ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

নূরুল করিম নাসিম

রক্ত ও ষড়যন্ত্রের সফল কথাকার

প্রকাশিত: ০৬:১৬, ২৩ অক্টোবর ২০১৫

রক্ত ও ষড়যন্ত্রের সফল কথাকার

ম্যানবুকার বিজয়ী ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের জামাইকার মারলন জেমস এক তরতাজা তরুণ ব্যতিক্রমী লেখক। জন্ম ১৯৭০, রাজধানী শহর জামাইকায়, বাবা পুলিশ অফিসার, মা ডিটেকটিভ পুলিশ, ১৯৭০ সালে তার জন্ম সময়ে সেই দেশটিতে সন্ত্রাস আক্রান্ত, গুপ্তহত্যা চলছে নিরন্তর, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত দেশের রাজনীতিবিদগণ, রক্তপাত আর অস্থির রাজনীতি সত্তর থেকে সেই যে শুরু হয়েছে বেশ কয়েকদশক সামাজিক স্থবিরতা ছিন্নভিন্ন করে ফেলেছে। আর সেই সঙ্গে দেশে অনুপ্রবেশ করেছে আমেরিকান আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ, বাসাভাড়া নিয়ে, তারা থাকছে দ্বীপপুঞ্জে, তরুণদের এবং মেরুদ-হীন রাজনীতিবিদদের ব্যবহার করছে বিভাজনের রাজনীতিতে, যেমনটি করেছিল ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ সাম্রাজবাদী শক্তি ১৯৪৭-এর আগে আমাদের এই উপমহাদেশে। সাহসী ঔপন্যাসিক মারলন জেমস কলম তুলে নিলেন এবং তার ৩টি উপন্যাসে সময়ের আখ্যান অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে লিপিবদ্ধ করলেন। সময়কে তিনি ফাঁকি দেননি, অত্যন্ত আন্তরিকতা ও বিশ্বস্ততার সঙ্গে, অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে লিপিবদ্ধ করেছেন সেই অস্থির সময়ের প্রামাণ্য দলিল। লিখেছেন প্রায় ৬০০ পৃষ্ঠার এপিকধর্মী ধ্রুপদী উপন্যাস ‘আ ব্রীফ হিস্ট্রি অব সেভেন কিলিংস’, আর ইংরেজীতে এই আলোড়ন সৃষ্টিকারী উপন্যাস প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কুড়িয়েছেন একাধিক দেশী ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার, আর পেয়েছেন দেশে ও বিদেশে অপরিসীম পাঠকপ্রিয়তা। কোন পাশ্চাত্য উপন্যাসের প্রভাব নেই, কোন জাদুবাস্তবতা নেই, কোন সুররিয়েলিজম নেই, একেবারে খাঁটি ও নিখাদ জামাইকার রক্তাক্ত বিপর্যস্ত মাটি ও মানুষে জীবন থেকে নেয়া এই অবিষ্মরণীয় আখ্যানের নির্বাচিত অংশ পড়ে আমিও অভিভূত ও মুগ্ধ হয়েছি। ১৯৯১ সালে ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে ভাষা ও সাহিত্যে গ্র্যাজুয়েশন লাভ করেন। এবং ২০০৬ সালে উইকস ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী সম্পন্ন করেন। এখানে লক্ষণীয় ইংরেজী সাহিত্য এবং সৃজনশীল লেখা বা ঈজঊঅঞওঠঊ ডজওঞঞওঘএ-এ তিনি আটঘাট বেঁধে নেমেছেন। সত্তর দশকের জনপ্রিয় গীতিকার ও গায়ক বব মারলিনের ঘটনাবহুল সেলিব্রেটি জীবন এবং তার হত্যাকা-ের প্রেক্ষাপটে লিখেছেন এক বিশাল ৬৮০ পৃষ্ঠার হত্যা, রাজনীতি, রক্তপাত, সন্ত্রাস, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের উপন্যাস, যা একাধারে উপন্যাস শিল্পে একটি নতুন ধারা