ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

জাফর ওয়াজেদ

হিংসায় উন্মত্ত জ্ঞাতিশত্রু

প্রকাশিত: ০৪:১১, ২৬ অক্টোবর ২০১৫

হিংসায় উন্মত্ত জ্ঞাতিশত্রু

বিশ্বে যেসব দেশ এখনও নিরাপদ রয়েছে তাতে বাংলাদেশকে বিশেষভাবে গণ্য করা হয়। প্রতিবেশী ভারত, পাকিস্তানের চেয়েও অধিকতর নিরাপদ এই দেশটিকে অস্থিতিশীল এবং অকার্যকর অবস্থানে নেয়ার জন্য একটা তোড়জোড় যে দেশে-বিদেশে চলছে, তা কার্যত পরিস্কার হয়ে উঠছে গণমাধ্যমে। বাংলাদেশে যে জঙ্গী হামলার হুমকি রয়েছে তা চিহ্নিত কয়েকটি গণমাধ্যম দু’সপ্তাহ আগেও ফলাও করে প্রচার করেছে। বিবিসি তাদের ভাষ্যে বলেছে, এ ধরনের হামলা কিভাবে ভীতির বিস্তার ঘটাতে পারে এবং সাধারণ জনগণের জীবনে কেমন প্রভাব ফেলতে পারে তা সম্প্রতি দুই বিদেশী নাগরিকের হত্যার মাধ্যমে দেখানো হয়েছে। এটা পরিষ্কার নয়, দেশের মানুষের কাছে এটা বোঝা হয়ে গেছে যে, বাংলাদেশে জঙ্গী ও সন্ত্রাসবাদের নির্মূল ও নিধনের নামে সহযোগিতার হাত বাড়াতে চায় যারা তারাই জঙ্গী ও সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা চালাতে মদদ দেয়। সর্বশেষ গত দুই দশকে তাদের কর্মকা- এটা প্রমাণ করে যে, জঙ্গী তৈরির কাজটি যারা করেছে, তাদেরই আবার জঙ্গী নিধনে অনুরূপ সর্বশ্রম দিতে হচ্ছে। নিকটকালে তো দেখা গেছে, এরা একদিকে আইএস জঙ্গীদের অস্ত্র সরবরাহ করছে আবার একই সঙ্গে তাদের নিধনের পদক্ষেপও নিচ্ছে। মূলত এদের এই দ্বৈতনীতির চাপে পড়ে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশ আজ বিপর্যস্ত। সিরিয়া, ইরাক, লিবিয়ার মতো সম্পদসমৃদ্ধ দেশের মানুষ এমনকি আফগানিস্তানের মানুষও শরণার্থী হয়ে আজ দেশে দেশে ঘুরছে। স্থিতিশীল বাংলাদেশে তারা জঙ্গীবাদের প্রসার ঘটাতে পারে কৌশলগত কারণে। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানে যে জঙ্গীবাদের বিস্তার ঘটিয়েছে, তার চরম মাসুল বিশ্ববাসীকে দিতে হচ্ছে। অভিজ্ঞ মহল শঙ্কা প্রকাশ করে বলছেন, দ্বৈতনীতি গ্রহণ করা ঐ চক্রটি বাংলাদেশে তাদের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে গত শুক্রবার গভীর রাতে হোসেনি দালানে বোমা বিস্ফোরণ। ঢাকা নগরীর সাড়ে ৪শ’ বছরের ইতিহাসে শিয়া ধর্মাবলম্বীদের এই প্রথম আক্রমণÑ এর মাধ্যমে চক্রটি তাদের শক্তিশালী অবস্থানের জানান দিল। হোসেনি দালানের এই বোমা হামলাকে চক্রটি ভিন্নভাবে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে বিশ্ব গণমাধ্যমে তুলে ধরলেও ঘটনাটিকে সামান্য হিসেবে দেখছে না সরকার। বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল এবং দেশে জঙ্গীর অবস্থান রয়েছে বলে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্যই তারা ধর্মীয় উৎসবে বোমা হামলা চালিয়েছে। এর একদিন আগে দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণভাবে বিজয়া দশমী সম্পন্ন হলেও পূজাকে কেন্দ্র করে কোথাও সশস্ত্র হামলা চালানো হয়নি। যদিও কয়েকটি স্থানে রাতের অন্ধকারে প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এই হামলাকারীদের নেপথ্যে থাকা গড ফাদার-মাদাররা হয়ত হিসেব করে নিয়েছিলেন পূজা ম-পে হামলার ঘটনা ভারত ছাড়া বিশ্বের আর কোন দেশের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে