ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

জরিমানার অর্থ আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে বিতরণের পরামর্শ

প্রকাশিত: ০০:৩১, ২৫ অক্টোবর ২০১৫

জরিমানার অর্থ আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে বিতরণের পরামর্শ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পুঁজিবাজার কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত মামলায় জরিমানার অর্থ আত্মহত্যাকারী বিনিয়োগকারীদের পরিবারের সদস্যদের মাঝে বিতরণের পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। ররিবার চিটাগং সিমেন্টের শেয়ার কেলেঙ্কারি মামলা চলাকালে ট্রাইব্যুনালের বিচারক হুমায়ন কবীর ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের মধ্যে জরিমানার অর্থ বিতরণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ পরামর্শ দেন। এ সময় খুরশীদ আলম ট্রাইব্যুনালকে বলেন, পুঁজিবাজার ধসে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা তাদের পুঁজি হারিয়ে নি:স্ব হয়ে গেছেন। তাদের পারিবারিক জীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে। তবে এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের পরিবার যারা পুঁজি হারিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এ জন্য যারা পুঁজিবাজারে পুঁজি হারিয়ে আত্মহত্যা করেছে তাদের পরিবারের মধ্যে জরিমানার অর্থ বিতরণ করা উচিত বলে মত প্রকাশ করেন খুরশীদ আলম। তবে ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করেন নি। ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে ধসে পুঁজি হারিয়ে ২০১১ সালের ৩০ জানুয়ারি ঢাকায় আত্মহত্যা করেন লিয়াকত আলী (যুবরাজ), গত ২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে দিলদার হোসেন নামে এক বিনিয়োগকারী আত্মহত্যা করেন বলে তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। এছাড়া ২০১২ সালের ২২ ডিসেম্বর লগ্নিকৃত অর্থ হারিয়ে ঋণগ্রস্থ হওয়ায় মাজহারুল হক (৩৫) নামে এবি ব্যাংকের এক কর্মকর্তা ভৈরব পৌর এলাকার রানী বাজারে নিজ বাসায় দড়িতে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে জানা গেছে। ২৯ মার্চ সামসুল হক সরদার শাহিন নামের এক বড় বিনিয়োগকারী সিলেটে আত্মহত্যা করেন বলে দাবী করা হয়েছে। পুঁজি হারানোর যন্ত্রণা সইতে না পেরে রাজধানীর শান্তি নগরে শাহাদাৎ হোসেন, বরিশালে মাসুক উর রহমান সুমন ও র‌্যাপিড সিকিউরিটিজ হাউজে শেয়ার বিনিয়োগকারী মফিজুল ইসলাম হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বলে তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। এদিকে রবিবার চিটাগং সিমেন্ট শেয়ার কেলেংকারি মামলায় রবিবার আসামী আবু তৈয়বের পক্ষে ট্রাইব্যুনালে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। তিনি এ সময় বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যখন ক্ষমতায় আসে, তখনই পুঁজিবাজারে ধস নামে। আওয়ামীলীগ সরকার যখন ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসে তখন পুঁজিবাজারে ধস নেমেছিল। আবার ২০১০ সালেও যখন ক্ষমতায় তখন আবার ধস নামে। বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের পরে বিএসইসি কোন মামলা দায়ের না করায় রবিবার আদালত চলাকালে বিচারক হূমায়ুন কবীর ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আর এ ঘটনাকে দূর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেন বিএসইসির আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
×