ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

চরম অনিয়ম ও দায়িত্বহীনতা

খুলশীতে ১১ হাজার বিদ্যুত গ্রাহকের দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ০৬:১৬, ২২ অক্টোবর ২০১৫

খুলশীতে ১১ হাজার বিদ্যুত গ্রাহকের দুর্ভোগ

মাকসুদ আহমদ, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চরম অনিয়ম ও দায়িত্বহীনতার মধ্য দিয়ে চলছে বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রামের খুলশী গ্রিড। এ গ্রিডের ১১ নম্বর ফিডারের আওতায় থাকা গ্রাহকরা আলো-আঁধারির মধ্যে থাকলেও কর্তৃপক্ষ দীর্ঘ প্রায় চার মাস ধরে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। উল্টো রেলওয়ে কারখানাসহ আবাসিক এলাকার ১৩ নম্বর ফিডারের চাপ ১১ নম্বর ফিডারের ওপর তুলে দেয়ায় চরম হয়রানির মধ্যে ফেলেছে গ্রাহকদের। নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্বহীনতার কারণেই এ ধরনের সমস্যার সমাধান হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যুত বিভাগের কয়েক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ফিডারের এ ধরনের সমস্যা দূরীকরণে প্রয়োজনীয় কেবলের সংস্থানও করা হয়েছে। তবুও পদক্ষেপের কারণেই সমস্যার মধ্যে থেকে গেছে গ্রাহকরা। অতিরিক্ত চাপ পড়াসহ দুটি ফিডারের এরিয়া বেশি হওয়ার কারণেই প্রতিনিয়ত বিদ্যুতের ভোল্টেজ ওঠানামাসহ বিদ্যুত বিভ্রাটের ঘটনা ঘটছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছে প্রায় ১১ হাজার গ্রাহক। খুলশী গ্রিড সূত্রে জানা গেছে, গত রমজানের শেষের দিকে খুলশীর ১৩ নম্বর ফিডারের কেবল ছিঁড়ে পড়ে। পরক্ষণেই বিদ্যুত বিভাগের পক্ষ থেকে জোড়া দিয়ে পুনর্¯’াপন করা হলেও মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে আবারও বিকট শব্দে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় কেবলটি। পরবর্তীতে উপ-সহকারী প্রকৌশলীর দফতর থেকে তিন পেয়ারের প্রায় ২শ’ মিটার কেবল বরাদ্দের জন্য ঢাকার প্রধান দফতর বরাবর চিঠি পাঠায়। গত সপ্তাহে এসব ক্যাবলের বরাদ্দ পাওয়া গেছে। কিন্তু ১৩ নম্বর ফিডারের সঙ্গে এসব কেবল প্রতিস্থাপন করতে হলে বহন খরচ যেমন রয়েছে তেমনি প্রতিস্থাপন খরচসহ প্রায় অর্ধলক্ষ টাকার বরাদ্দ বা ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ তথা নির্বাহী প্রকৌশলী একমাত্র ক্ষমতাবান। অভিযোগ রয়েছে, দীর্ঘ প্রায় চার মাস পর গত সপ্তাহে এসব কেবল বরাদ্দ পাওয়া যায়। কিন্তু প্রতিস্থাপন ও পরিবহনে দায়িত্বশীল কর্মকর্তা তথা নির্বাহী প্রকৌশলী থেকে কোন ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়নি আদৌ। ফলে প্রতিনিয়ত বিদ্যুতের ভেল্কিবাজি বা ভোল্টেজ ওঠানামাসহ বিদ্যুত বিভ্রাটের ঘটনা ঘটছে। হাকিমপুরে ভাবীর পর দেবরের ওপর এসিড নিক্ষেপ স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ হাকিমপুর উপজেলার মাধবপাড়া গ্রামে আবারও এসিড সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেছে। ভাবীকে এসিডে মুখম-ল ঝলসে দেয়ার একদিন পর এবার দেবরের শরীরে এসিড দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত জাকারিয়া হোসেন (২০) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, মাধবপাড়া গ্রামের ইলিয়াছ মিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী বাবুল হোসেনের মধ্যে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে বাবুল সোমবার রাতে ঘরে ঘুমিয়ে থাকা ইলিয়াছের স্ত্রী মোর্শেদা বেগমকে (২০) লক্ষ্য করে জানালা দিয়ে এসিড ছুঁড়ে। এতে মোর্শেদার মুখম-ল ও ডান হাত ঝলসে গেলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার তাকে দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মোর্শেদার স্বামী ইলিয়াছ মিয়া জানান, তার স্ত্রীকে এসিড মারার একদিন পর মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে আবার তার ছোট ভাই জাকারিয়াকেও প্রতিপক্ষরা এসিড ছুঁড়ে মারে। এতে তার বাম হাত পুড়ে যায়। রাতে বাড়ির টিউবওয়েলে হাত-মুখ ধোঁয়ার জন্য গেলে, তাকে লক্ষ্য করে এসিড ছুঁড়ে মারা হয়। জাকারিয়াকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
×