ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

হাইকোর্টের নির্দেশ উপেক্ষিত

কুয়াকাটা সৈকতে ফের স্থাপনা

প্রকাশিত: ০৫:১৪, ২৭ অক্টোবর ২০১৫

কুয়াকাটা সৈকতে  ফের স্থাপনা

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ২৬ অক্টোবর ॥ কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত এলাকায় বেড়িবাঁধের বাইরে ফের স্থাপনা তোলা শুরু হয়েছে। এক বছর আগে প্রশাসনের বহু নাটকীয় অবস্থানের মধ্য দিয়ে বেড়িবাঁধের বাইরে আলোচিত আবাসিক হোটেল সী-কুইন, তাজ, সান ফ্লাওয়ার, স্বাদ রেস্তরাঁ এবং বাঁধের ভেতরে ব্যাংক মার্কেট প্রতিষ্ঠান স্থাপনা নির্মাণ করে। এসব স্থাপনা বন্ধে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে নোটিশ দেয়া হয়। পরবর্তীতে কলাপাড়ার ইউএনও স্থাপনা মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কলাপাড়া থানায় ২০১৫ সালের ১৪ জানুয়ারি একটি লিখিত অভিযোগ দেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ওই স্থাপনা উচ্ছেদ কিংবা অপসারণে কার্যকর কোন ব্যবস্থা গৃহীত হয়নি। উল্টো ফের হোটেল সী-কুইন ঘেঁষে নতুন করে স্থাপনা তোলার কাজ শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ২০১২ সালের নির্দেশনা উপেক্ষা করে উপরোক্ত পাঁচটি দ্বিতল স্থাপনার সম্প্রসারণ কাজ করা হয়। জেলা প্রশাসন থেকে কয়েকবার নির্মাণকাজ বন্ধসহ নির্মাণ সামগ্রী অপসারণের নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু এসব নির্দেশনা মানা হয়নি। তখনকার সময় প্রায় পাঁচ মাস নির্বিঘেœ হোটেল-রেস্তরাঁগুলো দ্বিতীয় তলা ভবনকে তৃতীয় থেকে চতুর্থ তলা সম্প্রসারণ করা হয়েছে। তখন জেলা কিংবা উপজেলা প্রশাসনের কেউ কাজ বন্ধ করতে এগিয়ে আসেনি অথচ কাজ শেষ করার এক মাস পরে দ্বিতীয় তলার ওপরের বর্ধিত অংশের কাজ বন্ধ রাখা এবং নির্মাণ সামগ্রী অপসারণের জন্য লিখিত চিঠি দিয়েছিল। ওই পর্যন্তই শেষ। বিষয়টি আর এগোয়নি। ২০১১ সালের ২ জুন পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত এলাকা থেকে সব ধরনের স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। ওই সময় এবং পরবর্তীতে দুই শতাধিক স্থাপনা ভেঙ্গে দেয় পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসন। কিন্তু এ আদেশ পালনে এবং মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় বেড়িবাঁধের বাইরে স্থাপনা তোলা কিংবা বস্তি নির্মাণ করে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস বন্ধ হয়নি। নতুন করে স্থাপনা তোলার ব্যাপারে এর মালিক জাহাঙ্গীর হোসেন দাবি করেন, তিনি রেকর্ডীয় জমিতে স্থাপনা করছেন। কোন অনুমতির দরকার নেই। কুয়াকাটা পৌরসভার প্রশাসক ও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, সমুদ্র সৈকত এলাকায় কোন ধরনের স্থাপনা তোলার সুযোগ নেই।
×