ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ভারত-দ. আফ্রিকা সিরিজ নির্ধারণী শেষ ওয়ানডে রবিবার

কোহলিকেই সেরা বলছেন ধোনি

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ২৪ অক্টোবর ২০১৫

কোহলিকেই সেরা বলছেন ধোনি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ভিরাট কোহলিকে বলা হয় ভারতের ‘আগামীর শচীন টেন্ডুলকর’। ব্যাট হাতে ২৬ বছর বয়সী দিল্লি হিরোর পারফর্মেন্সই তাকে এ আসনে বসিয়েছে। তার কাছ থেকে ভারতীয়দের চাওয়াটা তাই অনেক বেশি। বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ থেকে রাজকোটের তৃতীয় ওয়ানডেÑ তের ইনিংসে একটি মাত্র হাফ সেঞ্চুরি। সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছিলেন। সেই তিনি জেগে উঠলেন মোক্ষম সময়ে, যখন সিরিজ বাঁচিয়ে রাখতে চেন্নাইয়ে জয় চাই স্বাগতিকদের। খেললেন ১৩৮ রানের স্বভাবসুলভ ইনিংস। চতুর্থ ওয়ানডেতে প্রোটিয়াদের ৩৫ রানে হারিয়ে সিরিজে ২-২এ সমতায় ভারত। ম্যাচের নায়ককে নিয়ে তাই উচ্ছ্বসিত অধিনায়ক, মহেন্দ্র সিং ধোনি বললেন, পরিস্থিতি বুঝে ব্যাটিংয়ের বিচারে কোহলিই সেরা ব্যাটসম্যান। ‘ভিরাট এমন এক ব্যাটসম্যান যে শুরু থেকে নিজের স্টাইলটা প্রয়োগ করতে সক্ষম। কেবল আজ নয়, আগেও ওর ব্যাটিং নিয়ে কথা বলেছি। ও প্রতিনিয়ত উন্নতি করতে চায়। চায় নিজেকে ছাড়িয়ে যেতে। ব্যক্তিগত ৫০-৬০ রান হয়ে গেলে সেটিকে ১০০তে রূপ দিতে চায়। অথচ অনেক ব্যাটসম্যান এখানেই আউট হয়ে যায়। পরিস্থিতি যাই হোক, কোহলি কখনো ভয় পায় না। স্বাভাবিক খেলা খেলে সেঞ্চুরি তুলে নেয় এবং সেঞ্চুরি পূরণের পরও সে নিজের মতো করে খেলতে পারে। এটাই ওকে অন্যদের চেয়ে আলাদা করে রাখে। চাপ জয় করে নিজের স্টাইলে ব্যাটিং করার ক্ষেত্রে কোহলিই বিশ্বসেরা।’ চিপকে ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে জয়ের পর বলেন ধোনি। ২-১এ পিছিয়ে থাকার পর সিরিজ বাঁচিয়ে রাখতে এই ম্যাচটা জিততেই হতো ভারতকে। ধোনির দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া ম্যাচে চাপে ছিলেন ফর্ম নিয়ে ঝুঝতে থাকা কোহলি নিজেও। জ্বলে উঠলেন। ১৪০ বলে ৬ চার আর ৫ ছক্কায় খেলেন ১৩৮ রানের দুরন্ত ইনিংস। ৮ উইকেটে ভারত পায় ২৯৯ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি। পরবর্তীতে বোলারদের নৈপুণ্যে আয়েশী জয়। এর মধ্য দিয়ে সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলিকে টপকে ভারতের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩ সেঞ্চুরির মালিক বনে যান ‘ক্রেজি কোহলি’। ৪৯ সেঞ্চুরি নিয়ে সামনে কেবল গ্রেট শচীন টেন্ডুলকর। শচীন ওই সেঞ্চুরি পেয়েছেন ৪৬৩ ওয়ানডেতে, কোহলি অর্ধেকে পৌঁছে গেলেন অর্ধেকেরও কম ম্যাচে (১৬৫)। প্রায় দুই ডজন সেঞ্চুরি হাঁকলেও এটিকে বিশেষ ‘কিছু’ বললেন কোহলি। ‘এটা আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ইনিংস। প্রোটিয়াদের বোলিং আক্রমণ দেখুন, চ্যালেঞ্জটা ছিল অনেক বেশি। সিরিজ জুড়েই প্রতিপক্ষ ভাল বল করে আসছে। চিপকের পিচে রান করা মোটেই সহজ ছিল না। চাপের মুখে দলকে জেতানোর তৃপ্তি অন্যরকম।’ ঘরের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে কখনোই ওয়ানডে সিরিজ হারেনি ভারত। এবার শুরু থেকেই সেই প্রোটিয়াদের সামনে কঠিন পরীক্ষায় ধোনি-বাহিনী। প্রথমে টানা দুই হারে টি২০ সিরিজ খোয়ানো। এরপর ওয়ানডেতে পিছিয়ে পড়ে সমতা। সব মিলিয়ে জমে উঠেছে লড়াই। একেবারে সেয়ানে-সেয়ানে। কানপুরের প্রথম ম্যাচে সফরকারীদের ৩০৩ রান টপকাতে গিয়ে ২৯৮Ñএ থাকা ভারত হারে মাত্র ৫ রানে। অধিনায়ক ধোনির একক নৈপুণ্যে (৯২* ও চার ডিসমিসাল) ইন্দোরের দ্বিতীয় ম্যাচে ২২ রানের জয়। রাজকোটের তৃতীয় ওয়ানডেতে ২৭০ রানের জবাবে ২৫২Ñএ থেমে হার ১৮ রানে। মুম্বাইয়ে সিরিজ ফয়সালার শেষ ওয়ানডে রবিবার।
×