না। কিন্তু আশুরার হামলার ঘটনা বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ যেমন করবে, তেমনি বাংলাদেশে পাকিস্তান ও মধ্যপ্রাচ্যের কতিপয় দেশের মতো শিয়া-সুন্নী দাঙ্গা হাঙ্গামা বাঁধানোর পথ প্রশস্ত করা যাবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিয়া সম্প্রদায় বাংলাদেশের প্রতি ক্ষুব্ধ হবে। লন্ডনে বসে যারা দেশে একের পর এক নাশকতা চালিয়ে যাচ্ছেন অদৃশ্য রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে তারা তাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্যে কামিয়াব হয়েছেন আপাতত এমনটা মনে হতেই পারে। কিন্তু এতে করে সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ এ দেশে কোন সম্প্রদায়ই পরস্পরের প্রতি বিদ্বেষভাবাপূর্ণ নয়। তবে নানা প্রকার উস্কানিমূলক তৎপরতা হয়ত চালাতে পারবে, তবে তা ব্যাপ্তি পাবে না। বাংলাদেশকে বিশ্ববাসীর কাছে হেয় করার জন্য দেশে-বিদেশে একযোগে যেসব অপতৎপরতা চালানো হচ্ছে তা অব্যাহত রাখা হবে নিশ্চয়। বাংলাদেশে সভা-সমাবেশে যে হামলা হতে পারে তা দিন কয়েক আগে যুক্তরাষ্ট্র উল্লেখ করেছে। তারা তাদের নাগরিকদের সতর্কভাবে চলাচলের নির্দেশ দিয়ে এটাও বলেছে, তারা যেন কোন ধর্মীয় উৎসবে অংশ না নেয়। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, হোসনি দালানের হামলা কোন জঙ্গী কাজ নয়। এই হামলা পুরোপুরি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে। যে উদ্দেশ্যে গত জানুয়ারি-মার্চে জীবন্ত মানুষ হত্যায় পেট্রোলবোমা ব্যবহার করেছে, সেই একই উদ্দেশ্যে এখনও বহাল তবে প্রক্রিয়াটা ভিন্ন। এদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে, সন্ত্রাসী ও নাশকতামূলক কর্মকা- চালিয়ে যেনতেনভাবে সরকার পরিবর্তন ও যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা এবং শেষে নিজেদের ক্ষমতা দখল। ১৯৭৫-এর ৭ নবেম্বর হত্যা, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করার মতো এখনও তারা সেভাবে ক্ষমতা দখল করতে চায় যা তাদের কর্মকা- পরিষ্কার করে। স্বাভাবিক রাজনীতির পথ থেকে সরে গিয়ে সন্ত্রাসী পন্থা অবলম্বনের দিকে ধাবমান হওয়ার পর আর ফেরার সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশের প্রবহমান সুনাম তাদের কাছে গুরুত্ব বহন করে না। আর তাই তারা দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করার জন্য সশস্ত্র পন্থা যেমন অবলম্বন করেছে তেমনি বিদেশী গণমাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়া স্বনামে নিবন্ধ লিখে বাংলাদেশকে বাণিজ্য সুবিধা প্রদান বন্ধ করার কথাও বলেছেন। একই সঙ্গে তার অনুসারী বুদ্ধিজীবীকুলও ই-মেইল লিখে প্রভু রাষ্ট্রকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বলেছে। পদ্মা সেতু প্রকল্প আটকে দেয়া হয়েছে। ক’দিন আগেও বিএনপির এক নেতা বেশ দম্ভ করে বলেছেন, দেশে অচিরেই ঝড় বইবে। আবহাওয়ার খবর দিয়েছেন বলে প্রথমে মনে হতে পারে কিন্তু এই ঝড় প্রাকৃতিক নয়, মানবসৃষ্ট দানবিক ঝড়। আর সেই ঝড়ের শুরুটা হয়েছে হোসনি দালানে সশস্ত্র বিস্ফোরণ ঘটিয়ে। সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে হানাহানি এদেশের মানুষ কখনোই পছন্দ করেনি, মেনেও