তদন্ত করতে গিয়ে একাধিকবার ওই তরুণীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেন। মামলা তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় আলাপের কথা বলে গত ২৭ আগস্ট মেয়েটিকে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তবে তরুণীর ছোট ভাই থাকায় ধর্ষণে ব্যর্থ হন। এ অভিযোগে আদালতে মামলাটি দায়ের হয়। আদালত অভিযোগটি গ্রহণ করেছেন। তবে এ সংক্রান্তে এখনও কোন আদেশ হয়নি। চট্টগ্রামে বাসায় ঢুকে প্রভাষককে হত্যার চেষ্টা স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের প্রভাষককে তার বাসায় কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার ভোর ৫টার দিকে নগরীর হালিশহর থানার রঙ্গীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ব্যক্তিগত শত্রুতার জের কিংবা কোন আক্রোশবশত দুর্বৃত্তরা এই চিকিৎসককে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে বলে ধারণা পুলিশের। সিএমপির হালিশহর থানা সূত্রে জানা যায়, পরিস্থিতির শিকার ডাঃ তারেক শামস চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের প্রভাষক। তিনি বিশিষ্ট চিকিৎসক শামসুল আলম এবং আগ্রাবাদ মহিলা কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ লেখিকা আনোয়ারা আলমের ছেলে। নগরীর ও আর নিজাম রোড এলাকায় অবস্থিত বেসরকারী ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিএসসিআর-এ ডাঃ তারেক শামসের চেম্বার। পুলিশ জানায়, ঘটনাটি ঘটে সোমবার ভোরে তার হালিশহর এলাকায় অবস্থিত বাসভবনে। নিচ তলায় শয়নকক্ষে ঘুমিয়েছিলেন ডাঃ তারেক। এ সময় তার স্ত্রী ছিলেন না। দো’তলায় অবস্থান করছিলেন ডাঃ শামসের বাবা-মা। ভোর ৫টার দিকে দরজায় টোকা পড়তেই ঘুম ভাঙ্গে তার। দরজা খুলতেই একের পর এক তার গায়ে এসে পড়ে এলোপাতাড়ি কোপ। দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে সটকে পড়ে।
×