ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী

নতুন প্রজন্ম মেধা ও জ্ঞানের দখল বাড়িয়ে উন্নয়নে স্বাক্ষর রাখছে

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ২১ অক্টোবর ২০১৫

নতুন প্রজন্ম মেধা ও জ্ঞানের দখল বাড়িয়ে উন্নয়নে স্বাক্ষর রাখছে

জবি সংবাদদাতা ॥ শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম মেধার দিক থেকে দরিদ্র নয়। মেধা ও জ্ঞানের দখল বাড়িয়ে তারা বিভিন্নক্ষেত্রে উন্নয়নের স্বাক্ষর রাখছে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নতুন জ্ঞানের সন্ধান করে দেশকে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন ধরনের গবেষণা বাড়াতে হবে। স্বাধীনতার শুরুতে বাংলাদেশকে অনেকে দারিদ্র্যের রোল মডেল হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে রূপান্তরিত হয়েছে। মঙ্গলবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষা খাতে ব্যাপক উন্নয়ন করছে। বিশেষ করে শিক্ষাক্ষেত্রে মেয়েদের হার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের ক্লাসরুম, শিক্ষকদের আবাসন, ল্যাবরেটরির যেসব সমস্যা রয়েছে তা সমাধানের জন্য পর্যায়ক্রমে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এ সময় তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দশকপূর্তি উপলক্ষে প্রকাশিত ‘বিশেষ বার্তা’র মোড়ক উন্মোচন করেন এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠালাভের পর রোভার স্কাউটে সর্বোচ্চ এ্যাওয়ার্ড ‘প্রেসিডেন্ট রোভার স্কাউট’ পদকপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের বিশেষ সম্মাননা প্রদান করেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে সেই স্থান যেখানে জ্ঞান সৃষ্টি করতে হয়, জ্ঞান ধারণ করতে হয় এবং জ্ঞান বিতরণ করতে হয়, যার মাধ্যমে একটি বিশ্ববিদ্যালয় আদর্শ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম খান এবং তৃতীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ। ট্রেজারার অধ্যাপক মোঃ সেলিম ভূঁইয়া, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাঃ আলী নূর, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোঃ আবুল হোসেন, পোগোজ স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ শরিফুল আলম। অলোচনা সভায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হোলেনা ফেরদৌসী এবং সভাটি পরিচালনা করেন রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ ওহিদুজ্জামান। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়টি অগ্রাযাত্রার এক দশকে পদার্পণ করে। এ উপলক্ষে সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস-২০১৫’ উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। এ সময় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান আকাশে নানান রঙের বেলুন উড়িয়ে দেন ও শান্তির প্রতীক পায়রা অবমুক্ত করেন। এরপর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের নেতৃত্বে ব্যান্ডদলে সুসজ্জিত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র‌্যালিটি শহীদ মিনার চত্বর হতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে রায়সাহেব বাজার মোড় ঘুরে, ভিক্টোরিয়া পার্ক পরিক্রমণ করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসে সমাপ্ত হয়। এ সময় ছাত্রছাত্রীরা রঙ-বেরঙের টিশার্ট ও শাড়ি পরে নেচে-গেয়ে র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া প্রতিটি বিভাগের শিক্ষক-ছাত্রছাত্রীবৃন্দ নিজস্ব বিভাগীয় ব্যানারে রঙ-বেরঙের ব্যানার-ফেস্টুন বহন করে র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করেন। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে দুপুর ২টায় বিজ্ঞান ভবন চত্বরে ড্রামা এ্যান্ড মিউজিক বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. লাইসা আহমদ লিসার নেতৃত্বে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
×