সৃষ্টি করেছেন, অন্যদিক একটি কালজয়ী ধ্রুপদী ধারার উপন্যাসের বিনির্মাণ করেছেন। এই বিশাল গ্রন্থটির পুরোটা নয়, কিছু অংশ পড়ার সুযোগ হয়েছে এবং আমি অসম্ভব অভিভূত হয়েছি ৪৪ বছরের এক তরুণ লেখকের লেখা শৈলীর মুন্সিয়ানা দেখে। প্রসঙ্গত মনে পড়ছে এবং মিলিয়ে দেখতে ইচ্ছে করছে এবারের নোবেল বিজয়ী রুশ লেখিকা (মূলত: সংবাদকর্মী) সেভেতলানার উপন্যাসের কথা, বিশেষত ‘ডয়েসেস ফ্রম চেরনোবিল’ আখ্যায়িকার কথা। নোবেল আসলে জামাইকান এই প্রবল শক্তিশালী লেখক মারলন জেমসের প্রাপ্য ছিল বলে সাহিত্য সমালোচকরা ধারণা করেন। যাই হোক, আমেরিকান, আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থা বা ঈওঅ কে প্রেক্ষাপটে রেখে একজন সম্ভাব্য নোবেল বিজয়ী আমেরিকান ঔপন্যাসিক লিখেছিলেন একটি আলোড়ন সৃষ্টিকারী উপন্যাস ঞঐঊ টএখণ অগঊজওঈঅঘ. আ’ ব্রিফ হিস্ট্রি অব সেভেন কিলিং বা সাতহত্যার সংক্ষিপ্ত সাতকাহন শিরোনাম হিসেবে খুব সাদামাটা, কোন রহস্য নেই, কোন আড়াল নেই, পাঠককে শুরু থেকেই মানসিকভাবে লেখক প্রস্তুত করে তোলেন ভয় ও শিহরণ জাগানো যে হত্যা নিয়ে তিনি একটি আখ্যান পাঠককে উপহার দেবেন। বল মার্লিনের হত্যাকা- নিয়ে লেখা এই উপন্যাস ইতিহাস, সংবাদ ও তথ্যনির্ভর, কিন্তু এখানে একইসঙ্গে কল্পনাও জড়ো করা হয়েছে। জামাইকা শুরু নয়, ষাট ও সত্তর দশকের সারা বিশ্বের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উন্মাতাল ও এলোমেলো ছিল। সন্ত্রাস, রাজনৈতিক হত্যাকা- ছিল সেই সময়কার নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। একটি সত্যনিষ্ঠ ইতিহাস-আশ্রিত কাহিনী পাঠকপ্রিয়তা করে উপস্থাপন করা এবং মর্মস্পর্শী করা খুব সহজ কাজ নয়। গদ্যের ওপর শুধু অধিকার নয়, ভালো দখল থাকতে হয়। ইতিহাস ও উপন্যাসের আন্তর্নিহিত তফাতটা উপলব্ধি করতে হয়। মারলনের গদ্য ঝকঝকে, স্মার্ট ও প্রাণবন্ত। জন্মগতভাবে জামাইকানরা ইংরেজী ভাষা ও সংস্কৃতির ভেতর বেড়ে ওঠেন, মারলনও তার ব্যতিক্রম নয়। তিনি এর আগে যে তিনটি উপন্যাস লিখেছিলেন তাও ছিল ইতিহাস আশ্রিত। লাতিন আমেরিকান ১৯৮২ সালে নোবেল বিজয়ী কলোম্বিয়ার উপন্যাসিক গ্যাব্রিয়েল মার্কেজ যেমন সংবাদভাষ্য, স্বপ্ন, স্মৃতি ও কিংবদন্তি থেকে উপন্যাস, যেমন অ ঘঙঞঊ ঙঋ ঞঊজজঙজওঝগ, লেখেন, তেমনি মারলন জেমস্ লেখেন অন্য এক ধারার উপন্যাস, ভিন্ন কাহিনী ও পটভূমিতে ঞঐঊ ইঙঙক ঙঋ ঘওএঐঞ ডঙগঊঘ. মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম, মা পুলিশ কর্মকর্তা, বাবা ডিটেকটিভ পুলিশ, মারলনের জন্ম ও বেড়ে ওঠা এমন একটি সময়ে এমন একটি ক্যারিবিয়ান দ্বীপে যেখানে কয়েক দশক ধরে নিরন্তর চলছে সন্ত্রাস, গুপ্তহত্যা, অস্ত্রের রুদ্র ঝংকার আর তার পাশাপাশি ‘র‌্যাগ’ সংগীতের মূর্ছনা যা এক বিস্ময়কর বিপরীতে ভরা। এসব তিনি পর্যবেক্ষণ করেছেন গভীরভাবে, তার প্রথম উপন্যাস ঔঙঐঘ ঈজঙড’ঝ উঊঠওখ, তাকে সমসাময়িক লেখকদের কাছ থেকে