ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কোমর ব্যথা ও প্রলাপ্স লাম্বার ইন্টার ভার্টিব্রাল ডিস্ক

প্রকাশিত: ০৬:৪১, ২০ অক্টোবর ২০১৫

কোমর ব্যথা ও প্রলাপ্স লাম্বার ইন্টার ভার্টিব্রাল ডিস্ক

আমাদের যে কয়টি সাধারণ রোগ আছে তার মধ্যে কোমর ব্যথা উল্লেখযোগ্য। একজন বয়স্ক ব্যক্তি জীবনের কোন না কোন সময়ে কোমর ব্যথায় ভোগে থাকেন। সাধারণত কোমর ব্যথা, পূর্ণ বিশ্রাম, গরম সেক ও ব্যথার ঔষধে সেরে যায়। কোমর ব্যথা নানা কারণে হয়ে থাকে তার মধ্যে সঁংপষব ঢ়ড়ড়ষ বা মাংস পেশীতে কোন কারণে শক্ত টান পড়া। অনেক দিন যাবত ধনহড়ৎসধষ ঢ়ড়ংরঃরড়হ এ বসা বা শোয়া কোমর ব্যথার উল্লেখযোগ্য কারণ। কোন সময় পড়ে গিয়ে বা জড়ধফ ধপপরফবহঃ-এর কারণে কোমড় আঘাত পেলেও কোমর ব্যথা হয়ে থাকে। মেরুদ-ের রহভবপঃরড়হ যেমন, টিউবার কিউলোসিস বা ড়ংঃবসড়ুবষরঃরং এবং কোন কারণে ভৎধপঃঁৎব হলেও কোমর ব্যথা হতে পারে। ঋরনৎড়সুরধষমরধ ধহশুষড়ংরহম ংঢ়ড়হফুষরঃরং তেও কোমর ব্যথা হয়ে থাকে। শতকরা ৯০ ভাগ কোমর ব্যথা ঔষধ, ফিজিওথেরাপী ভাল হয়। মাত্র ১% কোমর ব্যথার অপারেশন করা হয়, প্রলাপ্স খঁসনবৎ ওহঃবৎাবৎঃবনৎধষ ফরংশ এর জন্য। যে কোমর ব্যথায় ঁৎমবহঃ ড়ঢ়বৎধঃরড়হ করা হয় তার নাম জবফ ভষধম রহফরপধঃরড়হ ড়ভ ঁৎমবহঃ ংঁৎমবৎু : ১) মেরুদ-ের হাড় ভেঙ্গে যাওয়া ২) ঈধঁফধ বয়ঁরহব ংুহফৎড়সব (প্রস্রাব, পায়খানা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে যাওয়া, প্রস্রাব, পায়খানা আটকে যাওয়া, সেক্সোয়াল প্রবলেম হওয়া) ৩) মেরুদ-ে ক্যান্সার হওয়া কোমর ব্যথার অন্যতম প্রধান কারণ ঢ়ৎড়ষধঢ়ংবফ ষঁসনবৎ রহঃবৎাবৎরধষ ফরংশ আমাদের মেরুদ-ে ৩৩টা পৃথক হাড় দিয়ে গঠিত হয়। প্রতিটি হাড়কে কাশেরুকা বলা হয়। দুই কাশেরুকার মাঝে যে অস্থি থাকে, তাকে বলে রহঃবৎাবৎঃবনৎধষ ফরংশ। এর আবার দুই অংশ। বাহিরে শক্ত আবরণকে বলে অহঁষঁং ভরনৎড়ংঁং। ভিতরের নরম জেলীর মতো অংশকে বলে হবঁপষবঁং ঢ়ঁষড়ংঁং। মেরুদ-ে কোন আঘাত পেলে বাইরের অহঁষঁং ভরনৎড়ংঁং দিয়ে ভিতরের নিউক্লিয়াস পালপোসাস বের হয়ে আসে। ঘঁপষবঁং ঢ়ঁষঢ়ড়ংঁং তার জায়গা থেকে বের হয়ে এসে সংশ্লিষ্ট নার্ভ রোটকে চাপ দেয়। এই নার্ভ রোটগুলি দিয়ে সায়াটিক নার্ভ তৈরি হয়। উরংপ-এর চাপে কোমরের নঁঃঃড়পশ, ঃযরময এর পিছনের অংশ, পায়ের পধষভ সঁংপষব এর পিছনের অংশ, বুড়া আঙুল, পায়ের উপরের অংশ ও পায়ের পাতায় ঝিন ঝিন করে এবং কোমর পর্যন্ত ব্যথা অনুভব করে। এটাকে বলে ঝপরধঃরপধ। ঢ-ৎধু ষঁসনড়ংধপৎধষ ংঢ়রহব ধহফ গজও ড়ভ ষঁসনড়ংধপৎধষ ংঢ়রহব করলে রোগ নিশ্চিতভাবে নির্ণয় করা যায়। চিকিৎসার মধ্যে ১) পূর্ণ বিশ্রাম, ২) ব্যথার ঔষধ, যেমন- ঞধনষবঃ ঘধঢ়ৎড়ংুহ ৫০০সম দিনে দুইবার ১৫ দিন, ভড়া পেটে খেতে হবে, ৩) ঈধঢ়, ঝবপষড় ২০সম ১টা করে দিনে দুইবার ১৫ দিন, ৪) ঞধন. গুড়হরষ ১টা করে দিনে ৩ বার ১৫ দিন ৫) গরম সেক উল্লেখযোগ্য, ৬) ভারি কাজ, নুয়ে কাজ না করা, ৭) শক্ত বিছানায় ঘুমানোর অভ্যাস করা উল্লেখযোগ্য। ব্যথা কমার পরে নধপশ বীবৎপরংব করতে হবে। শতকরা ৯০ ভাগ রোগীর উল্লেখিত চিকিৎসায় উন্নতি হয়। কিন্তু ঊীঃৎঁফবফ ফরংপ ঢ়ৎড়ষধঢ়ংব-এর রোগীর সাধারণত ব্যথা থেকে যায়। অনেক সময় পায়ের পাতা তুলতে পারে না, হাঁটতে গেলে খুঁড়িয়ে হাঁটে, প্রস্রাব ঝরে বা আটকে যায়, সেক্স কমে যায়। সে সব ক্ষেত্রে জরুরী ভিত্তিতে নিউরো ও স্পাইনাল সার্জন দ্বারা অপারেশন করা উচিত। অন্যথায় দেরি করে অপারেশন করলে রোগের উন্নতি হয় না। ডাঃ হারাধন দেব নাথ সহকারী অধ্যাপক, নিউরো সার্জারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ০১৭১৩৫৪১২০
×