ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল-সাগরদিঘী সড়কের বেহাল দশা

প্রকাশিত: ২২:২৫, ২০ অক্টোবর ২০১৫

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল-সাগরদিঘী সড়কের বেহাল দশা

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল ॥ ঘাটাইল সদর উপজেলার সাথে ঘাটাইল-সাগরদিঘী যোগাযোগের প্রধান সড়কটির অবস্থা বেহালদশা। দীর্ঘ দিন ধরে সড়কটি যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পেচার আটা, মাকড়াই, গাঞ্জানা, কুশারিয়া, ল্যাংড়াবাজার এলাকায় খানাখন্দে ভরা। খানাখন্দের কারনে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। বিকল হচ্ছে যানবাহন আর দুর্ভোগ পোহাচ্ছে জনসাধারণ। জানা যায়, প্রায় দুই যুগ আগে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর এই সড়কটি নির্মাণ করে। ২০১২-২০১৩ অর্থ বছরে কার্পেটিং ও বিটুমিন ঢালাই করা হলেও বর্তমানে খানাখন্দে ভরে গেছে এ সড়কটি। সড়কটি অপ্রস্তত হওয়ায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রায় ৪০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এ সড়ক দিয়ে ধলাপাড়া, সন্ধানপুর, রসূলপুরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় ৫০টিরও অধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিশু, বৃদ্ধ প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করলেও মেরামতের ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ। এছাড়া অঞ্চলটি পাহাড়ি অঞ্চল থাকায় এখানে প্রায় সকল প্রকার কৃষি ফসল উৎপাদন হয়। বিশেষ করে ফল-শাকসবজি, আনারস ও কলা চাষের জন্য খ্যাত এই অঞ্চলটি। যা ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে কৃষকরা। আর তাদের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে এই সড়কটি। তাই এই উপজেলার আঞ্চলিক সড়কগুলোর মধ্যে অন্যতম ব্যস্ততম সড়ক এটি। জরাজীর্ণ এ সড়কে বাস, ট্রাক, মাহিন্দ্র, ইজিবাইকসহ বিভিন্ন ভারি যানবাহন থেকে শুরু করে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। এ ব্যাপারে ঘাটাইল উপজেলা প্রকৌশলী ফজলুল কবির বলেন, গুনগত মানে পাতলা ও বন্ডিং (বিটুমিনের কংক্রিট ধারনক্ষমতা) কম ব্যবহারের কারণে গরমের মৌসুমে এ ধরনের নিম্নমানের বিটুমিন ব্যবহারে তৈরি সড়কগুলোর বেহাল অবস্থা হয়। বিটুমিন গলানোর কাজে জুটের ব্যবহার ও তাপমাত্রা তারতম্যের কারণে ১ থেকে ২ বছরের মধ্যে বিটুমিন উঠে গিয়ে রাস্তায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। কতিপয় অসাধু ঠিকাদারা রাস্তা তৈরিতে নিম্নমানের বিটুমিন ব্যবহার করছে।
×