ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দক্ষিণ আফ্রিকার ঐতিহাসিক সিরিজ জয়

প্রকাশিত: ০৭:৫৮, ২৬ অক্টোবর ২০১৫

দক্ষিণ আফ্রিকার ঐতিহাসিক সিরিজ জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ টি২০ সিরিজের পর ওয়ানডে সিরিজেও বেইজ্জতি হতে হলো স্বাগতিক ভারতকে। সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল হেরেছে ৩-২ ব্যবধানে। রবিবার রাতে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে সিরিজনির্ধারণী পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকা ২১৪ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারতকে। টস জয়ী দক্ষিণ আফ্রিকা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৩৮ রানের রেকর্ড পুঁজি গড়ে। এটি ভারতের মাটিতে প্রোটিয়াদের দলীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। শুধু তাই নয়, ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসেই এটি চতুর্থ সর্বোচ্চ দলীয় ইনিংস। দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেরা দলীয় ইনিংসও প্রোটিয়াদের। ওয়ানডেতে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড শ্রীলঙ্কার। ২০০৬ সালের ৪ জুলাই হল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৯ উইকেটে ৪৪৩ রানের পাহাড় গড়েছিল লঙ্কানরা। জয়ের জন্য ৪৩৯ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৪ ওভার বাকি থাকতে ৩৬ ওভারে ভারত অলআউট হয় ২২৪ রানে। এই জয়ে ইতিহাস গড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই প্রথম তারা ভারতের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের কৃতিত্ব দেখাল। আর ভারত প্রথমবারের মতো দেশের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ হারল। মুম্বাইয়েল ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম ব্যাট করতে নেমে ‘থ্রি ডি’Ñএবি ডি ভিলয়ার্স, কুইন্টন ডি’কক, ফ্যাফ ডুপ্লেসিসদের ব্যাটে রানের বন্যা বইয়ে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। এই তিন তারকার অনবদ্য তিন সেঞ্চুরির সুবাদে সিরিজ নির্ধারণী পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডেতে নিজেদের রেকর্ডে নিজেরাই ভাগ বসিয়েছে প্রোটিয়ারা। প্রথমে ব্যাটিং করতে আসা দক্ষিণ আফ্রিকা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকটে করে ৪৩৮ রান। ওয়াংখেড়ে এটাই দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। সেঞ্চুরি-রান, চার-ছক্কার নেশা যেন পেয়ে বসেছিল ডি’কক-ডি ভিলিয়ার্সদের। ভারতীয় বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলাই করেন অতিথি সব উইলোবাজ। প্রথমে ডি’কক, এরপর ডুপ্লেসিস, সবশেষে অধিনায়ক ডি ভিলিয়ার্স। ওয়াংখেড়ে তিন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানই হাঁকিয়েছেন সেঞ্চুরি। এটি ইতিহাসের ৩৭০০ নম্বর ওয়ানডে। একই ইনিংসে তিন ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরির ঘটনার এর আগে একবারই ঘটেছিল। গত জানুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকারই তিন ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি করেন। সেবারও এই কীর্তির ভাগীদার ছিলেন ডি ভিলিয়ার্স। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে প্রথম তিন ব্যাটসম্যান হাশিম আমলা, রাইলি রুশো আর ডি ভিলিয়ার্স। পার্থক্য এবার প্রথম চারজনের তিন জন। ডি’কক ৮৭ বলে ১০৯, ডুপ্লেসিস ১১৫ বলে ১৩৩ (অবসর), আর ভিলিয়ার্স ৬১ বলে ১১৯ রান। ভারতের ভুবেনশ্বর কুমার, মোহিত শর্মা, হরভজন সিং ও সুরেশ রায়ানা প্রতেক্যে ১টি কর উইকেট লাভ করেন। বিশাল লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট খোয়াতে থাকে ভারত। তৃতীয় উইকেটে শিখর ধাওয়ান ও আজিঙ্কা রাহানের ১১২ রানের জুটি কিছুটা আশা জাগালেও শেষ পর্যন্ত চমক দেখাতে পারেনি ধোনির দল। ৩৬ ওভারে ভারত অলআউট হয় ২২৪ রানে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৭ রান করেন রাহানে। ৬০ রান করেন ধাওয়ান। দক্ষিণ আফ্রিকার কাজিসো রাবাডা ৪১ রানে ৪ ও ডেল স্টেইন ৩৮ রানে ৩ উইকেট লাভ করেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন বিজয়ী দলের ডি’কক। আর সিরিজসেরা হয়েছেন প্রোটিয়া অধিনায়ক ডি ভিলিয়ার্স।
×