ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

পিএসজি-রিয়াল ম্যাচ গোলশূন্য

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ২৩ অক্টোবর ২০১৫

পিএসজি-রিয়াল ম্যাচ গোলশূন্য

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দুই দলের দুই সেরা তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ও জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ বেশ কয়েকটি সহজ সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি কেউই। প্রতিপক্ষের জাল খুঁজে পায়নি প্যারিস সেইন্ট-জার্মেইন ও রিয়াল মাদ্রিদ। যে কারণে বুধবার রাতে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফুটবলে স্প্যানিশ ও ফরাসী পরাশক্তিদের দ্বৈরথ অমীমাংসিত থেকেছে গোলশূন্যভাবে। তবে উপভোগ্য দ্বৈরথ ড্র হলেও ‘এ’ গ্রুপে শীর্ষস্থান ঠিকই ধরে রেখেছে রিয়াল। তিন ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে রাফায়েল বেনিতেজের দল। সমান পয়েন্ট নিয়ে গোলগড়ে দ্বিতীয় স্থানে পিএসজি। তবে জয়ের দেখা না পেলেও ড্রতেই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন রিয়াল কোচ রাফায়েল বেনিতেজ ও পিএসজি কোচ লরেন্ট ব্লাঙ্ক। শাখতার ডোনেস্ককে ১-০ গোলে হারিয়ে এই গ্রুপে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে সুইডিশ ক্লাব মালমো। প্যারিসের পার্ক দ্য প্রিন্সেস স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে ম্যাচ উপভোগ্য হয়ে ওঠে। কিন্তু মিসের মহড়ার কারণে গোলের দেখা পায়নি কোন দলই। গত সপ্তাহেই রাউল গঞ্জালেসকে পেছনে ফেলে রিয়ালের সর্বকালের সেরা গোলদাতার আসনে বসেন সি আর সেভেন। পরশু রাতে নিজের রেকর্ডটিকে আরও সমৃদ্ধ করার মিশনে ব্যর্থ হন বর্তমান ফিফা সেরা তারকা। ম্যাচের দুই অর্ধেই বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিলেন পর্তুগাল অধিনায়ক। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি। অন্যদিকে পিএসজির ইব্রাহিমোভিচকে পুরোটা সময়ই বোতলবন্দী করে রেখেছিলেন রিয়ালের রক্ষণসেনারা। তেমন কিছুই করতে পারেননি সুইডিশ অধিনায়কও। রিয়াল কোচ রাফায়েল বেনিতেজকে ম্যাচে কিছুটা কৌশলী হতে দেখা যায়। দলে চোটের মিছিলের কারণে তিনি এমন করতে বাধ্য হন। গ্যারেথ বেল, করিম বেঞ্জামা ও জেমস রড্রিগুয়েজকে ছাড়াই মাঠে নামা দলকে বেনিতেজ খেলিয়েছেন ৪-৪-২ ফরমেশনে। এই কৌশলে মোটামুটি সফলই বলা চলে তাকে। পুরো ম্যাচেই পিএসজি খুব কমই বিব্রত করতে পেরেছে গোলরক্ষক কেইলর নাভাসকে। ম্যাচের এগারো মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে নেয়া ব্লেইস মাটুইদির শট রুখতে কোনো সমস্যা হয়নি রিয়াল গোলরক্ষকের। প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সময়ে রিয়ালের জেসেও নষ্ট করেন সহজ একটি সুযোগ। রোনাল্ডো দৃশ্যপটে আবির্ভূত হন আরও একটু পর। প্রথমবার তার একটি হেড কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন পিএসজির গোলরক্ষক কেভিন ট্র্যাপ। ফিরতি কর্নারে রোনাল্ডোর হেডটি ছিল বেশ জোরালো। ট্র্যাপ অবশ্য এবারও কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন দলকে। এই অর্ধের একেবারে শেষের দিকে রোনাল্ডোর একটি ফ্রিকিক প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হয়। ম্যাচের ৭২ মিনিটে আরও একটি সুযোগ হাতছাড়া হয় সি আর সেভেনের। পিএসজির সীমানার মধ্যে মার্সেলোর বাড়িয়ে দেয়া বলে দুর্দান্ত এক ভলি নিয়েছিলেন। কিন্তু বল চলে যায় পোস্টের বাইরে দিয়ে। ম্যাচ শেষে রিয়ালের চোট সমস্যার কথাই টেনেছেন কোচ বেনিতেজ। তিনি বলেন, পরিস্থিতি অনুযায়ী রিয়ালের পারফরম্যান্সে একটু ঘাটতি থাকাটাই স্বাভাবিক। ম্যাচে বল দখলের লড়াইয়ে পিএসজির চেয়ে অবশ্য পিছিয়ে ছিল রিয়াল। তবে এটা নিয়ে মোটেই ভাবছেন না বেনিতেজ। দল চাহিদা অনুযায়ী খেলতে পারায় খুশি তিনি। এ প্রসঙ্গে তার ভাষ্য, প্রয়োজনের সময় দল রক্ষণ করেছে এবং বল যখন আমাদের অর্ধ থেকে বেরিয়েছে, তখন আক্রমণ করেছে। আমরা ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছিলাম। জিতে যাওয়ার মতো কিছু সুযোগও সৃষ্টি করেছি। পিএসজি দুর্দান্ত একটা দল। এই দলের বিরুদ্ধে খেলাটা কখনোই সহজ কিছু নয়। অন্যদিকে পিএসজি কোচ লরেন্ট ব্লাঙ্কও ড্র করে সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন। তার মতে, রিয়ালের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে ড্র করাটাও অনেক বড়। আগের ম্যাচে হারের ধাক্কা কাটিয়ে জয়ের ধারায় ফিরেছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। গ্রুপ ‘সি’র ম্যাচে দুর্বল আস্টানাকে পেয়ে এক রকম গোল উৎসবই করে স্প্যানিশ ক্লাবটি। কাজাখস্তানের ক্লাবটির বিরুদ্ধে অ্যাটলেটিকোর জয় ৪-০ গোলে। ঘরের মাঠ ভিসেন্টে ক্যালডেরনে স্বাগতিকদের হয়ে গোল করেন সাউল নিগুয়েজ, জ্যাকসন মার্টিনেজ ও অলিভারটোরেস। অপর গোলটি আসে প্রতিপক্ষ ফুটবলার ডিনাইস ডেডচেকোর আত্মঘাতী গোলের সৌজন্যে। ম্যাচে স্ট্রাইকার ফার্নান্ডো টোরেস দুই গোল করতে পারলে অ্যাটলেটিকোর হয়ে ১০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করতে পারতেন। কিন্তু সেটা পারেননি স্প্যানিশ তারকা।
×