ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চাঁদে মানুষের বসতি

প্রকাশিত: ১৯:১৮, ২১ অক্টোবর ২০১৫

চাঁদে মানুষের বসতি

অনলাইন ডেস্ক ॥ চাঁদের প্রত্যন্ত একটি এলাকায়, যে জায়গাটি সম্পর্কে এখনও খুব বেশি জানা যায়নি, সেখানে অবতরণের জন্যে এই প্রথমবারের মতো একটি মহাকাশযান পাঠাচ্ছে ইউরোপিয়ান ও রুশ মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। এই জায়গাটি চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে। অভিযানের পর চাঁদে এরকম আরো কয়েকটি যান পাঠানো হবে। লক্ষ্য একটাই: সেটা হচ্ছে চাঁদের উপরি-পৃষ্ঠে স্থায়ীভাবে মানুষ বসবাস করতে পারবে কীনা সেটা পরীক্ষা করে দেখা। এই অভিযানে চাঁদের মাটিতে একটি গর্ত করে দেখা হবে জ্বালানী ও অক্সিজেন তৈরির জন্যে সেখানে যথেষ্ট পানি আছে কীনা। এই নিচু জায়গাটি থেকে উপরের এগিয়ে গেলেই উঁচু উঁচু পাহাড় পর্বত। অন্ধকার কেটে গিয়ে সেখানে সবসময় আলো এসে পড়ছে। চাঁদের বুকে এটা এমন একটা জায়গা যেখানে দিগন্তের ওপাশে সূর্যাস্ত একটি বিরল ঘটনা। এর ফলে যে সম্ভাবনার কথা আমরা ভাবতে পারি তা হচ্ছে- সেখানে সব সময় সৌরশক্তি পাওয়া যাবে। ওই জায়গাটির পাশে আরো একটি এলাকার কথা আমরা এখন জানতে পারছি যেখানে একই রকমের ঠাণ্ডা। এখানেও কি পানি আছে? যদি থাকে তাহলে কতোটুকু আছে? এই পানি আসছে কোত্থেকে? এই ঘটনা থেকে পৃথিবীতে পানির উৎস এবং জীবন কিভাবে গঠিত হয় – সেবিষয়ে আমরা কি শিক্ষা নিতে পারি? বিজ্ঞানীরা বলছেন, কোটি কোটি বছর আগে চাঁদের উপরি-পৃষ্ঠে ধূমকেতু আর গ্রহাণুর প্রভাবের ফলে মাটির নিচে এই পানির উৎপত্তির কারণ হয়ে থাকতে পারে। এমনকি চাঁদের উপরিভাগেও এই পানি থাকতে পারে। আমরা এখন জানি, সূর্য থেকে যে প্রোটন ছুটে আসছে সেটা চাঁদের উপরেও এসে পড়ছে। অক্সিজেন ও খনিজ পদার্থের সাথে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে তখন উপরিভাগে পানির পাতলা একটি স্তর তৈরি হচ্ছে। পানির এই অণু সূর্যের তাপের কারণে, চাদের পৃষ্ঠে পড়ে যাওয়ার আগে, আবার উপরে উঠে আসতে পারে। আর সময়ের সাথে সাথে পানির সেই অণু ঠাণ্ডায় আকৃষ্ট হয়ে চাঁদের মেরু অঞ্চলে চলে আসতে পারে। সূত্র: বিবিসি বাংলা
×