নেয়নি। অতীতে যা ঘটেছে তার সবটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আজ দেশে যা ঘটছে বা ঘটানোর মহড়া চলছে তাতে জনজীবনে একটা ভয়ের সংস্কৃতি চালু করতে চায়। কিন্তু সেটা খুব সহজ নয়। হোসনি দালানের ঘটনার পর থেমে থাকেনি তাজিয়া মিছিল, ভীত হয়ে কেউ পালায়নি। এই কাপুরুষোচিত নৃশংস হত্যাকা- মানুষের জন্য মর্মপীড়াদায়ক অবশ্য। কিন্তু তাতে ভীত হয়ে মানুষ ঘরে ফিরে যাবে, জনজীবন হয়ে পড়বে ভঙ্গুরÑ এমনটা হামলাকারীদের নেত্রী ভাবতেই পারেন। কিন্তু সমাজ বাস্তবতা ভিন্ন। আঘাত এলে জনগণ সংঘবদ্ধ হয়ে ওঠে এই বাংলাদেশে। ১৯৭১ সালে তাদের এই চেতনার স্ফুরণ ঘটেছিল। এই উপমহাদেশের সবচাইতে দুরারোগ্য ব্যাধি হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতা, যা মাঝে মধ্যেই চাড়া দিয়ে ওঠে। এরা অত্যন্ত উগ্রভাবে ধর্মান্ধ এবং সাম্প্রদায়িক ভাবাপন্ন। এদের ফান্ডামেন্টালস বা মৌলবাদী বলা হয় যদিও, কিন্তু আসলে এরা মান্ধাতাবাদী। ধর্ম সম্বন্ধে এদের জ্ঞান অতি ভাসা ভাসা। কোন ধর্মেরই ফান্ডামেন্টালস বা মূল কথা বোঝার মতো জ্ঞান বা বোধবুদ্ধি এদের নেই। আসলে এরা এ যুগের মানুষ নয়, মান্ধাতার যুগের মানুষ। চিন্তা চেতনায় তাই মধ্যযুগীয় বর্বর ধারণা লালন করে। এদের মধ্যে কখনো শুভ বুদ্ধির উদয় হয় না, হবার সম্ভাবনাও ক্ষীণ। উপমহাদেশে ধর্মীয় বিরোধ দেশকে ভেঙে চুরমার করেছে। দেখা গেছে, দেশ ও সমাজের চেয়ে ধর্ম ও সম্প্রদায়কে বড় করে দেখা হয়েছে। ধর্মীয় মতবাদের নামে উগ্রতা প্রায়শ মাথাচাড়া দেয় আজও। ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ আছে, উপমহাদেশে ধর্ম নিয়ে যত অশান্তি সৃষ্টি করা হয়েছে, রাজনীতি তাকে বেশ আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছে। তাই দাঙ্গা হামলা কম ঘটেনি। এখনও তা ঘটে। বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে যাচ্ছে যখন তখন তা অনেকের জন্য গাত্রদাহের কারণ। দারিদ্র্য আর গরিবী বিক্রি করে দাতাদের কাছে অর্থ সাহায্য নিতে অভ্যস্ত ও আগ্রহীরা এটা কোনভাবেই মেনে নিতে পারে না। ওরা চায় দেশ দারিদ্র্যের মধ্যে থাকুকÑ তাতে তাদের আখের গোছানোর কাজটা ভাল হয়। বঙ্গদেশের মানুষ দুর্ভিক্ষ আর মহামারী নিয়ে বহুকাল ধরে ঘর-সংসার করে আসছিল। মঙ্গা ছিল নিত্যসঙ্গী-দেশের অর্ধেক মানুষ আধপেটা খেয়ে থেকেছে, বেশ কিছুসংখ্যকের তাও জোটেনি। অনাহারে মরেছে। অন্নাভাবে অখাদ্য কুখাদ্য খেয়ে বহু লোক স্বভাবতই ছিল পেট রোগা। তার ওপর বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাবে গ্রামাঞ্চলে দেখা দিত কলেরা মড়কের আকারে। বহু লোকের প্রাণবায়ু নির্গত হয়ে যেত। সে বিপদ কেটে গেছে পানীয় জলের সুব্যবস্থার কারণে। অবশ্য লোকক্ষয়কারী সবচাইতে বড় শত্রু ছিল ম্যালেরিয়া। সারা দেশে তার দৌরাত্ম্য শত সহস্র লোকের প্রাণ নিয়েছে প্রতিবছর। শত শত গ্রাম উজাড় করে দিয়েছে। ম্যালেরিয়াকে বাগ মানানো গেছে। তবে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। অবশ্য এর সুচিকিৎসাও রয়েছে। অপর এক দুরন্ত ব্যাধি বসন্ত একেবারে নির্মূল হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকারের কৃতিত্ব রয়েছে এসব ক্ষেত্রে। মাতৃমৃত্যু ও শিশু মৃত্যুর হার অনেক হ্রাস