ভিন্ন এক প্রেক্ষাপটে স্থাপন করে, তিনি জামাইকান তরুণ লেখকদের মাঝে ব্যতিক্রমী লেখক বলে বিবেচিত হন। প্রায় ২০০ পৃষ্ঠার এই উপন্যাসটি জামাইকার রাজনীতি ও সমাজ ইতিহাসের অন্ধকার দিকগুলোয় আলো ফেলেন, হত্যা, ষড়যন্ত্র ও রক্তপাতের নির্মম আলেখ্য এই উপন্যাসটি পাঠককে খুব সহজে কিন্তু অত্যন্ত সন্তর্পণে প্রভাবিত করে। এই উপন্যাস, একজন সমালোচক মন্তব্য করেছেন, একটা রহস্য ঘনীভূত হতে থাকে, পাঠক কিছুতেই নিশ্চিত হতে পারে না পরবর্তী পৃষ্ঠায় কি ঘটছে, কি মর্মস্পর্শী ঘটনা বেড়ালের মতো ওঁত পেতে আছে। ঞঐঊ ইঙঙক ঙঋ ঘওএঐঞ ডঙগঊঘ, মারলনের দ্বিতীয় উপন্যাস, ক্রীতদাসদের নিয়ে লেখা অনবদ্য এক প্রামাণ্য দলিল, এক অবিশ্বাস্য প্লট, ভাষা কাব্যিক, সংলাপে জামাইকান ‘ডায়লেক্ট’ বা উপভাষা সাবলীলভাবে ব্যবহার করা হয়েছে, যা খুব স্বতঃস্ফূর্তভাবে চরিত্রগুলোর কণ্ঠনিঃসৃত, যা অনেক বেশি জীবন ও বাস্তবতানির্ভর, কিন্তু কোনোভাবেই নোবেল বিজয়ী সেভেতলনার আখ্যানের মতো ‘রিপোর্টাজ’ মনে হয় না। তিনি সংবাদকর্মী নন্, সৃজনশীল সাহিত্য পড়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে, ছাত্রছাত্রীদের উদ্বুদ্ধ করেন গদ্যলেখার দিকে, কিন্তু বাংলাদেশের তরুণ লেখকদের মতোই জামাইকান তরুণ লেখরাও কবিতার প্রতি বেশি অনুরাগী, কবিতার দিকে বেশি ঝুঁকে আছে। তার উপন্যাসের সমস্ত কাহিনী জামাইকা ও ক্যারিবিয়ান দ্বীপের মাটি ও মানুষের জীবন থেকে উঠে এসেছে, কোনো পাশ্চাত্য লেখকের অন্ধ প্রভাবে মজেনি, অনুপ্রাণিতও হয়নি। সত্তর এবং আশি দশকের জামাইকার রাজনীতি তার কাহিনীর প্রেক্ষাপট। আ’ ব্রিফ হিস্ট্রি অব সেভেন কিলিংয়ের কোথাও বব মারলিনের নাম ব্যবহৃত হয়নি, এক সংগীত শিল্পী নামে ৬৮৩ পৃষ্ঠার উপন্যাসটি আন্দোলিত হয়েছে। এ উপন্যাস বিবৃত হয়েছে চার দশকের সস্ত্রাসপীড়িত একটি দেশ, সিআইএ যে দেশটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়, সেই সব নিষ্ঠুর ও ষড়যন্ত্রকারী গোয়েন্দারা বাড়িভাড়া করে দ্বীপের দেশে অবস্থান করে, নাইটক্লাবে যায়, স্থানীয় যুবকদের সহায়তায় তথ্য সংগ্রহ করে, সন্ত্রাসী ও মেরুদ-হীন রাজনীতিবিদদের সহায়তায় দেশের রাজনীতির অন্দরমহলে অনুপ্রবেশ করে, বিভাজনের রাজনীতির মরণ খেলায় মেতে ওঠে, যেমনটি ঘটিয়েছিল ঔপনিবেশিক শক্তি ব্রিটিশরা ১৯৪৭-এর আগে এই উপমহাদেশে, তারপরে এই দেশে, এখনও যার ধারাবাহিকতা অন্য আঙ্গিকে চলছে। আমরা সেসব কথা, আমাদের ঔপন্যাসিকরা সেসব হারিয়ে যাওয়া নির্মম ইতিহাস লেখেনি সাহসের অভাবে, অথচ ক্যারিবিয়ান ও জামাইকান লেখকরা তা প্রবল সাহসিকতার সঙ্গে বিশ্ববাসীর কাছে ইংরেজী ভাষায় (যা তাদের মাতৃভাষাসম) অত্যন্ত আবেগঘন উপস্থাপনায় কাব্যিক ও টানটান গদ্যে তুলে ধরেছেন। মারলনের উপন্যাসে একটি সন্ত্রাসপল্লী একটি ঘেট্টো শহর বার বার ফিরে এসেছে, উপন্যাসের কেন্দ্রবিন্দু হয়েছে, যেমনটি আমরা দেখি। ঝঞজঊঅগ ঙঋ ঈঙঘঝঈওঊঘঈঊ-এর জনক