ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

অনিবন্ধিত সিমে ৫০ ডলার জরিমানা

সিম নিবন্ধনে আঙ্গুলের ছাপ পদ্ধতি আজ পরীক্ষামূলক চালু

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ২১ অক্টোবর ২০১৫

সিম নিবন্ধনে আঙ্গুলের ছাপ পদ্ধতি আজ পরীক্ষামূলক চালু

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ মোবাইল ফোনের সিম নিবন্ধনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি বা আঙ্গুলের ছাপ পদ্ধতির পরীক্ষামূলকভাবে চালু হচ্ছে আজ বুধবার। এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। প্রতিমন্ত্রী এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেয়ার ৯০ দিন পূর্তি উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর ৯০ দিনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন অগ্রগতি সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন তিনি। এ সময় নিজের ৯০ দিনের কার্যক্রম সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পেছন থেকে ধাক্কা দিলে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোও কাজ করতে পারে। গত ৯০ দিনে আমি সেই চেষ্টাটাই করেছি।’ তারানা হালিম বলেন, সিম নিবন্ধনে আঙ্গুলের ছাপ পদ্ধতি নবেম্বর থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটি এগিয়ে এনে আগামীকাল বুধবার (আজ) থেকেই পরীক্ষামূলকভাবে চালু হচ্ছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় আগামীকাল এই বিভাগ পরিদর্শনে এসে সিম নিবন্ধনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির পরীক্ষামূলক উদ্বোধন করবেন। তিনি জানান, আগামী এক নবেম্বর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে গ্রাহকরা কাস্টমার কেয়ার থেকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন করতে পারবেন। আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে চূড়ান্তভাবে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করবেন অপারেটররা। এ জন্য অপারেটরদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তারানা বলেন, অপারেটরদের মধ্যেও এ বিষয়ে মতৈক্য হয়েছে। সব অপারেটর নির্ধারিত সময়ে এ প্রক্রিয়া শুরু করবে বলে জানিয়েছে। মোবাইল গ্রাহকদের সিমের তথ্য যাচাইয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য ভাণ্ডার ব্যবহারের ভুয়া পরিচয়ে অথবা নিবন্ধন না করে সিম কিনে নানা অপরাধে ব্যবহারের অভিযোগ বাড়তে থাকায় সম্প্রতি গ্রাহকদের তথ্য যাচাই ও সিম পুনঃনিবন্ধনের এই উদ্যোগ নেয়া হয়। এরপর মোবাইল গ্রাহকদের সিমের তথ্য যাচাইয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য ভাণ্ডার ব্যবহারের প্রক্রিয়া সম্প্রতি শুরু হয়। অপারেটররা গ্রাহকের সিম নিবন্ধন সম্পর্কিত তথ্য এনআইডি কর্তৃপক্ষকে দেয়। তবে, গ্রাহক নিবন্ধন যাচাইয়ে তথ্য দিতে অপারেটরদের ধীর গতিতেও অসন্তোষ প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী। অপারেটরদের জরিমানার বিধান ॥ সংবাদ সম্মেলনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম জানান, আগামী এপ্রিলের পর থেকে অনিবন্ধিত সিমের জন্য অপারেটরদের সিমপ্রতি ৫০ ডলার জরিমানার বিধান কার্যকর করা হচ্ছে। ভুয়া পরিচয়ে অথবা নিবন্ধন না করে সিম কিনে নানা অপরাধে ব্যবহারের অভিযোগ বাড়তে থাকায় সম্প্রতি গ্রাহকদের তথ্য যাচাই ও সিম পুনঃনিবন্ধনের উদ্যোগ নেয় সরকার। ২০১২ সালে প্রি-একটিভ সিম (আগে থেকেই চালু) বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে তা ধরা পড়লে সিমপ্রতি ৫০ ডলার জরিমানার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। তবে তিন বছরেও তা কার্যকর হয়নি। তবে, এবার আগামী ডিসেম্বর থেকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। প্রতিমন্ত্রী জানান, গ্রাহক পরিচয় নিশ্চিত করতে অপারেটররা যে সুযোগ চেয়েছিল, তা দেয়া হয়েছে। ‘এনআইডি এক্সেসও তাদের দেয়া হয়েছে, তখন কিন্তু অপারেটরদের আর কোন যুক্তি থাকবে না’। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তাদের তিন মাস সময় দিচ্ছি নিবন্ধন সঠিক করে নেয়ার, এর পর অর্থাৎ এপ্রিল মাসের মধ্যে এটি যদি করা না যায়, তাহলে সিমপ্রতি জরিমানার যে বিধান রয়েছে, সেটি প্রযোজ্য হবে। এক পরিচয়পত্রের বিপরীতে ১৪ হাজারের বেশি সিম ॥ মোবাইল সিমের নিবন্ধন যাচাই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর পর প্রায় এক কোটি গ্রাহকের নিবন্ধন যাচাই করে দেখা গেছে, এর মধ্যে সঠিকভাবে নিবন্ধন হয়েছে মাত্র ২৩ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮০টি সিম। একটি ‘ভুয়া’ জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ১৪ হাজার ১১৭টি সিম তোলা হয়েছে। আরও তিনটি এনআইডি পাওয়া গেছে, যেগুলোর বিপরীতে ১১ হাজার ৮৬৬টি, ১১ হাজার ৩২৮টি ও ৬ হাজার ১৭৯টি সিমের নিবন্ধন হয়েছে বলেও যাচাইয়ে ধরা পড়ে। নিবন্ধন প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ করতে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির ঘোষণা দেয়া হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে রাষ্ট্রায়ত্ত অপারেটর টেলিটকসহ মোট ৬টি অপারেটর রয়েছে। আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সেফটি সেমিনার সমাপ্ত বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সেফটি সেমিনার তেজগাঁওয়ের বিএএফ ফ্যালকন হলে মঙ্গলবার সমাপ্ত হয়েছে। সেমিনারে ২৭ বিদেশীসহ ১৫ দেশের মোট ১৫০ সদস্য অংশগ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব) তারিক আহমেদ সিদ্দিক প্রধান অতিথি হিসেবে সমাপনী অধিবেশনে উপস্থিত থেকে সেমিনারে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, নৌবাহিনী প্রধান ভাইস এডমিরাল এম ফরিদ হাবিব এবং প্রাক্তন বিমান বাহিনী প্রধানগণসহ উর্ধতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। -আইএসপিআর
×