পেয়েছে। বিশ্ব তা দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করে আসছে। দুর্ভিক্ষ মহামারী ছাড়াও আরেকটি বিপর্যয়ও প্রতিবর্ষায় নিয়মমাফিক দেখা দিত। এখনও দিচ্ছে। সে হচ্ছে, বন্যা এলো দেশে। ধারাবর্ষণে নদীর পানি স্ফীত হয়ে প্রবল বেগে ছড়িয়ে পড়ে বাড়ি-ঘর, গরু-বাছুর, মানুষজন, শস্য সব ভাসিয়ে নিয়ে যায়। দেশের অধিকাংশ মানুষই ছিল নিরক্ষর। তাদের সাক্ষরতার আওতায় এনে জীবনধারা পাল্টে দেয়া হয়েছে। শিক্ষার বিস্তার ও প্রসার ঘটেছে একদার অজপাড়াগাঁয়েও। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নিরলস প্রচেষ্টায় দরিদ্র বাংলাদেশের চেহারাটা বদলে গেছে। চার বছরের মাথায় বাংলাদেশ ডিজিটাল দেশে পরিণত হওয়া মানে জনজীবনে ব্যাপক উন্নয়নের ধারা প্রবাহিত। বাঙালীর উন্নত জাতিতে রূপান্তরিত হওয়া, বিশ্ব মানবের কাতারে নিজেদের সমাসীন করার লক্ষ্যে এগিয়ে চলা, এটা কোনভাবেই মেনে নিতে পারে না, স্বাধীনতা যুদ্ধের পরাজিত শক্তি ও তাদের সহযোগীরা। তারা গত চার দশকের বেশির ভাগ সময় ধরে বাংলাদেশকে মধ্যযুগীয় অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার জন্য অর্থ, অস্ত্রসহ নানা পন্থায় কাজ চালিয়ে গেছে। তারা ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পারেনি এ দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে। কামারুজ্জামান, কাদের মোল্লার ফাঁসি হবে। সাহসের সঙ্গে জনগণের রায় নিয়ে শেখ হাসিনা সেই বিচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। আর এখানেই তাদের ক্ষোভ তীব্র। আর তা বলেই তারা সন্ত্রাসবাদকে ঢাল হিসেবে সামনে নিয়ে এসেছে। দুই শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর শাস্তিদানকে বিঘœ ঘটানোর জন্য যত হামলাই চালানো হোক, বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের সুনামহানি ঘটানোর অপতৎপরতা চালানো হোক একটা পর্যায়ে এসে তা মাঠে মারা যাবে। যুদ্ধাপরাধীদের শিরোমনি আল-বদর নেতা আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসির দ-াদেশ আপীল বিভাগ বহাল রাখার প্রতিবাদে জামায়াত ২৪ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছিল বিএনপির সমর্থনে। আর এবার তো বিএনপি-জামায়াত দুই দলের দুই নেতা। যাদের অর্থ, অস্ত্র, আন্তর্জাতিক সংযোগ, ক্যাডার বাহিনী রয়েছে। তারা যে নিশ্চুপ বসে নেই, সক্রিয়, তা নিজেরা বা ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের দিয়ে প্রমাণ দিতে চায়। কিন্তু এদের পক্ষে জনগণ নেই। তাই তাদের কোন মিশনই সফল হবে না। বাংলাদেশ নিরাপদ দেশ হয়েই জেগে থাকবে বিশ্ব মানচিত্রে। কিছুই তাকে বিনষ্ট করতে পারবে না। হোসেনি দালানের বোমা হামলার ঘটনার পর পরই তড়িঘড়ি করে নিন্দা জানিয়ে বিএনপির প্রেস ব্রিফিং ও বার্নিকাটের টুইটারে দেয়া বক্তব্য কাকতালীয়ভাবে মিলে গেলেও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নিয়েছেন। তারা বলছেন একটি দেশের রাষ্ট্রদূতের দৈনন্দিন কর্মসূচীর মধ্যে কি সে দেশের স্পর্শকাতর কোন বিষয় নিয়ে মন্তব্য করা যায়? বার্নিকাটের টুইটারে দেয়া মন্তব্যের বিষয়টি রাজনীতি মহলে একই মিশ্র প্রতিক্রিয়া ও নানামুখী প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
×