ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দুই দলের কণ্ঠেই জয়ের প্রত্যয়

প্রকাশিত: ০৫:০৯, ২৭ অক্টোবর ২০১৫

দুই দলের কণ্ঠেই জয়ের  প্রত্যয়

রুমেল খান, চট্টগ্রাম থেকে ॥ ‘স্বাগতিক হিসেবে বাড়তি চাপ অনুভব করছি না। বরং অনুভব করছি, যে আমরা ক্লাব নয়, বাংলাদেশেরই প্রতিনিধিত্ব করছি। এ লড়াইয়ে জেতার তাড়না অনুভব করছি।’ কথাগুলো শফিকুল ইসলাম মানিকের। চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেডের এই কোচ আজ এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট’-এ প্রথম সেমির দ্বৈরথে মাঠে ডাগআউটে দাঁড়াবেন দলকে জেতার প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দিতে। সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি। মানিক সেখানে প্রতিপক্ষ কোচ হিসেবে ডাগআউটে পাবেন আফগানিস্তানের ডি স্পিন ঘার বাজান ফুটবল ক্লাবের কোচ ওয়াহিদুল্লাহকে। মানিকের মতো তিনিও সেমিতে দলকে জয়ী হিসেবে দেখতে মরিয়া, ‘আমরা জেতার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করব। প্রতিপক্ষ আবাহনীর দুর্বল দিকগুলো চিহ্নিত করে সে অনুযায়ী হোমওয়ার্ক করে যাচ্ছি। ওদের তিন ফুটবলারকে আমরা মার্ক করে খেলব, যারা আমাদের জন্য বিপজ্জনক। আমাদের দলে কোন ইনজুরি সমস্যা নেই। এই মাঠে তিন ম্যাচ খেলেছি। মনে হচ্ছে এই মাঠই আমাদের হোমগ্রাউন্ড!’ আফগানিস্তানের ফুটবল ইতিহাস বেশ পুরনোই। ১৯২২ সালে দেশটির ফুটবল ফেডারেশন যাত্রা শুরু করে। তবে ফিফার সদস্যপদ পেতে ১৯৪৮ সাল লেগে যায়। এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন্সের সদস্য হয় আরও ছয় পর, ১৯৫৪ সালে। দেশটির প্রথম ফুটবল ক্লাবের নাম মাহমুদিয়া ফুটবল ক্লাব (প্রতিষ্ঠিত ১৯৩৪ সালে)। তবে বাজান ক্লাবের ইতিহাস খুবই সাম্প্রতিক। মাত্র তিন বছর আগে ২০১২ সালে ক্লাবটির জন্ম। এবার তারা লীগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গত দুই বারের শিরোপাধারী শাহিন আসমায়িকে পরাভূত করে। অল্প সময়েই উত্থান ঘটা বাজানের অবশ্য শেখ কামাল ফুটবল আসরে খেলতে আসা অনিশ্চিত ছিল! ‘এ’ গ্রুপে শ্রীলঙ্কার সলিড এসসিকে ৩-১ গোলে, ঢাকা মোহামেডানকে ১-০ গোলে হারায় বাজান। এছাড়া ৩-৩ গোলে কলকাতা মোহামেডানের সঙ্গে ড্র করে। ৩ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট পেয়ে গ্রুপসেরা হয়ে সেমিফাইনালে উন্নীত হয় আফগান লীগের শিরোপাধারীরা। পক্ষান্তরে ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের কিংফিশার ইস্ট বেঙ্গলের কাছে ১-২ গোলে হেরে যায় স্বাগতিক চট্টগ্রাম আবাহনী। তবে ঢাকা আবাহনী লিমিটেডকে দ্বিতীয় ম্যাচে ২-১ গোলে হারিয়ে সেমিতে যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রাখে চট্টগ্রামের দলটি। শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের করাচী ইলেকট্রিক ফুটবল ক্লাবকে ৪-২ গোলে হারিয়ে শেষ চার নিশ্চিত করে তারা। অনেকের মতোই বাজানই হচ্ছে চলমান টুর্নামেন্টের সেরা দল। তাদের খেলা নজর কেড়েছে ফুটবলপ্রেমীদের। তবে এটা পরিষ্কার, আজ সেমির লড়াইয়ের সময় মাঠে তারা কোন দর্শক সমর্থন পাবে না! সেটা পাবে স্বাগতিক দল চট্টগ্রাম আবাহনী। এই দর্শক-প্রত্যাশাকে মানিক ‘অনুপ্রেরণা’ বললেও ওয়াহিদুল্লাহ বলছেন, ‘আমরা কোন চাপে নেই।’ এখন দেখার বিষয়, আজ বাজানকে হারিয়ে স্বপ্নের ফাইনালে নাম লেখাতে পারে কি না চট্টগ্রাম আবাহনী।
×