ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপির বিজ্ঞ ও প্রবীণ নেতাদের নেতৃত্ব বর্জনের আহ্বান হাছান মাহমুদের

প্রকাশিত: ২২:০২, ২২ অক্টোবর ২০১৫

বিএনপির বিজ্ঞ ও প্রবীণ নেতাদের নেতৃত্ব বর্জনের আহ্বান হাছান মাহমুদের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির প্রবীণ ও বিজ্ঞ নেতাদের নেতৃত্ব বর্জনের আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যে নেতৃত্ব আপনাদের পরামর্শ মানে না, যে নেতৃত্ব জঙ্গিদের প্রশ্রয় দেয়, যে নেতৃত্ব জনগনের মেনডেট পেতে চায় না, জনগণের উপর বোমা হামলা করে; সে নেতৃত্বকে বর্জন করুন। বর্তমানে বিএনপির মিশন ভারতের মন জয় এমনটি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ভারতের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে বা বিদেশীদের দুয়ারে ঘুরে কোন লাভ হবে না। জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে, জনগণের দুয়ারে দুয়ারে যান, জনগন ক্ষমা করলেও করতে পারে। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শের আলোকে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে জননেত্রী শেখ হাসিনার অবদান’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাসান মাহমুদ এসব কথা বলেন। ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে ‘আমরা নগরবাসী’ নামের একটি সংগঠন। হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে একদলের সাফল্য অন্য দল স্বীকার করতে চায় না। এ প্রবণতা গণতন্ত্র বিকাশে অন্তরায়। কেউ স্বীকার করুক বা না করুক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কেউ দেখুক বা না দেখুক বিশ্ব কিন্তু অবাক নয়নে তাকিয়ে আছে। যে জনপদ শতবর্ষ ধরে খাদ্য ঘাটতির জনপদ। সে জনপদ আজ শুধু খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়, খাদ্য উদ্বৃত্বের দেশ, খাদ্য রফতানির দেশ। বিশ্ব আজ বলতে শুরু করেছে বাংলাদেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে, বিএনপি ও অন্যান্য দল এমনকি আমাদের শরিক এরশাদ সাহেব তা অস্বীকার করলেও বিশ্ব কিন্তু অবাক নয়নে তাকিয়ে আছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত করা সম্ভব নয় জানার পর রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। বর্তমানেও নানমূখী ষড়যন্ত্র চলছে। বিদেশী হত্যা এর অন্যতম একটি। বেগম জিয়ার দীর্ঘ সময়ে লন্ডনে অবস্থান করা এটাও ষড়যন্ত্রের অংশ। সাদেক হোসেনও লন্ডনে অবস্থান করছে। বর্তমানে তাদের মূল মিশন নাকি ভারতের মন জয় করা। কিন্তু ভারতে দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে বা বিদেশীদের দোয়ারে দোয়ারে ঘুরে কোন লাভ হবে না। বিএনপির কয়েকটি কেলেঙ্কারী কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বিএনপি শুধু রাজনৈতিক দল নয়, বিএনপি এখন পৃথিবীর অন্যতম জালিয়তির রাজনৈতিক দল। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের মাথাপিছু আয় ৩ গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে । বর্তমানে ব্যাংকের রিজার্ভ সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়েছে। খাদ্য উৎপাদন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদুৎ খাতে দেশ অসামান্য সাফল্য দেখিয়েছে। নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ একটি রোল মডেল। সংসদ থেকে শুরু করে সর্বত্র নারীরা এগিয়ে। তিনি বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেন, শত শত মানুষকে পুড়িয়ে সরকারকে ক্ষমতাচুত্যির মিশনে নেমেছিল তারা। এখন নতুন পন্থা হিসাবে বিদেশী নাগরিক হত্যা শুরু করেছে। কারা এই বিদেশী নাগরিক হত্যা করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে ইতোমধ্যে সব তথ্য চলে এসেছে। খুব শীঘ্রই সারা বিশ্বের কাছে সে তথ্য উন্মোচন করা হবে। যুদ্ধপরধীদের বিচার প্রসঙ্গে মোজাম্মেল হক বলেন, সাকা-মুজাহিদের সামনে ফাঁসির দড়ি ঝুলছে। আইনি প্রক্রিয়াই ব্যর্থ হয়ে সাকা পাকিদের স্বাক্ষী করতে চায়। কিন্তু এসব ষড়যন্ত্র সফল হবে না। তিনি বিএনপির উদ্দেশ্যে আরও বলেন, ছেলে পালাতক তাই তাকে না পেরে ছেলের বউকে চেয়ারপার্সন করার চেষ্টা করছে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। কারণ মা ছেলে ট্রাস্টের টাকা চুরি করেছে। এখন তাদের বিচার হচ্ছে। এ জন্য ছেলে পালাতক। এছাড়া ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আসামি ছেলে। এসব কারণে এখন ছেলের বউকে চেয়ারপার্সন করতে চাচ্ছেন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যার ষড়যন্ত্র হয়েছে। এখনো ষড়যন্ত্র চলছে তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়ার। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বানচাল করতে তারা (বিএনপি-জামায়াত) কত কিছুই না করেছে। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে। এখন মা-পুতে (খালেদা-তারেক) লন্ডনে বসে কি ষড়যন্ত্র করছে আল্লাহই ভালো জানে। তিনি আরও বলেন, অতীতে সব ধরণের ষড়যন্ত্র বর্থ্য হয়েছে। এখনও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাবে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেনের সঞ্চালনা ও সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সহ সম্পাদক এম এ করিম, হাসিবুর রহমান মানিক প্রমুখ।
×