উটইখওঘঊজ গল্পগ্রন্থ এবং অ চঙজঞজঅওঞ ঙঋ অঘ অজঞওঝঞ অঝ অ ণঙটঘএগঅঘ কালজয়ী ধ্রুপদী উপন্যাসের জনক জেমস্ জয়েস, কিংবা কলোম্বিয়ান উপন্যাসিক উপন্যাসিকের আরাকাটাকা শহর অমর হয়ে আছে। বাখতিন ‘আ ব্রিফ হিস্ট্রি’র খুব প্রশংসা করেছেন। মারলনের একটি বড় গুণ ও বৈশিষ্ট্য, যেমনটি তিনি এই উপন্যাসে এনেছেন এবং বাঙময় করে তুলেছেন, দেশজ কাহিনী ও উপাখ্যানের ভেতর আন্তর্জাতিক মাত্রা ঢুকিয়ে দিয়েছেন। কি করে তা সম্ভব হয়েছে? এজন্যই তা পেরেছেন তিনি ইংরেজী সাহিত্যের শিক্ষক হিসেবে তাকে পড়তে হয়েছে প্রচুর ও ব্যাপক, সেই কারণে তার ভাষা দাঢ্য, কাব্যিক, অনুকরণীয়, স্বতঃস্ফূর্ত। তার গদ্য খুব সহজে পাঠককে টেনে নিয়ে যায় এমন এক জগতে যেখানে তিনি প্রেম নয়, বাস্তবতা ও রূঢ়তার পাশাপাশি মানবতার কথা বলেন, নারীর ষড়যন্ত্রের মুখোশ উন্মোচন করেন। পাঠক হিসেবে সত্য ঘটনার বিনির্মাণে আমরা শিউরে উঠি, মনে হয় এটা তো আমাদের ঘটনা, এটা তো আমাদের জীবন, কিন্তু আমরা তা বলতে পারিনি, মারলন তা অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে পেরেছেন। তার আগ্রাসী গদ্য, দেদীপ্যমাণ পর্যবেক্ষণ শক্তি ও মানবিকতার অহংকার। কয়েক দশকের, বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ের সমাজ, সন্ত্রাস ও রাজনীতির সঙ্গে এক কাকতালীয় সাযুজ্য আছে জামাইকার রাজনীতির। মারলনরা লিখেছে প্রবল সাহস নিয়ে, অপরিসীম প্রজ্ঞা নিয়ে, আমরা এখনও ছিঁদকাদুনে প্রেম- হতাশা নিয়ে বাছুর প্রেমের কাহিনী লিখে যাচ্ছি, সেসব উপন্যাস জনপ্রিয় হচ্ছে। কিন্তু সমাজ-বাস্তবতার কাহিনী হাতে গোনা দু’একজন ছাড়া আর কেউ সাহস করে লেখেনি। ইংরেজীতে লেখা এই ৪টি উপন্যাস বই বিপণিতে পাওয়া যাচ্ছে। বিদগ্ধ প্রকাশকরা এগিয়ে এলে, দুভাষায় প্রাজ্ঞ লেখকরা অনুবাদে উৎসাহ দেখালে ইংরেজী না-জানা বাংলাদেশের পাঠকদের প্রভূত উপকার হবে। আমরা সেই সুদিনের অপেক্ষা করব। আমরা যতই সুদিনের অপেক্ষায় থাকি না কেন জামাইকাবাসী মানুষেরা আজও, এখনও, সুদিনের মুখ দেখতে পাননি। তারাও অপেক্ষায় আছেন। কবে থামবে, কবে নিশ্চিহ্ন হবে এই সন্ত্রাস ও গুপ্তহত্যা, এই রাজনৈতিক অস্থিরতা, ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের কেউ বলতে পারে না। তবে কে বলতে পারবে? একুশ শতকের এই ডিপ্লম্যাটিক বিশ্বে, যখন ডিপ্লম্যাসি আমাদের ঈশ্বর, তখন এই আন্তর্জাতিক রাজনীতির পরাশক্তির হাতে এই ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের এই যুদ্ধক্লান্ত জামাইকার ভবিষ্যৎ অনেকাংশে নির্ভর করে, আমরা শুধু অসহায় দর্শক, যাদের কোনো ভূমিকা নেই। ১৯৬৯ সালে সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী এ্যাবমার্ড নাট্যকার স্যামুয়েল বেকেট তার ওয়েটিং ফর গডো’ নাটকের এক জায়গায় একটি চরিত্রের মুখে বলেছেন : চঊজঐঅচঝ এঙ ডওখখ ঈঙগঊ, ডঊঅজঊ ডঅওঞওঘএ সুদিন জামাইকাতেও আসবে, সেই অপেক্ষায় আছে তার দেশবাসী।
×