ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজ জিততে চাই

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ২৩ অক্টোবর ২০১৫

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজ জিততে চাই

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আগামী মাসেই আবার মুখোমুখি হচ্ছে দুই চিরশত্রু। ট্রান্স-তাসমান প্রতিপক্ষ দুই দল আবার মুখোমুখি হচ্ছে পরস্পরের বিরুদ্ধে তিন টেস্টের সিরিজে। ৫ নবেম্বর ব্রিসবেনে প্রথম টেস্ট। এই সিরিজে বাড়তি এক মাত্রা যোগ হতে চলেছে। ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দিবারাত্রির টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্ট এ্যাডেলেইড ওভালে। আর এমন অবিস্মরণীয় সিরিজেই জিততে চান নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম। স্টিভেন স্মিথের অধীনে আনকোরা নতুন এক অস্ট্রেলিয়া এবার। ক্রিকেটীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরস্পরের চরম প্রতিপক্ষ দু’দল। আর সে কারণে ব্ল্যাক ক্যাপস-ব্যাগি গ্রিনের লড়াইয়ে সব সময়ই আলোচনায় থাকে সেøজিং। প্রতিপক্ষ ক্রিকেটারদের সঙ্গে মাঠে এবং মাঠের বাইরে চলে কথার লড়াই। কিন্তু ম্যাককুলাম চান সেøজিংয়ের চেয়ে বড় হয়ে উঠুক ভাল খেলোয়াড়ী আচরণ এবং ক্রীড়ার জন্য সবার তেজোদীপ্ত মনোভাবটাই বেশি ফুটে উঠুক। ১৯৮৫ সালে সর্বশেষ বার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু এরপর আর সেটা পারেনি তারা। এবার দারুণ সুযোগ দেখছেন ম্যাককুলাম। কারণ অস্ট্রেলিয়া এবার একেবারে নতুন দলে পরিণত হয়েছে। একইসঙ্গে ৫ সিনিয়র ক্রিকেটার ক্রিস রজার্স, ব্র্যাড হ্যাডিন, মাইকেল ক্লার্ক, শেন ওয়াটসন ও রায়ান হ্যারিস অবসর নিয়েছেন। ফলে নতুন করে দলের নেতৃত্ব পেয়েছেন ২৬ বছর বয়সী তরুণ স্মিথ। চিরশত্রু অভিজ্ঞতায় ভরপুর কিউইদের বিরুদ্ধে তাই দারুণ অগ্নিপরীক্ষা ক্যাঙ্গারুদের। যদিও গত ৩০ বছরে অসি ভূমিতে কোন সিরিজ জিততে পারেনি নিউজিল্যান্ড। কিন্তু এবার সুযোগটা এসেছে সাফল্য পাওয়ার। ম্যাককুলামকে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের ‘পোস্টার বয়’ হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছে। তিনি ভাল খেলোয়াড়োচিত আচরণের জন্য বিশ্বে বেশ পরিচিতি পেয়েছেন। এবার অসিদের বিরুদ্ধেও সেøজিং না করে ভাল মনোভাব প্রদর্শন করতে চান তিনি। গত মার্চে বিশ্বকাপ ফাইনালে মেলবোর্নে অসি ক্রিকেটাররা মৌখিকভাবে দারুণ চড়াও হয়েছিলেন কিউইদের ওপরে। অবিরাম সেøজিংয়ের জন্য হ্যাডিন হয়েছিলেন দারুণ সমালোচিত। যদিও পরে এ বিষয়ে হ্যাডিন বলেন, গ্রুপ পর্বে অকল্যান্ডে দু’দলের খেলায় যেভাবে কিউইরা জিতেছিল সে কারণেই এদিন নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি তিনি। এবার সিনিয়র ক্রিকেটাররা কেউ নেই অসি দলে। অবস্থার পরিবর্তন কি ঘটবে? এ বিষয়ে ম্যাককুলাম বলেন, ‘আমরা অবশ্যই এ ধরনের কিছু করে নিজেদের শক্তিক্ষয় করতে চাই না। আর এটা নিয়ে চিন্তিতও নই। অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ এবং কোচ ড্যারেন লেহম্যানের অধীনে আমার মনে হয় বদলে যাওয়া একটা অস্ট্রেলিয়া দলকেই দেখতে পাব। কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার আশা করছি এবং আমি মনে করি উভয় দলই ভাল মনোভাব নিয়ে উজ্জীবিত থেকেই মুখোমুখি হবে। সে কারণে আমাদের অন্য যে কোন কিছুর চেয়ে নিজেদের দক্ষতার দিকেই বেশি মনোযোগ থাকবে।’ ক্রিকেট খেলার সময়ে কিউইরা বেশ উপভোগ করার প্রচেষ্টায় থাকেন। ম্যাককুলামের অধীনে ব্ল্যাক ক্যাপস শিবির দারুণ প্রশংসা কুড়িয়েছে বেশ নৈতিক ও পরিচ্ছন্ন কিন্তু ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলার জন্য। এ বিষয়ে ম্যাককুলাম বলেন, ‘আমরা ক্রিকেট খেলতে যাই এবং সবাই চেষ্টা করি যেন ভাল একটা সময় কাটে। আমরা ক্রিকেট মাঠে নিজ দেশের প্রতিনিধি হিসেবে থাকি এবং সেটাই অন্য যে কোন কিছুর চেয়ে বড় বিষয় হিসেবে আমাদের মনোযোগের কেন্দ্রে থাকে।’
×