ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সব ধরনের সূচকের পতন

পুঁজিবাজারে চার শ’কোটি টাকার লেনদেন

প্রকাশিত: ০৪:৫২, ২৭ অক্টোবর ২০১৫

পুঁজিবাজারে চার শ’কোটি  টাকার লেনদেন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের উভয় বাজারেই সোমবার দরপতনে শেষ হয়েছে লেনদেন। বেশিরভাগ কোম্পানির দর বাড়ার কারণে সকালে লেনদেন উত্থানে শুরু হলেও শেষ হয় পতন দিয়ে। তবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন বাড়লেও কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। প্রধান বাজার ডিএসইতে দিনটিতে সার্বিক লেনদেন ফের চারশ’ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এর আগে গত ১৫ অক্টোবর ডিএসইর সার্বিক লেনদেন চারশ’ কোটি টাকা ছাড়িয়েছিল। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সকালে ডিএসইতে লেনদেনের শুরুতে বেশিরভাগ কোম্পানির দর বেড়েছিল। কিন্তু শেষ বিকেলে এসে তা এই প্রবণতা অব্যাহত থাকেনি। দিনশেষে ডিএসইর সার্বিক লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪১৫ কোটি টাকা। যা রবিবারের তুলনায় ৮৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বেশি। আগের দিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৩২৫ কোটি শেয়ার। ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয় ৩২০টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১১৭টির, কমেছে ১৬৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টির শেয়ার দর। সকালে উর্ধগতি দিয়ে শুরুর পরে ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্য সূচক ১৮ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৬৩০ পয়েন্টে দাঁড়ায়। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ১০৯ পয়েন্টে। ডিএস৩০ সূচক ১০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭৫১ পয়েন্টে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত কিছুদিন ধরে অব্যাহতভাবে দর কমার কারণে ডিএসইর তালিকাভুক্ত রাষ্ট্রায়ত্ব জ্বালানি এবং শক্তি খাতের কোম্পানিগুলোর দর বেড়েছে। একইসঙ্গে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির দর বেড়েছে। সোমবারের বাজারে লভ্যাংশ ঘোষণা করতে যাওয়া কোম্পানিগুলোর প্রতি এক ধরনের আলাদা চাহিদা তৈরি হয়েছে। একইসঙ্গে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে এমন কোম্পানিও লেনদেনের শীর্ষে অবস্থান করেছে। খাতভিত্তিক লেনদেন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, দিনটিতে যৌথভাবে প্রকৌশল এবং জ্বালানি ও শক্তি খাতের লেনদেন হয়েছে। উভয় খাতেরই ৬৩ কোটি ৬০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যৌথভাবে ১৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ করে লেনদেন করে প্রথম স্থান দখল করেছে খাত দুটি। এরপরেই দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল বস্ত্র খাতটি। দিনটিতে বস্ত্রখাতের মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৬ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ১২ দশমিক ৬১ ভাগ। তৃতীয় অবস্থানে ছিল ওষুধ এবং রসায়ন খাতটি। সারাদিনে খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪০ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ১১ দশমিক ০১ ভাগ। ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা দশ কোম্পানি হলোÑ সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারি, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, ইফাদ অটোস, শাহজিবাজার পাওয়ার, কেডিএস এক্সেসরিজ, সিএ্যান্ডএ টেক্সটাইল, গ্রামীণফোন, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি, আমান ফিড এবং এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ। ঢাকার বাজারে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়ার কারণে লেনদেন বাড়লেও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জে তা কমেছে। দিনশেষে সিএসইতে ২৮ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসই সার্বিক সূচক ৬৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ১৩৪ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২২৭টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৯টির, কমেছে ১০৫টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টির। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলোÑ বেঙ্গল উইন্ডসের থার্মোপ্লাস্টিক, সিভিও পেট্রো কেমিক্যাল, কেডিএস এক্সেসরিজ, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, শাহজিবাজার পাওয়ার, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, সিএ্যান্ডএ টেক্সটাইল, ইউনাইটেড এয়ার, সাইফ পাওয়ার টেক ও ফার কেমিক্যাল।
×