জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ ভারতের সাহিত্য আকাদেমি লেখকদের প্রতিবাদী কর্মকা-কে সমর্থন জানিয়ে ফিরিয়ে দেয়া পুরস্কারগুলো পুনরায় গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। এম এম কুলবার্গির মতো ক’জন যুক্তিবাদী লেখক হত্যার পর নীরব থাকায় সমালোচনার মুখে পড়েছিল সংগঠনটি। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ও এনডিটিভি অনলাইনের।
শুক্রবার সাহিত্য আকাদেমি এক জরুরী বৈঠকে বসেছিল। বৈঠক শেষে আকাদেমি প্রধান বিশ্বনাথ প্রসাদ তিওয়ারি বলেন, ‘ প্রফেসর কুলবার্গিসহ অন্যান্য বুদ্ধিজীবী ও চিন্তকের হত্যাকা-ে নির্বাহী বোর্ড গভীরভাবে মর্মাহত। ভারতের যে কোন ভাষায়, মত প্রকাশের অধিকার যে লেখকদের রয়েছে, আকাদেমি দৃঢ়ভাবে সেটি সমর্থন করে। এছাড়া লেখকদের বিরুদ্ধে যে কোন আক্রমণ বা হিংসাত্মক কর্মকা-কে আকাদেমি কঠোর ভাষায় নিন্দা জানায়।’ এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রেখে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানায়। আকাদেমি একই সঙ্গে ‘ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণুতার’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে ফিরিয়ে দেয়া পদকগুলো গ্রহণ করার জন্য লেখকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
শুক্রবারের ওই বৈঠকে ২৪ জন নির্বাহী কাউন্সিল সদস্যের মধ্যে ২০ জন উপস্থিত ছিলেন বলে হুইরেম বিহারি সিং নামে নির্বাহী কমিটি বোর্ডের একজন সদস্য জানিয়েছেন। মত প্রকাশের যে স্বাধীনতা সংবিধান নিশ্চিত করেছে তার প্রতি একাত্ম হয়ে লেখকদের স্বাধীনতার দাবিতে সোচ্চার না হওয়ায় আকাদেমির সকল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন কে সাতচিদানন্দন। তিনি অবশ্য শুক্রবারের বৈঠকে অংশ নেননি। আগামী ১৭ ডিসেম্বর আকাদেমির পরবর্তী বোর্ডে মিটিং অনুষ্ঠিত হবে। লেখকদের পদক ফেরত দেয়া না দেয়া নিয়ে সেই বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হবে। এদিকে, অসহিষ্ণুতা মাত্রাছাড়াভাবে বাড়তে থাকার প্রতিবাদ জানিয়ে শুক্রবার সকালে নয়াদিল্লীতে লেখকদের একটি বড় গ্রুপ সংহতি মিছিল করেছে।