ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কেশবপুর ক্রয়কৃত জমি নিয়ে বার বার মিথ্যা মামলা করে হয়রানি

প্রকাশিত: ২০:৪২, ২২ অক্টোবর ২০১৫

কেশবপুর ক্রয়কৃত জমি নিয়ে বার বার মিথ্যা মামলা করে হয়রানি

নিজস্ব সংবাদদাতা, কেশবপুর॥ কেশবপুর উপজেলার রেজাকাটি গ্রামের আবুল কাসেম মোড়লকে মিথ্যা মামলা দিয়ে বার বার হয়রানি করা হচ্ছে। বুধবার সন্ধ্যায় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে তিনি অভিযোগ করেন তার পিতার ক্রয় করা জমি নিয়ে প্রতিপক্ষ বার বার মামলা করে তাকে হয়রানি করছে। আদালতে রায় বার বার আবুল কাসেমের পক্ষে দিলেও প্রতিপক্ষরা আবারও মামলা দিয়ে চলেছে। লিখিত বক্তব্যে আবুল কাসেম জানান, তার পিতা মৃত আক্কাস আলী ১৯৭১ থেকে ১৯৮২ সালের মধ্যে বগা মৌজায় ৩ বারে ১৮নং খতিয়ানের ৪৪৭ নং দাগের ৯১ শতক জমি ক্রয় করেন। বগা গ্রামের মৃত জোবান আলী খার পুত্র নিজাম উদ্দিন, কেসমত আলীর পুত্র আশরাফ আলী, বাসতুল্যর পুত্র চাঁদ আলী গংদের কাছ থেকে ক্রয়কৃত এ জমির দলিল নং-৬২২,৬৫৪ ও ২০৬১। আক্কাস আলীর মৃত্যুর পর তার পুত্র আবুল কাসেম মোড়ল পৈত্রিক সূত্রে ভোগ দখল করে আসছেন। উক্ত জমি বন্ধক রাখার অভিযোগ তুলে ১৯৯৪ সালে প্রতিপক্ষ নিজাম উদ্দিন বাদি হয়ে যশোর সহকারী জজ আদালতে আক্কাস আলীকে বিবাদি করে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং-৬৫/৯৪। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি খারিজ করে দেয়ার পর পুনরায় আপিল করেন। যার মামলা নং ৬৩/৯৫। আপিলেও রায় বিবাদির পক্ষে দেয়া হয়। এরপর ২০০০ সালে হাইকোর্টে এ জমি নিয়ে নিজাম উদ্দিন গং আবার মামলা নং ৩৮৮৬ দায়ের করেন। সেখানেও নিম্ন আদালতের রায় বহাল রেখে মামলাটি খারিজ করেন বিজ্ঞ আদালত। মামলাবাজ নিজাম উদ্দিন ২০০৯ সালে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে যশোর সহকারী জজ আদালতে আবারও মামলা (নং-৯২/০৯) করেন। মামলার বাদির মুত্যুর পর তার ২ ছেলে আবুল কাসেম খা, নুর ইসলাম খা এবং ৪ মেয়ে ওয়ারেশ সূত্রে বাদি হন। এ মামলাটিও বিজ্ঞ আদালত খারিজ করে দেন। উক্ত জমি ১৯৮৯ সালে আক্কাস আলীর নামে জরিপ রেকর্ড ও আরএস গেজেট পরচা হয়। এছাড়া আবুল কাসেম খা ও নুর ইসলাম খা গংরা বিভিন্ন সময়ে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে আবুল কাসেম মোড়লকে হয়রানি করে আসছে। সাংবাদিক সম্মেলনে আবুল কাসেম মোড়ল প্রতিপক্ষের রোসানল থেকে মুক্তি পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এলাকার নিজাম সরদার, আবুল হোসেন, সোবাহান সরদার, আব্দুল মজিদ মোড়ল, হামিদুল ইসলাম ও আব্দুল লতিফ।
×